ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
একজন দানবীর ও সাদা মনের মানুষ জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম আজীবন জনকল্যাণে কাজ করে যেতে চান নাসিরনগরে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের ঈদ উপহার বিতরণ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: ড. ইউনূস ভারত মহাসাগরের যে ঘাঁটি থেকে ইরানকে টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা শ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত -২ ফের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে গাজায় ইংল্যান্ডে ঘাপটি মেরে আছে জার্মানির গুপ্তচর নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

যে কোনো প্রান্তে হামলা চালাতে চীনের হাইপারসনিক প্রস্তুতি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৬৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

মাত্র ১৪ মিনিটে চীনা যুদ্ধবিমান পৌঁছে যাবে মার্কিন উপকূলে, চালাতে পারবে পরমাণু হামলাও। শুধু আমেরিকায় নয়, খুব অল্প সময়েই যুদ্ধবিমানটি পারমাণু বোমা ফেলতে পারবে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে। তেমনই এক হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করছে চীন।

হংকংভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে এ হাইপারসনিক জেট আকাশে উড়বে। হাইপারসনিক জেটটি তৈরির কাজ চলছে। চীনা এক বিজ্ঞানী বলেছেন, জেটটিকে পরীক্ষা করা হবে একটি উইন্ড টানেলের মধ্যে। সেই বিশেষ উইন্ড টানেলও তৈরির কাজ চলছে।

অত্যন্ত গোপনীয় উইন্ড টানেল প্রকল্পটিতে কাজ করছেন যে বিজ্ঞানীরা, তাদেরই একজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। তবে হাইপারসনিক জেট তৈরি হচ্ছে, সেটির পরীক্ষা শুধু নয়, আরও নানা ধরনের হাইপারসনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চীন।

২০২০ সালের মধ্যেই টানেলটি তৈরি হয়ে যাবে বলে চীনা বিজ্ঞানী ঝাও ওয়েই জানিয়েছেন। ওই বছরের মধ্যেই পরমাণু হামলায় সক্ষম হাপারসনিক জেটটি তৈরির কাজ শেষ হবে। সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে চীনের এই হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান। অর্থাৎ শব্দের ৩৫ গুণ বেগে ছুটে চলবে বিমানটি।

এ গতিবেগে উড়লে চীন থেকে মার্কিন উপকূলে পৌঁছাতে মাত্র ১৪ মিনিট সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে এটিই চীনের প্রথম হাইপারসনিক জেট প্রকল্প নয়। ডিএফ-জেএফ নামে একটি হাইপারসনিক জেট ২০১৩ সালেই তৈরি করে চীন। এ পর্যন্ত অন্তত সাত বার পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন করা হয়েছে।

এই ডিএফ-জেডএফ শব্দের পাঁচগুণ এবং ১০ গুণ বেগে উড়তে পারে। ডিএফ-জেডএফ ব্যবহার করেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো বা পরমাণু বোমা ফেলা সম্ভব বলে চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি। কিন্তু তার চেয়েও অনেক শক্তিশালী, দ্রুতগামী এবং প্রায় অপ্রতিরোধ্য জেট তৈরির পথে চীন অনেকটা এগিয়েছে। আনন্দবাজার।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যে কোনো প্রান্তে হামলা চালাতে চীনের হাইপারসনিক প্রস্তুতি

আপডেট টাইম : ১২:৪২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

মাত্র ১৪ মিনিটে চীনা যুদ্ধবিমান পৌঁছে যাবে মার্কিন উপকূলে, চালাতে পারবে পরমাণু হামলাও। শুধু আমেরিকায় নয়, খুব অল্প সময়েই যুদ্ধবিমানটি পারমাণু বোমা ফেলতে পারবে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে। তেমনই এক হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করছে চীন।

হংকংভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে এ হাইপারসনিক জেট আকাশে উড়বে। হাইপারসনিক জেটটি তৈরির কাজ চলছে। চীনা এক বিজ্ঞানী বলেছেন, জেটটিকে পরীক্ষা করা হবে একটি উইন্ড টানেলের মধ্যে। সেই বিশেষ উইন্ড টানেলও তৈরির কাজ চলছে।

অত্যন্ত গোপনীয় উইন্ড টানেল প্রকল্পটিতে কাজ করছেন যে বিজ্ঞানীরা, তাদেরই একজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। তবে হাইপারসনিক জেট তৈরি হচ্ছে, সেটির পরীক্ষা শুধু নয়, আরও নানা ধরনের হাইপারসনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চীন।

২০২০ সালের মধ্যেই টানেলটি তৈরি হয়ে যাবে বলে চীনা বিজ্ঞানী ঝাও ওয়েই জানিয়েছেন। ওই বছরের মধ্যেই পরমাণু হামলায় সক্ষম হাপারসনিক জেটটি তৈরির কাজ শেষ হবে। সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে চীনের এই হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান। অর্থাৎ শব্দের ৩৫ গুণ বেগে ছুটে চলবে বিমানটি।

এ গতিবেগে উড়লে চীন থেকে মার্কিন উপকূলে পৌঁছাতে মাত্র ১৪ মিনিট সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে এটিই চীনের প্রথম হাইপারসনিক জেট প্রকল্প নয়। ডিএফ-জেএফ নামে একটি হাইপারসনিক জেট ২০১৩ সালেই তৈরি করে চীন। এ পর্যন্ত অন্তত সাত বার পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন করা হয়েছে।

এই ডিএফ-জেডএফ শব্দের পাঁচগুণ এবং ১০ গুণ বেগে উড়তে পারে। ডিএফ-জেডএফ ব্যবহার করেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো বা পরমাণু বোমা ফেলা সম্ভব বলে চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি। কিন্তু তার চেয়েও অনেক শক্তিশালী, দ্রুতগামী এবং প্রায় অপ্রতিরোধ্য জেট তৈরির পথে চীন অনেকটা এগিয়েছে। আনন্দবাজার।