৬ জুন অনুমান বিকাল ৩টার সময় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের মো. রফিকুল ইসলাম
(৫০) নগদ ৪ লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ অটোতে ভুল বশত ফেলে রেখে চলে যান।
পরবর্তীতে ময়মনসিংহ পুলিশের সহায়তায় ফেরত পেয়ে তিনি মহাখুশি।
মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ৬ জুন মো. রফিকুল ইসলাম অনুমান বিকাল ৩টা সময়
তার জমি বিক্রির নগদ ৪ লক্ষ টাকা ভর্তি ১টি বেগ ও ১টি চার্জার ফ্যান
নিয়ে ময়মনসিংহ ব্রীজ মোড় হইতে শম্ভুগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে অটোতে উঠে।
তিনি অটোর সামনে বসেন। টাকার বেগটি অটোর সামনে চাকার উপরে রাখেন এবং
চার্জার ফ্যানটি তার হাতে থাকে।
পরবর্তীতে অটো থেকে নেমে যাওয়ার সময় ভুল বশত টাকার বেগটি অটোতে রেখে
চার্জার ফ্যানটি নিয়ে নেমে যান। কিছু সময় পর টাকার বেগের কথা মনে পড়ার
সাথে সাথে উক্ত স্থানে ফিরে এসে দেখেন যে, অটোটি আর সেই স্থানে নেই।
সম্ভ্যাব্য সকল জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে টাকার ব্যাগটি না পেয়ে অবশেষে
কোতোয়ালী মডেল থানায় এসে তিনি একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
জমি বিক্রির ৪ লক্ষ টাকা হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দিশেহারা হয়ে
পড়েছিলেন ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। অবশেষে গেলেন
কোতোয়ালি মডেল থানায় ডায়রী করার পর থানার পুলিশের তৎপরতায় মাত্র ৩ ঘন্টার
মাঝেই ফিরে পেলেন তার হারিয়ে যাওয়া জমি বিক্রির সমস্ত টাকা।
হারিয়ে যাওয়া টাকার উদ্ধার করা ব্যাগ মালিককে বুঝিয়ে দিলেন কোতোয়ালী মডেল
থানা ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ পিপিএম বার। টাকা ফিরে পেয়ে তিনি খুশীতে
লাফিয়ে উঠলেন ও কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন।
এভাবেই একের পর এক অসম্ভব ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে ময়মনসিংহবাসীর কাছে
মানবিকতা আর প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বাধীন
কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, সাধারণ
ডায়রির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ত্রিদীপ ও এএসআই মো. ফরহাদ হোসেন
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা
করে। ঘটনাস্থলের আশপাশে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি
ফুটেজ পর্যালোচনায় একজন অটোচালককে ব্যাগটি নিতে দেখা যায়। তথ্য
প্রযুক্তির সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজের প্রদর্শিত অটো চালককে শনাক্ত করে
চালকের হেফাজত হতে হারিয়ে যাওয়া ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ৪
লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীকে ফেরত প্রদান করা হয়েছে। মানবিক বিবেচনায় দায়িত্ব
নিয়ে টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, অটো চালক মো. শহিদ মিয়া হারিয়ে যাওয়া
টাকা পাওয়ার পর ফেরত প্রদানের জন্যে মালিককেও অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন ।
সে একজন মানবিক অটো চালক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, টাকা ফেরত পেয়ে তিনি অনেক খুশি। এ
ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো জন্য পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।