এক মায়ের ভাষা অন্য মায়ের সন্তানের কাছে অবহেলা ও অযত্নের শিকার যেন না হয় সে বিষয়ে নজর দিতে হবে
- আপডেট টাইম : ০৩:০০:০৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
মাতৃভাষা মধুর হোক সর্ব আঙিনায়’-এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের আন্তর্জাতিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্মেলন ২০২২ কলকাতার গঙ্গাপুরী শিক্ষাসদন (গার্লস) অডিটরিয়ামে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও ভারত শাখার সম্পাদক কবি ও অভিনয়শিল্পী শ্রী তারকনাথ দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীন। সম্মেলনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক বরুণ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক শামীম, কলিকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক কবি আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মান্না রায়হান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছড়াকার ও কবি লুৎফুর রহমান, কবি ও কথাসাহিত্যিক রূপকুমার পাল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মঞ্চ উপস্থাপক কবি সর্বাণী চ্যাটার্জী, কলকাতা মেট্রো ট্রেনের ডিজিএম কবি ও কণ্ঠশিল্পী প্রত্যুষ ঘোষ, সাংস্কৃতিক সংগঠক ওস্তাদ তারক সাহা, কবি মতিয়ার রহমান প্রমুখ। সম্মেলনের বক্তারা বলেছেন, বাংলাভাষা সাহিত্যের ইতিহাস বিশ্বনন্দিত। এই সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরার জন্য কবি-সাহিত্যিকদের ভূমিকা রাখা জরুরী। পৃথিবীর সকল মানুষের মাতৃভাষাকে মর্যাদা দানে সন্তানদের ভূমিকা রাখা উচিত। আমাদের সকলের উচিত, সকলের মাতৃভাষা যেন বেঁচে থাকে, এক মায়ের ভাষা অন্য মায়ের সন্তানের কাছে অবহেলা ও অযত্নের শিকার যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা। প্রত্যেক মানুষের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সুন্দর বিশ্বকে সাহিত্য-সংস্কৃতির সমৃদ্ধি নবপ্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সকল শাখা ও কর্মীদের সেই বিষয়ে সজাগ থেকে ‘মাতৃভাষা মধুর হোক সর্ব আঙিনায়’ এই স্লোগানের বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বজনীন মাতৃভাষার ইতিহাস আরো গৌরবময় করে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে হবে।