ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আমের মৌসুমে শেষ ভরসা মামা ভাগ্নের ‘গৌড়মতি’

তাহেরুল ইসলাম তামিম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
  • / ২০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে ফলের মৌসুমে। আর সেই ফল হল সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম।

সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন শেষ হয় ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।

রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা- ভাগ্নে।

জানা গেছে, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগিনা বুলবুল কে সাথে নিয়ে ১ হাজারটি চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং। কৃষকের নিবিড় হাতের ছোঁয়ায় দৃষ্টি কারছে এলাকাবাসী সহ বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীদের।

বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ মণের কাছাকাছি।

নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময় এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এ গৌড়মতি আম দশ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে নতুন জাতের এই আমটির ২০১৩ সালে নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আমটি রসালো ও সুস্বাদু, আকারে বড় হলেও এর আটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।

কৃষক মহাব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে এক হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গতবছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে আম নেইনি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যতদিন যাবে গাছ আরও বড় হবে আমের ফলনও বাড়বে।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন, এটি একটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা। কোন কৃষক যদি যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলে জানান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমের মৌসুমে শেষ ভরসা মামা ভাগ্নের ‘গৌড়মতি’

আপডেট টাইম : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩

বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে ফলের মৌসুমে। আর সেই ফল হল সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম।

সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন শেষ হয় ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।

রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা- ভাগ্নে।

জানা গেছে, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগিনা বুলবুল কে সাথে নিয়ে ১ হাজারটি চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং। কৃষকের নিবিড় হাতের ছোঁয়ায় দৃষ্টি কারছে এলাকাবাসী সহ বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীদের।

বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ মণের কাছাকাছি।

নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময় এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এ গৌড়মতি আম দশ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে নতুন জাতের এই আমটির ২০১৩ সালে নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আমটি রসালো ও সুস্বাদু, আকারে বড় হলেও এর আটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।

কৃষক মহাব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে এক হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গতবছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে আম নেইনি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যতদিন যাবে গাছ আরও বড় হবে আমের ফলনও বাড়বে।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন, এটি একটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা। কোন কৃষক যদি যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলে জানান তিনি।