ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
সাপ্তাহিক কাটাখালী পত্রিকার ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উদযাপন প্রখর রোদ উপেক্ষা করে মহাম্মদপুর ঘৌড়দৌড় মেলা টাঙ্গাইলের কলেজ পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড পানি দিবসেও পানি সংকটে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েকে গনধর্ষণ; মামলা উত্তোলনের জন্য হামলা! গাজীপুরে স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লার নির্বাচন পরিচালনা কার্যলায়ের শুভ উদ্বোধন কোস্টগার্ডের উদ্যোগে কয়রা এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান গণপূর্ত অধিদফতরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চতুর্থ পর্যায়ে গৃহহীনদের মাঝে ও ভূমি ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস্য রিমন সৈয়দপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসুম মটরস শোরুমে হামলা

মোটা চালের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

অর্থনৈতিক রিপোর্ট।।

মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের । সরবরাহ বাড়ায় কমেছে শাক-সবিজর দাম। আটা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস ধরে উর্ধমুখী চালের বাজার। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল এখন বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। তবে টানা বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৪-৪৮, সরু নাজির ও মিনিকেট ৫৮-৬২ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের নুরু রাইচ এজেন্সীর সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম একটু কমেছে। তবে এইদামও অনেক বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। এসব চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত কয়েকমাস ধরে দাম বাড়লেও আর কমছে না। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১২০ পাঁচ লিটারের ক্যান ৬০০-৬৫০, সয়াবিন তেল বোতল একলিটার ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে আটা খোলা প্রতিকেজি ৩০-৩২, আটা প্যাকেট ৩৩-৩৫, ময়দা প্যাকেট ৪০-৪৫, ডাল মসুর প্রতিকেজি ৬৫-১৪০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিডজন ডিম ৯০-১০০ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০, এবং দেশী পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয় যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাপ্তাহিক কাটাখালী পত্রিকার ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উদযাপন

মোটা চালের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্ট।।

মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের । সরবরাহ বাড়ায় কমেছে শাক-সবিজর দাম। আটা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস ধরে উর্ধমুখী চালের বাজার। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল এখন বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। তবে টানা বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৪-৪৮, সরু নাজির ও মিনিকেট ৫৮-৬২ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের নুরু রাইচ এজেন্সীর সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম একটু কমেছে। তবে এইদামও অনেক বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। এসব চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত কয়েকমাস ধরে দাম বাড়লেও আর কমছে না। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১২০ পাঁচ লিটারের ক্যান ৬০০-৬৫০, সয়াবিন তেল বোতল একলিটার ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে আটা খোলা প্রতিকেজি ৩০-৩২, আটা প্যাকেট ৩৩-৩৫, ময়দা প্যাকেট ৪০-৪৫, ডাল মসুর প্রতিকেজি ৬৫-১৪০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিডজন ডিম ৯০-১০০ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০, এবং দেশী পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয় যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে।