ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অর্থ পাচারের টাকায় বিদেশে বাপবেটার ‘বাড়ি বিলাস’ রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত ঈদের আগেই লাগামহীন মাংসের বাজার অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চায় চীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত ২৯ জন কে অনুদানের অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ কার্যক্রম গাজীপুরের পূবাইলে ঈদ বোনাসকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক ধস্তা ধস্তি রাজনৈতিক ভুয়া হয়রানিমূলক আরও ৬৬৮২ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা, গেজেট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন সরকার ঘটনাটা কি বাপের বাড়ি মোয়া

মিরপুরের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী নেহা গ্রেফতার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩৯৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার।।

বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া মিরপুরের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী নেহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুণ অর রশিদ জানিয়েছেন।

এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মারা গেছেন।

নেহাকে নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হারুণ বলেন, মামলায় যে অজ্ঞাত পরিচয় যার কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ওই তরুণী তার বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীর ডাকে সাড়া দিয়ে মিরপুরের আহমাদবাগের বাসা থেকে বের হয়। রায়হান স্কুটিতে করে মেয়েটিকে নিয়ে লালমাটিয়ায় তাদের বন্ধু আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটি রেখে তিনজন মিলে একটি গাড়িতে করে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় যান।

তাদের বান্ধবী নেহা এবং অপর এক ছেলে বন্ধু সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল। এই পাঁচজন মিলে একসঙ্গে ‘মদ্যপান করেন’।

নেহা ও তার সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধু প্রথমে চলে যান। পরে ওই তরুণী, রায়হান ও আরাফাত একসঙ্গে বের হন।

আরাফাত গুলশানে নেমে গিয়ে সেখান থেকে মাওয়ায় গিয়ে আরেকটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান উপকমিশনার হারুন।

তিনি বলেন, ওই তরুণীকে নিয়ে রাতে মোহাম্মদপুরে তাদের আরেক বান্ধবী নুহাদ আলম তাফসীরের বাসায় উঠেন রায়হান। সেখানে ওই তরুণী বেশ কয়েক বার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এই বাসায় তরুণীকে রায়হান ধর্ষণ করেন বলে তরুণীর বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

উপকমিশনার হারুণ বলেন, পরদিন শুক্রবার অসুস্থ থাকলেও মেয়েটির কোনো চিকিৎসা হয়নি। শনিবার ভোরে ওই বাসা থেকেই তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, ওই তরুণীর মৃত্যূর খবর জানার পর তাদের বন্ধু আরাফাতের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আরাফাত শুক্রবারই মারা গেলেও পরে জানতে পারে পুলিশ।

তিনি বলেন, তদন্তে জানা গেছে আরাফাত উত্তরায় মদ্যপান করার পর আরেকটি পার্টিতে মাওয়া গিয়েছিলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয় এবং কাউকে না জানিয়ে স্বজনরা রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিরপুরের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী নেহা গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০৬:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।।

বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া মিরপুরের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী নেহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুণ অর রশিদ জানিয়েছেন।

এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মারা গেছেন।

নেহাকে নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হারুণ বলেন, মামলায় যে অজ্ঞাত পরিচয় যার কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ওই তরুণী তার বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীর ডাকে সাড়া দিয়ে মিরপুরের আহমাদবাগের বাসা থেকে বের হয়। রায়হান স্কুটিতে করে মেয়েটিকে নিয়ে লালমাটিয়ায় তাদের বন্ধু আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটি রেখে তিনজন মিলে একটি গাড়িতে করে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় যান।

তাদের বান্ধবী নেহা এবং অপর এক ছেলে বন্ধু সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল। এই পাঁচজন মিলে একসঙ্গে ‘মদ্যপান করেন’।

নেহা ও তার সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধু প্রথমে চলে যান। পরে ওই তরুণী, রায়হান ও আরাফাত একসঙ্গে বের হন।

আরাফাত গুলশানে নেমে গিয়ে সেখান থেকে মাওয়ায় গিয়ে আরেকটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান উপকমিশনার হারুন।

তিনি বলেন, ওই তরুণীকে নিয়ে রাতে মোহাম্মদপুরে তাদের আরেক বান্ধবী নুহাদ আলম তাফসীরের বাসায় উঠেন রায়হান। সেখানে ওই তরুণী বেশ কয়েক বার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এই বাসায় তরুণীকে রায়হান ধর্ষণ করেন বলে তরুণীর বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

উপকমিশনার হারুণ বলেন, পরদিন শুক্রবার অসুস্থ থাকলেও মেয়েটির কোনো চিকিৎসা হয়নি। শনিবার ভোরে ওই বাসা থেকেই তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, ওই তরুণীর মৃত্যূর খবর জানার পর তাদের বন্ধু আরাফাতের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আরাফাত শুক্রবারই মারা গেলেও পরে জানতে পারে পুলিশ।

তিনি বলেন, তদন্তে জানা গেছে আরাফাত উত্তরায় মদ্যপান করার পর আরেকটি পার্টিতে মাওয়া গিয়েছিলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয় এবং কাউকে না জানিয়ে স্বজনরা রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করেন।