ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মঠবাড়িয়া সাংবাদিক কন্যা স্কুলছাত্রী ঊর্মির ধর্ষক ও হত্যাকারী ছগীরের ফাঁসির দাবিতে এবং সারা দেশের ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২৯ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ ১জন আটক জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানাল জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিগত সরকারের সময় অর্থনৈতিক তথ্য ছিল ‘গোঁজামিল নির্ভর’ গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেন্ট এ কারের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নান্দাইলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মোটা চালের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্ট।।

মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের । সরবরাহ বাড়ায় কমেছে শাক-সবিজর দাম। আটা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস ধরে উর্ধমুখী চালের বাজার। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল এখন বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। তবে টানা বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৪-৪৮, সরু নাজির ও মিনিকেট ৫৮-৬২ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের নুরু রাইচ এজেন্সীর সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম একটু কমেছে। তবে এইদামও অনেক বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। এসব চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত কয়েকমাস ধরে দাম বাড়লেও আর কমছে না। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১২০ পাঁচ লিটারের ক্যান ৬০০-৬৫০, সয়াবিন তেল বোতল একলিটার ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে আটা খোলা প্রতিকেজি ৩০-৩২, আটা প্যাকেট ৩৩-৩৫, ময়দা প্যাকেট ৪০-৪৫, ডাল মসুর প্রতিকেজি ৬৫-১৪০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিডজন ডিম ৯০-১০০ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০, এবং দেশী পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয় যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোটা চালের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্ট।।

মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের । সরবরাহ বাড়ায় কমেছে শাক-সবিজর দাম। আটা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস ধরে উর্ধমুখী চালের বাজার। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল এখন বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। তবে টানা বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৪-৪৮, সরু নাজির ও মিনিকেট ৫৮-৬২ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের নুরু রাইচ এজেন্সীর সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম একটু কমেছে। তবে এইদামও অনেক বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। এসব চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত কয়েকমাস ধরে দাম বাড়লেও আর কমছে না। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১২০ পাঁচ লিটারের ক্যান ৬০০-৬৫০, সয়াবিন তেল বোতল একলিটার ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে আটা খোলা প্রতিকেজি ৩০-৩২, আটা প্যাকেট ৩৩-৩৫, ময়দা প্যাকেট ৪০-৪৫, ডাল মসুর প্রতিকেজি ৬৫-১৪০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিডজন ডিম ৯০-১০০ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০, এবং দেশী পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয় যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে।