ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

সীমাহীন অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার ও দুর্নীতির অপর নাম ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • / ৩৭৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সীমাহীন  অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার অপর নাম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার ‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ কারা কর্তৃপক্ষের স্লোগান হলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানকার দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তারা নানাভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারটিকে। কারা অভ্যন্তরে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবন, বন্দি বেচা কেনা, জুলুম করে অন্যায় ভাবে অর্থ আদায়, ফোন কল বেচাকেনা, ক্যান্টিনে আয়ের বড় অংশ আত্মসাৎ করা , ওষুধ বেচাকেনা হাসপাতালে ভর্তির নামে মোটা অংকের অনৈতিক লেনদেন এমনকি বন্দীদের খাবারের অংশ বাইরে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা অহরহ ঘটছে এ কারাগারে। সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়া একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। জানা যায় প্রথমে বন্দিরা কারাগারে প্রবেশ করলে একটু অবস্থা সম্পন্ন বন্দিদের কারাগারে মেট রাইটাররা উচ্চমূল্যে ক্রয় করে নিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। এই অর্থ সংগ্রহের জন্য তারা বন্দিকে অনেক সময় নির্যাতন করে থাকেন।

নতুন আসা বন্দিদের যেমন টাকা দিয়ে ওয়ার্ডে থাকতে হচ্ছে। তেমনি কারাগারের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
জানা যায় কারাগারের ভিতরে এক কাপ চা বাহিরের চেয়ে ভিতরে দুই গুণ বেশি টাকা বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কাপ চা বিক্রি হলেও কতৃপক্ষ প্রতিমাসে ২হাজার থেকে ২২শ কাপের হিসাব নিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন। এছাড়া ভিতর ক্যান্টিনে মাছ মাংস, সিঙ্গারা, সবজি তরকারি, ফলমূল সহ আরো অনেক কিছু বিক্রি হয়। এছাড়া অভ্যন্তরে বানানো অনেক খাবার বাইরের ক্যান্টিনে
বিক্রি করা হয়। এগুলো বিক্রি করে প্রকৃতি আয় গোপন করে সরকারি হিসাবে দেখানো হয়। এগুলো কারা কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।
অপর একটি সূত্র জানায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বন্দীদের জন্য সরকারি ভাবে ভালো মানের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ এক সপ্তা অংশ থেকে প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয় চুরি করার মধ্যে একটি কাজ করে থাকেন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ হাজারেরও বেশি বন্দি বসবাস করে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার বন্দী রুটি খাওয়ার কারণে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ভাত খায় না। আরও প্রায় দেড় হাজার বন্দী কারাগারে খাবার খায় না। তারা কারাগারের নিজেদের পছন্দের খাবার কিনে খায়। তাদের কাছে খাবার বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হয়। এছাড়া তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বেঁচে যাওয়া সরকারি খাবার যেমন চাল, ডাল, তেলসহ অনন্য খাদ্য সামগ্রী কখনোই কারা কর্তৃপক্ষ সব কারাগারের সরকারি হিসাবে প্রদর্শন করে না।
সাধারণত আসামিরা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে ইয়াবা সংগ্রহ করে। নিজেরা সেবন করে এবং অন্যদেরকে অর্থের বিনিময় প্রদান করে কারাগারে ভিতরে মাদকের ব্যবসা করে। এছাড়া কারাগারে

অনেক কর্মচারী কারাগারের বাইরে থেকে ইয়াবাসহ করে তা কারাগারের ভিতরে সরবরাহ করে মাদকের ব্যবসা করে থাকে। কাউসার ওসমান নামের দুই ব্যক্তি আইজি প্রিজন এর প্রতিনিধি হিসেবে কারাগারের অনিয়ম খুঁজে বের করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানানো তাদের দায়িত্ব হলো হলেও তারা সেই কাজটি না করে প্রিজনের অনিয়মের সাথে জড়িত পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এইসব ব্যাপারে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম  মুঠোফোনে বলেন,বন্দীদের খাবার বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান সিনিয়র জেল সুপার এর সাথে কথা বলার জন্য এবং বিষয় এড়িয়ে যান। আগামী পর্বে সময়ের অনুসন্ধানের চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সীমাহীন অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার ও দুর্নীতির অপর নাম ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার’

