ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতবিনিময় ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হবে আজমিরীগঞ্জ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার ১৩ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে ১টি একনলা বন্দুক,১টি দেশীয় রাইফেল ও ৬টি ওয়ান শ্যুটার গানসহ ১টি মাইক্রোবাসে থাকা ০২ জন আসামী গ্রেফতার। মালয়েশিয়া সহ সকল বন্ধ শ্রম বাজার উন্মুক্ত করার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান:বায়রা সদস্যদের হাফেজ্জী চারিটিবল সোসাইটির অর্থায়নে নব মুসলিম ও অসহায় মুসলিম পরিবারদের মাঝে চাউল বিতরণ বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে চিন্তিত মোদি, নতুন পরিকল্পনা ভারতের আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো চিন্ময়কে শাপলা চত্বর গণহত্যা: ৯৩ জন শহিদের খসড়া তালিকা প্রকাশ নাসিরনগর সরকারি কলেজের ছাত্রদলের কমিটি গঠন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন

বাংলাদেশের উন্নয়নের বাস্তবায়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১২৫ ১৫০০০.০ বার পাঠক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার চায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের মতো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করেও আমরা উন্নয়নের পথে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ১৫ তলাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসি) ভবন ও ১৩ তলাবিশিষ্ট ‘তথ্য কমিশন ভবন’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে আজ একথা বলেন।

এছাড়া তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একইসাথে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন’ (বিএফডিসি) কমপ্লেক্সেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এই দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য এবং এই মাসেই জাতির পিতাকে হারানোর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার তৈরি করে দেয়া ভিত্তি বা শুরু করে যাওয়া প্রতিটি কাজ সফলভাবে করতে পেরে আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের বার বার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলেই এই কাজগুলো আমরা করতে পেরেছি। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার চলছে, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। যদিও এর মাঝে আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ এবং অগ্নিসন্ত্রাস-এমন অনেক কিছুই মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশকে আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেখানে আমাদের স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে, স্মার্ট ইকোনমি হবে, স্মার্ট সোসাইটি হবে, স্মার্ট গভর্নমেন্ট তথা প্রতিটি ক্ষেত্রই স্মার্ট হবে।

তিনি আরো বলেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তার সরকার সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, সমাজ এবং দেশকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা এটা সফলভাবে করতে পারবো। বাংলাদেশে কোনো ক্ষুধা-দারিদ্র্য থাকবে না, কোনো মানুষ কষ্ট পাবে না, প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষ ঘর পাবে, প্রতিটি মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

তিনি তার সরকারের চালু করা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আগে অবসর ভাতা কেবল সরকারি কর্মকর্তারাই পেত, সেটাকে আমরা এখন সর্বজনীন করে দিয়েছি। কেন না যখন তাদের (অবসরে যাওয়া বেসরকারি কর্মজীবী) কাজ করার সুযোগ থাকবে না তখন তাদের জীবনটা যেন অর্থবহ থাকে এবং প্রত্যেক মানুষের জীবনটা যেন নিরাপদ হয়।

বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি এক একর জমিতে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বিটিআরসি ভবন এবং ০.৩৫ একর জমিতে তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, আমরা যখনই কোনো উন্নয়নের উদ্যোগ নেই, তখনই দেখতে পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তি প্রদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ভিত্তির ওপর নির্ভর করেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পদচিহ্ন অনুসরণ করে বাংলাদেশ ও এর জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিতবোধ করছেন।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি ভবন, তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্স (তেজগাঁও) সংযুক্ত ছিল।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বিটিআরসি ও তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ওপর একটি অডিও-ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের উন্নয়নের বাস্তবায়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার চায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের মতো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করেও আমরা উন্নয়নের পথে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ১৫ তলাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসি) ভবন ও ১৩ তলাবিশিষ্ট ‘তথ্য কমিশন ভবন’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে আজ একথা বলেন।

এছাড়া তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একইসাথে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন’ (বিএফডিসি) কমপ্লেক্সেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এই দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য এবং এই মাসেই জাতির পিতাকে হারানোর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার তৈরি করে দেয়া ভিত্তি বা শুরু করে যাওয়া প্রতিটি কাজ সফলভাবে করতে পেরে আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের বার বার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলেই এই কাজগুলো আমরা করতে পেরেছি। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার চলছে, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। যদিও এর মাঝে আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ এবং অগ্নিসন্ত্রাস-এমন অনেক কিছুই মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশকে আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেখানে আমাদের স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে, স্মার্ট ইকোনমি হবে, স্মার্ট সোসাইটি হবে, স্মার্ট গভর্নমেন্ট তথা প্রতিটি ক্ষেত্রই স্মার্ট হবে।

তিনি আরো বলেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তার সরকার সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, সমাজ এবং দেশকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা এটা সফলভাবে করতে পারবো। বাংলাদেশে কোনো ক্ষুধা-দারিদ্র্য থাকবে না, কোনো মানুষ কষ্ট পাবে না, প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষ ঘর পাবে, প্রতিটি মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

তিনি তার সরকারের চালু করা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আগে অবসর ভাতা কেবল সরকারি কর্মকর্তারাই পেত, সেটাকে আমরা এখন সর্বজনীন করে দিয়েছি। কেন না যখন তাদের (অবসরে যাওয়া বেসরকারি কর্মজীবী) কাজ করার সুযোগ থাকবে না তখন তাদের জীবনটা যেন অর্থবহ থাকে এবং প্রত্যেক মানুষের জীবনটা যেন নিরাপদ হয়।

বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি এক একর জমিতে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বিটিআরসি ভবন এবং ০.৩৫ একর জমিতে তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, আমরা যখনই কোনো উন্নয়নের উদ্যোগ নেই, তখনই দেখতে পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তি প্রদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ভিত্তির ওপর নির্ভর করেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পদচিহ্ন অনুসরণ করে বাংলাদেশ ও এর জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিতবোধ করছেন।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি ভবন, তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্স (তেজগাঁও) সংযুক্ত ছিল।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বিটিআরসি ও তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ওপর একটি অডিও-ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।