ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

ঘোড়াশালে সাংবাদিক ডেকে এনে মারধর করলেন কাউন্সিলর জাহিদ হাসান থানায় অভিযোগ

মন্জুর হোসেন খান নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

নরসিংদীর পলাশে ফারদিন হাসান দিপ্ত (২০) নামে এক সাংবাদিককে রাস্তা থেকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাহিদ হাসান নামে এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৩ ফেব্রয়ারি) দুপুরে পলাশ উপজেলা পরিষদের নিমার্ণাধিন একটি ভবনের ভিতর এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারদিন হাসান দিপ্তর মা আফিয়া বেগম বাদি হয়ে পলাশ থানায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত জাহিদ হাসান উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে। ও ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। অন্যদিকে ফারদিন হাসান দিপ্ত একই গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।

ফারদির হাসান দিপ্ত জানান, দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পরিষদের পুকুর পাড়ে সামনে রাস্তায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় পাশের একটি নিমার্ণাধীন ভবন থেকে জাহিদ কমিশনার দুইজন লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনতে বলে। এসময় দিপ্ত তাদের একটু পরে দেখা করছে বললে কমিশনার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোড়পূর্বক নিমার্ণাধীন ভবনে ভিতর তুলে আনে। পরে সেখানে কোন কথা বুঝে উঠার আগেই কমিশনার তাকে চড় থাপ্পর ও কিলগুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ভবনের ভিতর নিমার্ণ কাজে ব্যবহত বেলচা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে । পরে বেয়াদবি করার কথা বলে পায়ে ধরিয়ে মাপ চায়িয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় আহত ফারদিন হাসন দিপ্ত অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বলেন, তাকে ডেকে আনার পর সে আমার সাথে বেয়াদবি করায় তাকে শাসন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাব, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকরা। অভিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘোড়াশালে সাংবাদিক ডেকে এনে মারধর করলেন কাউন্সিলর জাহিদ হাসান থানায় অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

নরসিংদীর পলাশে ফারদিন হাসান দিপ্ত (২০) নামে এক সাংবাদিককে রাস্তা থেকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাহিদ হাসান নামে এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৩ ফেব্রয়ারি) দুপুরে পলাশ উপজেলা পরিষদের নিমার্ণাধিন একটি ভবনের ভিতর এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারদিন হাসান দিপ্তর মা আফিয়া বেগম বাদি হয়ে পলাশ থানায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত জাহিদ হাসান উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে। ও ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। অন্যদিকে ফারদিন হাসান দিপ্ত একই গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।

ফারদির হাসান দিপ্ত জানান, দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পরিষদের পুকুর পাড়ে সামনে রাস্তায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় পাশের একটি নিমার্ণাধীন ভবন থেকে জাহিদ কমিশনার দুইজন লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনতে বলে। এসময় দিপ্ত তাদের একটু পরে দেখা করছে বললে কমিশনার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোড়পূর্বক নিমার্ণাধীন ভবনে ভিতর তুলে আনে। পরে সেখানে কোন কথা বুঝে উঠার আগেই কমিশনার তাকে চড় থাপ্পর ও কিলগুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ভবনের ভিতর নিমার্ণ কাজে ব্যবহত বেলচা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে । পরে বেয়াদবি করার কথা বলে পায়ে ধরিয়ে মাপ চায়িয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় আহত ফারদিন হাসন দিপ্ত অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বলেন, তাকে ডেকে আনার পর সে আমার সাথে বেয়াদবি করায় তাকে শাসন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাব, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকরা। অভিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।