ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ জুলাই – আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের পূনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সু- চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালিয়াকৈরে অস্ত্রসহ এক ছিনতাইকারী আটক লক্ষ্মীপুরে ৫শ হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করছেন জেলা প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদী ও বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান টিউলিপ সিদ্দিকের কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ড. ইউনূস দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত: আইইডিসিআর অসহায় ও দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সরিষাবাড়ীতে ৪’ শতাধিক হতদরিদ্র পেল শীতবস্ত্র কম্বল

কসবায় পাহাড় কাটায় মালিকের বিরুদ্ধে মামলা, ভেকু জব্দ হলেও মেলেনি ভেকুর মালিক

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ইয়াসিন মনি খান
  • আপডেট টাইম : ১১:২৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২০ আগস্ট ২০২২
  • / ২০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

পৃথিবীর লোহ দণ্ড বলা হয় পাহাড়কে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এর ওপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অথচ এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সেই পাহাড়গুলোকে সাবাড় করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পাথারিয়াদ্বার গ্রামে পাহাড় কাটার দায়ে পাহাড় মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করছেন স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুপুরে গোপীনাথপুর ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সময় ভেকু মিশিন জব্দ করা হলেও পরদিন মামলা করা হলো শুধু পাহাড়ের মালিকের বিরুদ্ধে। ভেকু মেশিন মালিককে আসামি করা হয় নি। গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে প্রশাসন মাটি কাটার সময় ঘটনাস্থলে গেলে ভেকু মালিক ও ভেকু চালক পালিয়ে যায়। পরে পাহাড়ের মাটি কাটায় ব্যবহৃত জব্দকৃত ভেকু মেশিনটি গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের জিম্মায় রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন উপজেলার পাথারিয়াদ্বার গ্রামে জনৈক ইউনুস মিয়ার পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকার। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে যায় ভেকু মালিক ও চালক জাকারিয়া।

স্থানীয় জনতার মুখে শোনা যায়, ভেকুর মালিক ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদলত ভেকু মেশিনটি জব্দ করে পাহাড় মালিক ও ভেকু মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে বলে জানায়। কিন্তু পরদিন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শুধু পাহাড় মালিক জনৈক ইউনুস মিয়াকে আসামি করে নিয়মিত মামলা করেন কসবা থানায়। আসামির তালিকা থেকে বাদ পরে যায় ভেকুর মালিক।

ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকার সাংবাদিকের বলেন, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি। জড়িতরা পালিয়ে গেছে। ভেকু মেশিনটি জব্দ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় মালিক ইউনুস মিয়া ও ভেকু মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

এক পর্যায়ে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাহাড় কাটার দায়ে শুধু পাহাড়ের মালিক ইউনুস মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ভেকুর মালিকের বিরুদ্ধে নয়।

গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়ার সাথে ভেকু মেশিনের মালিক কে এ বিষয়টি জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভেকুর মালিক কে তা এলাকার সবাই জানে। ভেকু আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। প্রশাসন এটি নিয়ে গেলেই আমি মুক্ত। তিনি এসব বিষয়ে না জড়ানোর অনুরোধ করেন।

পাথারিয়াদ্বার গ্রামের বাসিন্দা ফায়েজ মিয়া জানান, পাহাড় কাটা বেআইনি হলেও আমাদের এলাকায় পাহাড় কাটা যেনো উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমার বাড়িটি পাহাড়ী টিলার উপর। বাড়ির দু’দিক দিয়ে বিস্তীর্ণ পাহাড় ও টিলা কাটা হয়েছে। শুনেছি আমার বাড়ির দক্ষিণ পাশে লেগে থাকা টিলাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে ফেলবে। এরপর আমার বাড়িটি ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছি।

হাফেজ আলাউদ্দিন জানান, মসজিদে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কথা বলা মুশকিল। চাকুরী হারাতে হবে।
একই গ্রামের বাছির মিয়া বলেন, খাড়া করে পাহাড় কাটার কারণে গবাদিপশু ঘাস খাওয়ার সময় কিনারায় গেলে উপর থেকে পড়ে পঙ্গু ও মৃত্যুবরণ করে একাধিক গবাদিপশু। তিনি আরও বলেন, গত কিছুদিন আগে আমার একটি গরু উপর থেকে পড়ে সাথে সাথেই মারা যায়।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জব্দকৃত ভেকু মেশিনটির মালিক তিনি নন। গত ইউপি নির্বাচনে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজয় বরণকারী প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

গত বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকারের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভেকুর মালিকানার ব্যাপরটি ইউপি সদস্য অস্বীকার করছেন। তাই ভেকুর মালিক ছাড়া শুধু পাহাড়ের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশী তদন্তে ভেকুর প্রকৃত মালিক বেরিয়ে এলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাহাড় কাটায় জড়িত ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন। পাথারিয়াদ্বার, গানপুর, মধুপুর, রামপুর, সূতারমুড়া, ও জেঠুয়ামুড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে এলাকার নিচু জলাশয়, পুকুর ও বিলে পাহাড়ী মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মানুষকে জিম্মি করে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ সাংবাদিকের জানান। ফলে দিন দিন পাহাড়ী সৌন্দর্যময় জনপদগুলোর জীব বৈচিত্রও হারিয়ে যাচ্ছে। মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক স্থায়িত্ব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কসবায় পাহাড় কাটায় মালিকের বিরুদ্ধে মামলা, ভেকু জব্দ হলেও মেলেনি ভেকুর মালিক

