ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন

একুশের চেতনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শাণিত করে ॥ রিজভী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৬৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার ॥

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একুশের চেতনা থেকে শক্তি নিয়েই তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

আজ রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাহান্নর রক্তস্নাত অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি আমাদেরকে আজও উদ্বুদ্ধ করে, যখন দেখি আজও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এক দলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্রের রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। বাহান্নর চেতনা আমাদেরকে শাণিত করেছে, ধারালো করেছে বলেই আজও আমরা দৈত্যের ন্যায় এই কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছি।

রিজভী বলেন, ১৯৫২ সালে ছাত্র-জনতা আত্মদান করেছিল মাতৃভাষার জন্য। সেটা ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আজও আমরা যুথবদ্ধভাবে সংগ্রাম করছি, আমরা মামলা-হামলা, গ্রেফতার, গুম এবং খুনকে বরণ করে নিয়েও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এই চেতনার উৎস হচ্ছে ভাষা আন্দোলন, ভাষার অধিকার আদায়ে ছাত্রদের আত্মদান।

রিজভী বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনই ছিল অধিকার হারানোর বেদনা, আর সেই বেদনা থেকে অধিকার আদায়ের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ভাষার অধিকার পেয়েছি, গণতন্ত্র পেয়েছি, তাদের শ্রদ্ধা জানাই। বাষট্টির আন্দোলনে আমরা শিক্ষার অধিকার পেয়েছি, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে আমরা গণতন্ত্র, একাত্তরে অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, নব্বইয়ের স্বৈচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মিলনদের রক্তের বিনিময়ে অমার পেয়েছিলাম গণতন্ত্র। কিন্তু আজকে দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। আজকে একদলীয় শাসন চলছে, ভোট ডাকাতি করে এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার, মাফিয়া সরকার। অবিলম্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের ভোটাধিকারের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

শহীদ মিনারে আসার আগে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে প্রভাতফেরি করে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আালী নেয়াজ, শামীমুর রহমান শামীম, নাজিম উদ্দিন আলম, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একুশের চেতনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শাণিত করে ॥ রিজভী

আপডেট টাইম : ০৮:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার ॥

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একুশের চেতনা থেকে শক্তি নিয়েই তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

আজ রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাহান্নর রক্তস্নাত অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি আমাদেরকে আজও উদ্বুদ্ধ করে, যখন দেখি আজও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এক দলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্রের রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। বাহান্নর চেতনা আমাদেরকে শাণিত করেছে, ধারালো করেছে বলেই আজও আমরা দৈত্যের ন্যায় এই কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছি।

রিজভী বলেন, ১৯৫২ সালে ছাত্র-জনতা আত্মদান করেছিল মাতৃভাষার জন্য। সেটা ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আজও আমরা যুথবদ্ধভাবে সংগ্রাম করছি, আমরা মামলা-হামলা, গ্রেফতার, গুম এবং খুনকে বরণ করে নিয়েও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এই চেতনার উৎস হচ্ছে ভাষা আন্দোলন, ভাষার অধিকার আদায়ে ছাত্রদের আত্মদান।

রিজভী বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনই ছিল অধিকার হারানোর বেদনা, আর সেই বেদনা থেকে অধিকার আদায়ের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ভাষার অধিকার পেয়েছি, গণতন্ত্র পেয়েছি, তাদের শ্রদ্ধা জানাই। বাষট্টির আন্দোলনে আমরা শিক্ষার অধিকার পেয়েছি, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে আমরা গণতন্ত্র, একাত্তরে অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, নব্বইয়ের স্বৈচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মিলনদের রক্তের বিনিময়ে অমার পেয়েছিলাম গণতন্ত্র। কিন্তু আজকে দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। আজকে একদলীয় শাসন চলছে, ভোট ডাকাতি করে এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার, মাফিয়া সরকার। অবিলম্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের ভোটাধিকারের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

শহীদ মিনারে আসার আগে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে প্রভাতফেরি করে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আালী নেয়াজ, শামীমুর রহমান শামীম, নাজিম উদ্দিন আলম, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।