ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

কর দিয়ে দেশের উন্নয়নের একজন অংশীদার আমি

  • আপডেট টাইম : ০১:০১:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৬৮৭ ৫০০.০০০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

‘সরকার দেশের যে উন্নয়ন করছে, আমি প্রতিবছর আয়কর দিয়ে দেশের সেই উন্নয়নের একজন গর্বিত অংশীদার। এজন্য আমি গর্ববোধ করছি। আমি ২৭ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছি। শুধু আমিই না, আমার পরিবারের সদস্যরাও আয়কর দেন। আমার স্ত্রী ৩২ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছেন।’ কর দেওয়া প্রসঙ্গে এভাবেই কথাগুলো বললেন সাতক্ষীরা জেলার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ এর খেতাব পাওয়া পরিবহন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক গোলাম রব্বানী।

বলাকা পরিবহনের মালিক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘করের আওতায় পড়েছে এমন সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিলে দেশ এবং দেশের জনগণের উন্নতি অবধারিত। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো একটি বড় প্রকল্প বিদেশি সহায়তা ছাড়াই প্রায় শেষ করে ফেলেছে। সরকার এটি করতে পারছে কারণ ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাতক্ষীরা জেলার কর বাহাদুর নির্বাচিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি বহু বছর ধরে আয়কর দিয়ে আসছি। তার প্রতিদান পেয়ে আনন্দিত।’

এলাকায় অন্যদের কর দিতে উৎসাহিত করেছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘রাজস্ব হলো উন্নয়নের অক্সিজেন। আয়কর দেওয়া ব্যবসায়ীদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়মিত কর দিতে উদ্বুদ্ধ করি।

 

গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নূরজাহান রব্বানী ৩২ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছেন। রব্বানীর দম্পত্তির বড় ছেলে পরিবহন ব্যবসায়ী গোলাম আজম ও ঠিকাদার ছোট ছেলে গোলাম আকবর ১৪ বছর ধরে কর দিচ্ছে। আর মেয়ে জোবাইদা নাহার ১১ বছর ধরে কর দিচ্ছেন। বড় ছেলে ও একমাত্র মেয়ে দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। তিন সন্তানই ঢাকায় বসবাস করেন।

সাতক্ষীরা জেলা কর অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৭ হাজার করদাতার মধ্যে গোলাম রব্বানি গত অর্থবছরে ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৮০ টাকা কর দিয়েছেন। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে গত অর্থবছর পর্যন্ত ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৭ টাকা আয়কর দিয়েছেন।

খুলনা সার্কেল-১৩ সাতক্ষীরা সহকারী কর কমিশনার শামসুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতি বছর করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবছর সাতক্ষীরা জেলায় নতুন করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৪ জন। করের প্রতি ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ই-সেন্টার ও পৌরসভার ই-সেন্টারের উদ্যোগতাদের ই-টিন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে অভিজ্ঞ বানানো হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কর দিয়ে দেশের উন্নয়নের একজন অংশীদার আমি

আপডেট টাইম : ০১:০১:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

‘সরকার দেশের যে উন্নয়ন করছে, আমি প্রতিবছর আয়কর দিয়ে দেশের সেই উন্নয়নের একজন গর্বিত অংশীদার। এজন্য আমি গর্ববোধ করছি। আমি ২৭ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছি। শুধু আমিই না, আমার পরিবারের সদস্যরাও আয়কর দেন। আমার স্ত্রী ৩২ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছেন।’ কর দেওয়া প্রসঙ্গে এভাবেই কথাগুলো বললেন সাতক্ষীরা জেলার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ এর খেতাব পাওয়া পরিবহন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক গোলাম রব্বানী।

বলাকা পরিবহনের মালিক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘করের আওতায় পড়েছে এমন সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিলে দেশ এবং দেশের জনগণের উন্নতি অবধারিত। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো একটি বড় প্রকল্প বিদেশি সহায়তা ছাড়াই প্রায় শেষ করে ফেলেছে। সরকার এটি করতে পারছে কারণ ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাতক্ষীরা জেলার কর বাহাদুর নির্বাচিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি বহু বছর ধরে আয়কর দিয়ে আসছি। তার প্রতিদান পেয়ে আনন্দিত।’

এলাকায় অন্যদের কর দিতে উৎসাহিত করেছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘রাজস্ব হলো উন্নয়নের অক্সিজেন। আয়কর দেওয়া ব্যবসায়ীদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়মিত কর দিতে উদ্বুদ্ধ করি।

 

গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নূরজাহান রব্বানী ৩২ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছেন। রব্বানীর দম্পত্তির বড় ছেলে পরিবহন ব্যবসায়ী গোলাম আজম ও ঠিকাদার ছোট ছেলে গোলাম আকবর ১৪ বছর ধরে কর দিচ্ছে। আর মেয়ে জোবাইদা নাহার ১১ বছর ধরে কর দিচ্ছেন। বড় ছেলে ও একমাত্র মেয়ে দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। তিন সন্তানই ঢাকায় বসবাস করেন।

সাতক্ষীরা জেলা কর অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৭ হাজার করদাতার মধ্যে গোলাম রব্বানি গত অর্থবছরে ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৮০ টাকা কর দিয়েছেন। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে গত অর্থবছর পর্যন্ত ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৭ টাকা আয়কর দিয়েছেন।

খুলনা সার্কেল-১৩ সাতক্ষীরা সহকারী কর কমিশনার শামসুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতি বছর করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবছর সাতক্ষীরা জেলায় নতুন করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৪ জন। করের প্রতি ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ই-সেন্টার ও পৌরসভার ই-সেন্টারের উদ্যোগতাদের ই-টিন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে অভিজ্ঞ বানানো হয়েছে।