ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের অবহেলায় মহাসড়ক অনিরাপদ, জনদুর্ভোগ চরমে ভাঙ্গুড়ায় চার নিয়োগে অর্ধ কোটি টাকা ঘুস আদায় আ.লীগ নেতার মা-তুমি অনন্ত, তুমি মহাসমুদ্র, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ গাজীপুরের কাশিমপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ২জন ও ধর্ষণ মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ নিজেকে কতটুকু জানি? আমাদের অবস্থার ভিত্তি কী? গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি মগবাজারে বিজয় উৎসবে আমীরে জামায়াতের দৃপ্ত ভাষণ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারত নাসিরনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত ভৈরবে দুলা ভাইয়ের হাতে শ্যালক খুন ঘাতক গ্রেফতার

একুশের পদক পাচ্ছেন সুজাতা-আসাদ-পাপিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩১৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বিনোদন প্রতিনিধি।।

শিল্পকলার ছয় জনসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান স্বরূপ তিন ভাষা সৈনিক, তিন মুক্তিযোদ্ধা, তিন সাহিত্যিক, সাংবাদিকতা, গবেষণা, অর্থনীতি ও আলোকচিত্রে একজন করে মোট ২১ জনকে এবছর একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বিনোদনে পাচ্ছেন ছয়জন।

Nogod

তারা হলেন- সংগীতে একুশে পদক পাচ্ছেন পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী ও আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।তন্দ্রা মজুমদার, এখন লোকে ‘সুজাতা আজিম’ নামেই চেনে। তিনি কুষ্টিয়ার থানাপাড়া জমিদার বাড়ির মেয়ে। রূপালি পর্দার প্রথম ‘রূপবান’ তিনি। ১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পরিচিত। আছে আরও অনেক স্মরণীয় চরিত্র। সংসারও করেছেন এক নায়কের সঙ্গে। অভিনেতা আজিমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৮ সালের পর প্রায় একযুগ অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।রাইসুল ইসলাম আসাদ আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম। যিনি রাইসুল ইসলাম আসাদ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালের ১৫ জুন তার জন্ম। তিনি বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চার বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭২ সালে আসাদ প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, ‘আমি রাজা হব না’ এবং ‘সর্পবিষয়ক’ নামের দুইটি নাটকে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া আবার তোরা মানুষ হ।আসাদ নাটক পরিচালনাও করছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

পাপিয়া সারোয়ার পাপিয়া সারোয়ার একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন প্রকাশক। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সঙ্গীত দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন।

আহমেদ ইকবাল হায়দার

আহমেদ ইকবাল হায়দার স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বিকাশে যে কয়জন মানুষের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে আহমেদ ইকবাল হায়দার অন্যতম। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের ‘তির্যক’ নাট্যদলের দলপ্রধান।

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনীকার। তিনি ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ঘুড্ডি এর কাহিনী লিখে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন।

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে বাংলা উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, আবৃত্তি শিল্পী, নাট্যাভিনেতা ও লেখক। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একুশের পদক পাচ্ছেন সুজাতা-আসাদ-পাপিয়া

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিনোদন প্রতিনিধি।।

শিল্পকলার ছয় জনসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান স্বরূপ তিন ভাষা সৈনিক, তিন মুক্তিযোদ্ধা, তিন সাহিত্যিক, সাংবাদিকতা, গবেষণা, অর্থনীতি ও আলোকচিত্রে একজন করে মোট ২১ জনকে এবছর একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বিনোদনে পাচ্ছেন ছয়জন।

Nogod

তারা হলেন- সংগীতে একুশে পদক পাচ্ছেন পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী ও আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।তন্দ্রা মজুমদার, এখন লোকে ‘সুজাতা আজিম’ নামেই চেনে। তিনি কুষ্টিয়ার থানাপাড়া জমিদার বাড়ির মেয়ে। রূপালি পর্দার প্রথম ‘রূপবান’ তিনি। ১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পরিচিত। আছে আরও অনেক স্মরণীয় চরিত্র। সংসারও করেছেন এক নায়কের সঙ্গে। অভিনেতা আজিমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৮ সালের পর প্রায় একযুগ অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।রাইসুল ইসলাম আসাদ আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম। যিনি রাইসুল ইসলাম আসাদ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালের ১৫ জুন তার জন্ম। তিনি বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চার বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭২ সালে আসাদ প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, ‘আমি রাজা হব না’ এবং ‘সর্পবিষয়ক’ নামের দুইটি নাটকে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া আবার তোরা মানুষ হ।আসাদ নাটক পরিচালনাও করছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

পাপিয়া সারোয়ার পাপিয়া সারোয়ার একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন প্রকাশক। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সঙ্গীত দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন।

আহমেদ ইকবাল হায়দার

আহমেদ ইকবাল হায়দার স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বিকাশে যে কয়জন মানুষের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে আহমেদ ইকবাল হায়দার অন্যতম। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের ‘তির্যক’ নাট্যদলের দলপ্রধান।

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনীকার। তিনি ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ঘুড্ডি এর কাহিনী লিখে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন।

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে বাংলা উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, আবৃত্তি শিল্পী, নাট্যাভিনেতা ও লেখক। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষক।