হোমনায় গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে তালের শাঁসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে
- আপডেট টাইম : ০১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
- / ১৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক
কুমিল্লার হোমনায় গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে চাহিদা বেড়েছে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার কচি তালের শাঁস। প্রচন্ড তাপপ্রবাহে মানুষের তৃষ্ণা মেটায় মিষ্টি তরল এসব তালের শাঁস।সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে তালে শাঁস পরিপূর্ণ হতে থাকে। তালের শাঁস একটু নরম অবস্থায় খেলেই বেশি স্বাদ পাওয়া যায়। নরম তালের শাঁস শরীরে পানির চাহিদা ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। কচি তাল গাছ থেকে রশি বেধে নামানো হয় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। বাশঁ দিয়ে টেম বাধা হয় তাল গাছের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত। একজন লোক বাঁশ দিয়ে তালগাছে উঠে তালের কাঁদিগুলো দড়ি বেঁধে নিচে নামিয়ে দেন। নিচে থাকা একজন লোক দড়ি খুলে দেন। এভাবে গাছ থেকে কচি তাল নামানো হয়।
তালের শাঁস ব্যবসায়ী মো: মাওলা বলেন গ্রীষ্মের এই সময়টাতে তালের শাঁসের চাহিদা বেশি থাকে। অল্প পুজিতে ভালো ব্যবসা করা যায় এই তালের শাঁস বিক্রি করে। তিনি বলেন কুমিল্লা ও নিমসার থেকে পাইকারি হিসেবে চুক্তিতে তাল গুলো কিনে নিয়ে আসেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশিপুর বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করেন। প্রতিটি তালের শাঁস বিক্রি করেন ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা ধরে। প্রতিদিন বিক্রি করেন ৫০০-৬০০ পিছ তালের শাঁস। হোমনার সদরে,মনিপুর বাজার,কাশিপুর বাজার,শ্রীপুর বাজার,ঘারমোড়া বাজার সহ হোমনার বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিভিন্ন গলিতে দেখা যায় তালের শাঁস কিনে নেওয়ার জন্য মানুষ ভির ।
প্রচণ্ড গরমে তালের কচি শাঁস এবং এর ভেতরের মিষ্টি পানি তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। তালের এমন চাহিদা বাড়ায় লাভবান হচ্ছেন মৌসুমী ক্ষুদ্র তাল বিক্রেতারা। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি হয় তালের শাঁস। কেউ বিক্রি করেন ভ্যানে করে আবার কেউ কেউ বিক্রি করেন রাস্তার মোড়ে বসে।