ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ

রেস্তোরাসহ পর্যটন এলাকাকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন- এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৬১ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রেস্তোরাসহ পর্যটন এলাকাকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। ৩ ফেব্রুয়ারি ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয় শীর্ষক’ এক ভার্চুয়ালি সভায় এ অভিমত প্রকাশ করা হয়। এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ এবং এটিজেএফবি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএস’র অনলাইন ইনচার্জ তানজীব আনোয়ার।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এক কক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখা যাবে। অথচ হওয়া উচিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা এবং ধূমপানসহ যেকোন ধরনের তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সেহেতু হোটেল রেস্তোরাগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে আমাদের এই বার্তা নিয়মিত ভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে।

এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ বলেন, আকাশ পথে যদি ধূমপান নিষিদ্ধ থাকে তবে অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও ধূমপান নিষিদ্ধ করতে কঠোর আইন করতে হবে। আমাদের ধারণা আসতে পারে যে, শতভাগ ধূমপানমুক্ত স্থান ট্যুরিজম সেক্টরকে ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ভুটান শতভাগ ধূমপান মুক্ত দেশ হওয়া সত্বেও ট্যুরিজমে তারা অনেক এগিয়ে রয়েছে। এজন্য আমাদের দেশের হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোকে পুরোপুরি ধূমপান মুক্ত করতে আইন সংশোধন করতে হবে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের সহযোগীতায় সভায় এটিজেএফবি’র যে সদস্য সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- শফিউল্লাহ সুমন (বিটিভি), জিয়াউল হক সবুজ (বাংলাভিশন), মঞ্জুরুল ইসলাম (বলিক বার্তা), রিতা নাহার (বৈশাখী টিভি), মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), বাতেন বিপ্লব (এশিয়ান টিভি), ইমরুল কাউসার ইমন (ভোরের ডাক), রাশিদুল হাসান (দ্য ডেইলি স্টার), মাহফুজ কামাল বাবু (চ্যানেল ২৪) ও কামরান সিদ্দিকী (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনের যেসব দূর্বলদিক তামাক নিয়ন্ত্রণে বাধা রয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ রাখা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়নি, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ নয়, ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার/আয়তন নির্ধারণ না করায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে ও তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়নি।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে

রেস্তোরাসহ পর্যটন এলাকাকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন- এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রেস্তোরাসহ পর্যটন এলাকাকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। ৩ ফেব্রুয়ারি ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয় শীর্ষক’ এক ভার্চুয়ালি সভায় এ অভিমত প্রকাশ করা হয়। এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ এবং এটিজেএফবি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএস’র অনলাইন ইনচার্জ তানজীব আনোয়ার।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এক কক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখা যাবে। অথচ হওয়া উচিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা এবং ধূমপানসহ যেকোন ধরনের তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সেহেতু হোটেল রেস্তোরাগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে আমাদের এই বার্তা নিয়মিত ভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে।

এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ বলেন, আকাশ পথে যদি ধূমপান নিষিদ্ধ থাকে তবে অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও ধূমপান নিষিদ্ধ করতে কঠোর আইন করতে হবে। আমাদের ধারণা আসতে পারে যে, শতভাগ ধূমপানমুক্ত স্থান ট্যুরিজম সেক্টরকে ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ভুটান শতভাগ ধূমপান মুক্ত দেশ হওয়া সত্বেও ট্যুরিজমে তারা অনেক এগিয়ে রয়েছে। এজন্য আমাদের দেশের হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোকে পুরোপুরি ধূমপান মুক্ত করতে আইন সংশোধন করতে হবে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের সহযোগীতায় সভায় এটিজেএফবি’র যে সদস্য সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- শফিউল্লাহ সুমন (বিটিভি), জিয়াউল হক সবুজ (বাংলাভিশন), মঞ্জুরুল ইসলাম (বলিক বার্তা), রিতা নাহার (বৈশাখী টিভি), মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), বাতেন বিপ্লব (এশিয়ান টিভি), ইমরুল কাউসার ইমন (ভোরের ডাক), রাশিদুল হাসান (দ্য ডেইলি স্টার), মাহফুজ কামাল বাবু (চ্যানেল ২৪) ও কামরান সিদ্দিকী (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনের যেসব দূর্বলদিক তামাক নিয়ন্ত্রণে বাধা রয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ রাখা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়নি, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ নয়, ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার/আয়তন নির্ধারণ না করায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে ও তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়নি।