আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, এমত অবস্থায় ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগকে আবার জোট বদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে হবে,

এবং প্রার্থী দিতে ভুল করলে
পুনরায় ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্ন ভুলে যেতে হবে, কারণ বিগত ১৫ বছরে নিজ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, দেখাবার জন্য সম্রাট এবং পাপিয়াকে নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিলেন,

সেই সাথে দলীয় এমপি মন্ত্রীদের লুটতরাজ দুর্নীতিকে লাঘব করতে পারেননি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা, বিদেশে অর্থপাচার থেকে শুরু করে, দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন,

অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ভুসি প্রশংসার দাবিদার আওয়ামীলীগ, কিন্তু যে মানুষটি ভোট দেবে, অর্থাৎ দেশের জনগণ, তাদের ব্যক্তিগত কল্যাণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি, অর্থাৎ জনগনের যতটুকু কাছে যাওয়ার বিগত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেনি, শেখ হাসিনার প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে।

আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় নেতা মন্ত্রী ও এমপিরা দেশ জুড়ে চালানো হয়েছে লুটপাট দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন, এতে করে জনগণে তেমন কোন ভাগ্যের পরিবর্তন আসেনি, ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে এমপি মন্ত্রীদের, দলীয় ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবস্থা যেই লাউ সেই কদু।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন, ব্যবসায়িক সমাজ, পুলিশবাহিনী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই ফকিন্নি থেকে কোটিপতি হয়েছেন, এমনও দেখা গিয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে ৫ থেকে ১০ কাঠা জমির উপর অট্টলিকা তৈরি করতে।

দেশের সাধারণ মানুষ সরাসরি কোন কথা বলেন না, আর এই চুপচাপ থাকা মানুষগুলোর দাঁড়া নিরব ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে, এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে, অন্তত ১৫০ টির উপরে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

বিএনপির জন্য বেগম খালেদা জিয়া একটি সাইনবোর্ড কেবলমাত্র,
তাদের রাজনৈতিক পলিসি ভিন্ন,
প্রতিপক্ষের দুর্গে একের পর এক আঘাত আনতে সক্ষম, সফল হয়েছে কিংবা না হয়েছে সেটি তাদের জন্য বড় কথা নয়।
তবে এবার বিএনপিকে নির্বাচনে আসার দরকার, পুনরায় যদি বিএনপির সংঘাতের দিকে অগ্রসর হয় তবে আবারো ভুল করবে, বর্তমান সময়টাতে কিছুটা হলেও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছে বিএনপি।

অমুক দিন সরকার পতন হয়ে যাবে,
তমুক দিন সরকারের পতন হয়ে যাবে,
ঈদের পর সরকার পতন হবে,
কুরবানী ঈদের পর সরকার পতন হবে,
দফার পর দফা, বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারকে শাসানো, কোন কিছুর কমতি রাখেনি, নিজেরা যেমন ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন ভুলেনি, তেমনি নেতাকর্মীদের সেই স্বপ্ন দেখিয়ে উজ্জীবে তো রেখেছেন।