ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এরা কোথায় যারা ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে সংবাদ মাদ্যম ও সাংবাদিক পেশা ধারন করে দুনীতি করেছে এবং  দেশকে ধ্বংস করেছে প্রবীণ সম্পাদকের অজান্তেই মামলা ও ওয়ারেন্ট: সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিবাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর ফুটবল খেলারমাঠে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে টিভিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মোংলায় সংবাদ সম্মেলন জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা নিজের গুম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ টাঙ্গাইলের মহাসড়কে ঝরলো বাবা ও দুই ছেলের প্রাণ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আপেল মাহমুদকে প্রমাণ দিতে হলো তিনি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরনগরে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন বিরলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি (CHCP) রাজনৈতিক মামলার আসামি।

অব্যবহার, অবহেলায় ও অযত্নে পরিত্যাক্ত  বিরামপুর কারাগার

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪৬২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ পুর্ব এলাকার ৬টি উপজেলার সাধারণ জনগনের সুবিধার্থে আশির দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি  হোসেইন মো. এরশাদের  আমলে বিরামপুর উপজেলায় নির্মিত হয়েছিল কারাগার। ততকালীন এরশাদ সরকারের আমলে প্রতিটি উপজেলা আদালতে জনগণের মামলার বিচার কাজ পরিচালনা হয়ে আসছিল।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর প্রতিটি উপজেলার আদালত আবার জেলা শহরে  ফিরিয়ে নেয়া হয়। তখন থেকেই বিরামপুর কারাগার টি অব্যবহারিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। যার কারনে কারাগারের চারপাশে ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ হয় আর সেই এলাকা হয়ে উঠে মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যক্রমের আকড়া। এবং কারাগারের আশপাশের কিছু জমি চলে যায় কিছু অবৈধ দখলদারের হাতে। যে কারণে কারাগারের পাশের আবাসিক এলাকার পরিবেশ হচ্ছে নস্ট।

এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমারের সঙ্গে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কারাগার টি এখন সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধিনে, আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে বিরামপুর সমাজ সেবা অফিস তাদের মতোকরে সেটি ব্যবহার করবে।

বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল ইসলাম রাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন পাবার পর কারাগার টিতে শিশু শিক্ষা ও শিশুকল্যান বিষয়ক কর্মশালার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বিরামপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মোঃ আক্কাস আলী সাহেবের মুঠোফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যত তাড়াতাড়ি কারাগার টি সংস্কার করে সরকারি কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে কতৃপক্ষ, তত তাড়াতাড়ি ঐ এলাকায় সাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে, আর এ ব্যপারে বিরামপুর পৌরসভা কতৃক সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিরামপুর উপজেলার সচেতন জনগন সরকারি এই সম্পত্তিতে সরকারি কার্যক্রমের আওতায় এনে কারাগার এলাকার জমি জবরদখল মুক্ত,মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত  সাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ ও দৈনিক ভোরের ধ্বনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অব্যবহার, অবহেলায় ও অযত্নে পরিত্যাক্ত  বিরামপুর কারাগার

আপডেট টাইম : ০৯:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ পুর্ব এলাকার ৬টি উপজেলার সাধারণ জনগনের সুবিধার্থে আশির দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি  হোসেইন মো. এরশাদের  আমলে বিরামপুর উপজেলায় নির্মিত হয়েছিল কারাগার। ততকালীন এরশাদ সরকারের আমলে প্রতিটি উপজেলা আদালতে জনগণের মামলার বিচার কাজ পরিচালনা হয়ে আসছিল।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর প্রতিটি উপজেলার আদালত আবার জেলা শহরে  ফিরিয়ে নেয়া হয়। তখন থেকেই বিরামপুর কারাগার টি অব্যবহারিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। যার কারনে কারাগারের চারপাশে ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ হয় আর সেই এলাকা হয়ে উঠে মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যক্রমের আকড়া। এবং কারাগারের আশপাশের কিছু জমি চলে যায় কিছু অবৈধ দখলদারের হাতে। যে কারণে কারাগারের পাশের আবাসিক এলাকার পরিবেশ হচ্ছে নস্ট।

এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমারের সঙ্গে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কারাগার টি এখন সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধিনে, আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে বিরামপুর সমাজ সেবা অফিস তাদের মতোকরে সেটি ব্যবহার করবে।

বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল ইসলাম রাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন পাবার পর কারাগার টিতে শিশু শিক্ষা ও শিশুকল্যান বিষয়ক কর্মশালার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বিরামপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মোঃ আক্কাস আলী সাহেবের মুঠোফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যত তাড়াতাড়ি কারাগার টি সংস্কার করে সরকারি কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে কতৃপক্ষ, তত তাড়াতাড়ি ঐ এলাকায় সাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে, আর এ ব্যপারে বিরামপুর পৌরসভা কতৃক সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিরামপুর উপজেলার সচেতন জনগন সরকারি এই সম্পত্তিতে সরকারি কার্যক্রমের আওতায় এনে কারাগার এলাকার জমি জবরদখল মুক্ত,মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত  সাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ ও দৈনিক ভোরের ধ্বনি।