ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

আমের মৌসুমে শেষ ভরসা মামা ভাগ্নের ‘গৌড়মতি’

তাহেরুল ইসলাম তামিম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে ফলের মৌসুমে। আর সেই ফল হল সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম।

সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন শেষ হয় ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।

রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা- ভাগ্নে।

জানা গেছে, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগিনা বুলবুল কে সাথে নিয়ে ১ হাজারটি চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং। কৃষকের নিবিড় হাতের ছোঁয়ায় দৃষ্টি কারছে এলাকাবাসী সহ বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীদের।

বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ মণের কাছাকাছি।

নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময় এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এ গৌড়মতি আম দশ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে নতুন জাতের এই আমটির ২০১৩ সালে নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আমটি রসালো ও সুস্বাদু, আকারে বড় হলেও এর আটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।

কৃষক মহাব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে এক হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গতবছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে আম নেইনি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যতদিন যাবে গাছ আরও বড় হবে আমের ফলনও বাড়বে।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন, এটি একটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা। কোন কৃষক যদি যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলে জানান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমের মৌসুমে শেষ ভরসা মামা ভাগ্নের ‘গৌড়মতি’

আপডেট টাইম : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে ফলের মৌসুমে। আর সেই ফল হল সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম।

সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন শেষ হয় ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।

রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা- ভাগ্নে।

জানা গেছে, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগিনা বুলবুল কে সাথে নিয়ে ১ হাজারটি চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং। কৃষকের নিবিড় হাতের ছোঁয়ায় দৃষ্টি কারছে এলাকাবাসী সহ বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীদের।

বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ মণের কাছাকাছি।

নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময় এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এ গৌড়মতি আম দশ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে নতুন জাতের এই আমটির ২০১৩ সালে নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আমটি রসালো ও সুস্বাদু, আকারে বড় হলেও এর আটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।

কৃষক মহাব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে এক হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গতবছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে আম নেইনি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যতদিন যাবে গাছ আরও বড় হবে আমের ফলনও বাড়বে।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন, এটি একটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা। কোন কৃষক যদি যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলে জানান তিনি।