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

সীমাহীন  অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার অপর নাম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার ‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ কারা কর্তৃপক্ষের স্লোগান হলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানকার দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তারা নানাভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারটিকে। কারা অভ্যন্তরে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবন, বন্দি বেচা কেনা, জুলুম করে অন্যায় ভাবে অর্থ আদায়, ফোন কল বেচাকেনা, ক্যান্টিনে আয়ের বড় অংশ আত্মসাৎ করা , ওষুধ বেচাকেনা হাসপাতালে ভর্তির নামে মোটা অংকের অনৈতিক লেনদেন এমনকি বন্দীদের খাবারের অংশ বাইরে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা অহরহ ঘটছে এ কারাগারে। সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়া একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। জানা যায় প্রথমে বন্দিরা কারাগারে প্রবেশ করলে একটু অবস্থা সম্পন্ন বন্দিদের কারাগারে মেট রাইটাররা উচ্চমূল্যে ক্রয় করে নিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। এই অর্থ সংগ্রহের জন্য তারা বন্দিকে অনেক সময় নির্যাতন করে থাকেন।

নতুন আসা বন্দিদের যেমন টাকা দিয়ে ওয়ার্ডে থাকতে হচ্ছে। তেমনি কারাগারের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
জানা যায় কারাগারের ভিতরে এক কাপ চা বাহিরের চেয়ে ভিতরে দুই গুণ বেশি টাকা বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কাপ চা বিক্রি হলেও কতৃপক্ষ প্রতিমাসে ২হাজার থেকে ২২শ কাপের হিসাব নিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন। এছাড়া ভিতর ক্যান্টিনে মাছ মাংস, সিঙ্গারা, সবজি তরকারি, ফলমূল সহ আরো অনেক কিছু বিক্রি হয়। এছাড়া অভ্যন্তরে বানানো অনেক খাবার বাইরের ক্যান্টিনে
বিক্রি করা হয়। এগুলো বিক্রি করে প্রকৃতি আয় গোপন করে সরকারি হিসাবে দেখানো হয়। এগুলো কারা কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।
অপর একটি সূত্র জানায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বন্দীদের জন্য সরকারি ভাবে ভালো মানের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ এক সপ্তা অংশ থেকে প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয় চুরি করার মধ্যে একটি কাজ করে থাকেন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ হাজারেরও বেশি বন্দি বসবাস করে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার বন্দী রুটি খাওয়ার কারণে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ভাত খায় না। আরও প্রায় দেড় হাজার বন্দী কারাগারে খাবার খায় না। তারা কারাগারের নিজেদের পছন্দের খাবার কিনে খায়। তাদের কাছে খাবার বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হয়। এছাড়া তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বেঁচে যাওয়া সরকারি খাবার যেমন চাল, ডাল, তেলসহ অনন্য খাদ্য সামগ্রী কখনোই কারা কর্তৃপক্ষ সব কারাগারের সরকারি হিসাবে প্রদর্শন করে না।
সাধারণত আসামিরা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে ইয়াবা সংগ্রহ করে। নিজেরা সেবন করে এবং অন্যদেরকে অর্থের বিনিময় প্রদান করে কারাগারে ভিতরে মাদকের ব্যবসা করে। এছাড়া কারাগারে

অনেক কর্মচারী কারাগারের বাইরে থেকে ইয়াবাসহ করে তা কারাগারের ভিতরে সরবরাহ করে মাদকের ব্যবসা করে থাকে। কাউসার ওসমান নামের দুই ব্যক্তি আইজি প্রিজন এর প্রতিনিধি হিসেবে কারাগারের অনিয়ম খুঁজে বের করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানানো তাদের দায়িত্ব হলো হলেও তারা সেই কাজটি না করে প্রিজনের অনিয়মের সাথে জড়িত পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এইসব ব্যাপারে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম  মুঠোফোনে বলেন,বন্দীদের খাবার বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান সিনিয়র জেল সুপার এর সাথে কথা বলার জন্য এবং বিষয় এড়িয়ে যান। আগামী পর্বে সময়ের অনুসন্ধানের চোখ রাখুন