আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম-বাংলা থেকে বিলীন হয়ে গেছে ঢেঁকি
- আপডেট টাইম : ০৭:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৩৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম-বাংলা থেকে বিলীন হয়ে গেছে ঢেঁকি। গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় এক সময় ঢেঁকি দিয়ে চাল তৈরি, চিরা ভাঙা, গম,পায়েসের চাল গুড়ো, খিরের চাল বানানোর সেই ঢেঁকি আজ অসহায় হয়ে গেছে ইঞ্জিন চালিত মেশিনের কাছে।
চৈত্র মাস শেষে নতুন ধানের গন্ধে যখন গ্রাম বিমোহিত হতো তখনি গ্রাম্য মেয়েরা নতুন চাউলের পিঠা আর হরেক রকম খাবার তৈরিতে ব্যস্ত থাকতো। আগে বারোমাস ঢেঁকি ব্যবহার করতে দেখা গেলেও বর্তামানে বিশেষ কোনো কাজেও তা আর ব্যবহার করতে দেখা যায় না। একটা সময় ঈদ,পূর্জা,নবান্ন উৎসব ও বিশেষ কোনো দিনেও পিঠা পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকি দিয়ে চাউলের আটা তৈরি করা হতো।
ঢেঁকি হচ্ছে কাঠের তৈরি কল বিশেষ। প্রায় ৬ ফুট লম্বা ও ৯ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট একটি ধড় থাকে ঢেঁকিতে। মেঝে থেকে ১৮ ইঞ্চি উচ্চতায় ধড়ের একেবারে সামনে দুই ফুট লম্বা একটি গোল কাঠ থাকে। কালের বিবর্তনে আধুনিক যুগের সেই কাঠের ঢেঁকির জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্যুৎ চালিত মেশিন ও ইঞ্জিন চালিত মেশিন। তবে বিদ্যুৎ চালিত মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই খুব সহজে ধান থেকে চাল তৈরি করে নিতে পারছে।
বর্তমানে মানুষের প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং কর্মব্যবস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ঢেঁকির ব্যবহার নেই বললেই চলে। ঢেঁকিতে ভাঙা পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু চালের বেশ কদর ছিল সেসময়। ধান, গম ভাঙা যন্ত্র আবিষ্কারের এক সময়ের নিত্যপ্রয়োজনীয় ঢেঁকি আজ বিলুপ্ত প্রায়। গ্রাম খুঁজেও একটি ঢেঁকির দেখা মিলে না অথচ একটা সময় গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় ব্যবহার করতো ঢেঁকি।