ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা

বাড়ল ডলারের দাম আবারও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৭:১১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক

একদিনের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আবারও বেড়েছে। বুধবার আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিক্রয় দর ৭৫ পয়সা বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায়, যা মঙ্গলবার ছিল ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। তবে আমদানি খাতে ডলারের দাম ১০৮ টাকায় রয়েছে।

বুধবার নতুন আন্তঃব্যাংক রেট (বিনিময় হার) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। বাজারে ডলার ও টাকার জোগান–চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) বিবেচনার ভিত্তিতে ডলারের এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক দৈনন্দিন ভিত্তিতে ডলার কেনাবেচা করবে না। কিন্তু বাজার বিবেচনায় প্রয়োজন হলে ডলার কেনাবেচা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ব্যাংকগুলোর ডলারের কেনাবেচার গড় দাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার যা ছিল ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা। আর বিক্রয়মূল্য বেড়ে হয়েছে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা মঙ্গলবার ছিল ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা।

মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা বাড়ে ডলারে দাম। গতকাল এক লাফে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা দরে বিক্রি করে এবং তাদের ক্রয়মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা, যা তার আগের দিন (সোমবার) ছিল ৯৬ টাকা। ওই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৩৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। তবে ডলারের নতুন এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দর নয়। ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে এই দরে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করেছে।

এদিকে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহের দর সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা বেঁধে দেওয়ার ফলে গত তিন দিন ধরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। আগামীতে এর প্রবাহ আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যাংকের পরিবর্তে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে পারে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আরও সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাড়ল ডলারের দাম আবারও

আপডেট টাইম : ১০:৫৭:১১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

একদিনের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আবারও বেড়েছে। বুধবার আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিক্রয় দর ৭৫ পয়সা বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায়, যা মঙ্গলবার ছিল ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। তবে আমদানি খাতে ডলারের দাম ১০৮ টাকায় রয়েছে।

বুধবার নতুন আন্তঃব্যাংক রেট (বিনিময় হার) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। বাজারে ডলার ও টাকার জোগান–চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) বিবেচনার ভিত্তিতে ডলারের এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক দৈনন্দিন ভিত্তিতে ডলার কেনাবেচা করবে না। কিন্তু বাজার বিবেচনায় প্রয়োজন হলে ডলার কেনাবেচা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ব্যাংকগুলোর ডলারের কেনাবেচার গড় দাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার যা ছিল ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা। আর বিক্রয়মূল্য বেড়ে হয়েছে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা মঙ্গলবার ছিল ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা।

মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা বাড়ে ডলারে দাম। গতকাল এক লাফে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা দরে বিক্রি করে এবং তাদের ক্রয়মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা, যা তার আগের দিন (সোমবার) ছিল ৯৬ টাকা। ওই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৩৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। তবে ডলারের নতুন এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দর নয়। ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে এই দরে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করেছে।

এদিকে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহের দর সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা বেঁধে দেওয়ার ফলে গত তিন দিন ধরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। আগামীতে এর প্রবাহ আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যাংকের পরিবর্তে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে পারে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আরও সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।