আপডেট টাইম : ১১:২৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২০ আগস্ট ২০২২

পৃথিবীর লোহ দণ্ড বলা হয় পাহাড়কে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এর ওপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অথচ এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সেই পাহাড়গুলোকে সাবাড় করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পাথারিয়াদ্বার গ্রামে পাহাড় কাটার দায়ে পাহাড় মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করছেন স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুপুরে গোপীনাথপুর ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সময় ভেকু মিশিন জব্দ করা হলেও পরদিন মামলা করা হলো শুধু পাহাড়ের মালিকের বিরুদ্ধে। ভেকু মেশিন মালিককে আসামি করা হয় নি। গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে প্রশাসন মাটি কাটার সময় ঘটনাস্থলে গেলে ভেকু মালিক ও ভেকু চালক পালিয়ে যায়। পরে পাহাড়ের মাটি কাটায় ব্যবহৃত জব্দকৃত ভেকু মেশিনটি গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের জিম্মায় রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন উপজেলার পাথারিয়াদ্বার গ্রামে জনৈক ইউনুস মিয়ার পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকার। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে যায় ভেকু মালিক ও চালক জাকারিয়া।

স্থানীয় জনতার মুখে শোনা যায়, ভেকুর মালিক ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদলত ভেকু মেশিনটি জব্দ করে পাহাড় মালিক ও ভেকু মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে বলে জানায়। কিন্তু পরদিন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শুধু পাহাড় মালিক জনৈক ইউনুস মিয়াকে আসামি করে নিয়মিত মামলা করেন কসবা থানায়। আসামির তালিকা থেকে বাদ পরে যায় ভেকুর মালিক।

ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকার সাংবাদিকের বলেন, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি। জড়িতরা পালিয়ে গেছে। ভেকু মেশিনটি জব্দ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় মালিক ইউনুস মিয়া ও ভেকু মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

এক পর্যায়ে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাহাড় কাটার দায়ে শুধু পাহাড়ের মালিক ইউনুস মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ভেকুর মালিকের বিরুদ্ধে নয়।

গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়ার সাথে ভেকু মেশিনের মালিক কে এ বিষয়টি জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভেকুর মালিক কে তা এলাকার সবাই জানে। ভেকু আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। প্রশাসন এটি নিয়ে গেলেই আমি মুক্ত। তিনি এসব বিষয়ে না জড়ানোর অনুরোধ করেন।

পাথারিয়াদ্বার গ্রামের বাসিন্দা ফায়েজ মিয়া জানান, পাহাড় কাটা বেআইনি হলেও আমাদের এলাকায় পাহাড় কাটা যেনো উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমার বাড়িটি পাহাড়ী টিলার উপর। বাড়ির দু’দিক দিয়ে বিস্তীর্ণ পাহাড় ও টিলা কাটা হয়েছে। শুনেছি আমার বাড়ির দক্ষিণ পাশে লেগে থাকা টিলাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে ফেলবে। এরপর আমার বাড়িটি ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছি।

হাফেজ আলাউদ্দিন জানান, মসজিদে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কথা বলা মুশকিল। চাকুরী হারাতে হবে।
একই গ্রামের বাছির মিয়া বলেন, খাড়া করে পাহাড় কাটার কারণে গবাদিপশু ঘাস খাওয়ার সময় কিনারায় গেলে উপর থেকে পড়ে পঙ্গু ও মৃত্যুবরণ করে একাধিক গবাদিপশু। তিনি আরও বলেন, গত কিছুদিন আগে আমার একটি গরু উপর থেকে পড়ে সাথে সাথেই মারা যায়।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জব্দকৃত ভেকু মেশিনটির মালিক তিনি নন। গত ইউপি নির্বাচনে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজয় বরণকারী প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

গত বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকারের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভেকুর মালিকানার ব্যাপরটি ইউপি সদস্য অস্বীকার করছেন। তাই ভেকুর মালিক ছাড়া শুধু পাহাড়ের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশী তদন্তে ভেকুর প্রকৃত মালিক বেরিয়ে এলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাহাড় কাটায় জড়িত ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন। পাথারিয়াদ্বার, গানপুর, মধুপুর, রামপুর, সূতারমুড়া, ও জেঠুয়ামুড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে এলাকার নিচু জলাশয়, পুকুর ও বিলে পাহাড়ী মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মানুষকে জিম্মি করে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ সাংবাদিকের জানান। ফলে দিন দিন পাহাড়ী সৌন্দর্যময় জনপদগুলোর জীব বৈচিত্রও হারিয়ে যাচ্ছে। মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক স্থায়িত্ব।