টাঙ্গাইল থেকে ঘুরে এসে- টাঙ্গাইলে বিশ্বখ্যাত ২০১ গম্বুজ মসজিদ
- আপডেট টাইম : ০২:৫৫:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
- / ২৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে নির্মিত হচ্ছে পৃথিবীর অদ্বিতীয় কারুকার্য সম্পন্ন ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট, দক্ষিণ পাথালিয়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্স। এই মসজিদের পাশে বিশ্বের সর্বোচ্চ ৪৫১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৫৭ তলা বিশিষ্ট মিনার তৈরি হচ্ছে । ২০১৩ সালের ১৩ই জানুয়ারি মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, মসজিদটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট। এই নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রান্সসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মাতা পূন্যবতী রিজিয়া খাতুন। মোঃ রফিকুল ইসলামের মাতা রিজিয়া খাতুন উদ্বোধনের ৬ মাস পরে এই পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। মসজিদের পাশেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর কবরের জায়গা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সৌন্দর্যময় কারুকার্যে সুসজ্জিত চমকপ্রদ মহান আল্লাহর এই মহিমান্বিত মসজিদটি বাংলা, তথা মুসলিম বিশ্বের ইসলামী ইতিহাসের পাতায় অনন্তকালের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হবেন। ইনশাআল্লাহ ।বাংলার জমিনে অকল্পনীয় মসজিদটি নির্মাণ করে অতীতের সকল নির্মাতাদের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বের বুকে নতুন এক নজির ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে এই মসজিদ। গুগল ম্যাপ ও ইতোমধ্যে মসজিদটিকে অন্তর্ভুক্ত করে ভেরিফিকেশন প্রদান করেছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই একটি গৌরবের বিষয়। যার কল্যাণে এই মহান কর্মচক্রে পরিচালিত হচ্ছে তিনি হলেন টাঙ্গাইল জেলাধীন গোপালপুর থানার নগদা সিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁথালিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ও বাংলার অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম। এই মসজিদটি ১৫ বিঘা জমির উপর নির্মিত হচ্ছে, অনেকেই বলছেন এটি হবে বিশ্বের অন্যতম একটি সেরা মসজিদ কমপ্লেক্স।
মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন পৃথিবীর কোন মসজিদে পূর্ণাঙ্গ আল কোরআন খোদাই করে লেখা নেই ,এই মসজিদে পিতলের খোদাইকৃত পূর্ণাঙ্গ আল কুরআন লেখার কাজ চলমান আছে। এছাড়া মসজিদের গেটের উপরে পিতলের খোদাইকৃত মহান আল্লাহর ৯৯ নাম সহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) লেখা আছে। এই মসজিদের দক্ষিণ পাশে পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ার তথা মিনার হচ্ছে ৪৫১ ফুট ।আমার জানামতে পৃথিবীর কোন মসজিদে এত উঁচু টাওয়ার নেই, মসজিদের পিছনে ৫ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মাণাধীন।
এখানে একটি মাদ্রাসা ,একটি এতিমখানা ,একটি মাতৃ সনদ হাসপাতাল ,এবং একটি বৃদ্ধাশ্রম হবে। বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে পাশাপাশি অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের দেখাশুনার ব্যবস্থা করা হবে। আমার পরিকল্পনা এখন মসজিদ, মসজিদের মিনার, মাদ্রাসা, এতিমখানা,মাতৃসনদ হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে কাজ করা। এগুলো সম্পন্ন করতে পারি আর না পারি আল্লাহ আমাকে এই নশ্বর পৃথিবী থেকে তুলে নেবেন ,সেই অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি পরিশেষে একটা কথাই বললেন, চলার পথে অর্থের দরকার আছে। কিন্তু সেই অর্থ অর্জন না করাই ভালো ,যেভাবে অর্জনে আল্লাহ অসন্তুষ্টি হয়। আল কুরান ও হাদিস অনুযায়ী যেন সবাই চলে বা চেষ্টা করেন। পরিশেষে আমার সন্তান ,পরিবার, দেশবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আমি এক সময় মারা যাবো আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ,আমার কোন ভুল থাকলে আমাকে মাফ করে দেবেন ,আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করে দেন ।আমি মারা গেলে আমার অসম্পূর্ণ কাজ গুলো সম্পন্ন করবেন ,আমার সব কিছু কল্যাণ ট্রাস্টে দিয়ে দিয়েছি। সবশেষে বলতে চাই আল্লাহর ইচ্ছায় ২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেছি,নিজের জন্য কিছুই রাখেনি। এখানে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক ধর্ম ও গবেষণা কেন্দ্র হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য পূর্ণবাসন প্রকল্প হবে। বেকার যুবকদের কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে সাবালম্বি করার প্রকল্প হবে। মাতৃ স্বাস্থ্য হাসপাতাল স্থাপন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা হবে। সেবার লক্ষে বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন। এসব প্রকল্পের কাজ চলমান আছে এগুলো শেষ করা অপেক্ষায় আছি। আপনাদের সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।