সিলেটে ৩ দফা দাবিতে বাম জোটের মিছিল অনুষ্ঠিত
- আপডেট টাইম : ০৩:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
গ্যাস বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা বন্ধ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচন এই তিন দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় নগর ভবনের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শেষ হয়।
জোট সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) দলের আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ও বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সভাপতি সিরাজ আহমেদ, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আবারও গ্যাস বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা করছে শুধু তাই নয় এটা কে সাংবিধানিক রূপ দেয়ার আয়োজন হিসেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর এখতিয়ার ক্ষুন্ন করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি নির্ধারণের ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে কার্যকর করার পরিকল্পনা সরকারের। আই এম এফ এর ঋন দ্রুত পেতেই এই তাড়াহুড়ো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি ডব্লিউ এফ পি’র প্রতিবেদনে এসেছে এ বছরের আগষ্ট মাসে পরিবারের খাদ্য কেনার জন্য দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ ঋন নিয়েছেন। ২৯ শতাংশ পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙেছেন।এর মধ্যে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের ১২ মাসের সকল সঞ্চয় ভেঙেছেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি যে একেবারে ভেঙে পড়ার পরিস্থিতিতে চলে গেছে সেটার মূল কারণ আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলা অপশাসন, লুটপাট এবং সর্বোপরি লুটপাটকৃত টাকা পাচার হওয়া।
তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনী ব্যাবস্থাসহ সাংবিধানিক সংশোধন এখন সময়ের দাবি। বাম গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশের সময়ই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, নির্বাচন কমিশন সহ সাংবিধানিক
কাঠামোগুলোর স্বাধীন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করা, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নির্বাচনব্যাবস্থা সাজানোসহ বেশকিছু দাবি তোলা হয়েছিল, সরকার কর্ণপাত করেনি।
নেতৃবৃন্দ নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানান।