ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুর সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল চক্রের জন্য : সেবাপ্রার্থীরা বিভ্রান্তিতে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ২৬৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে তিনজন দালাল নিয়মিত অফিস । তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

গত রবিবার সকালে সরেজমিন গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য। দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি ‘আক্কাছ আলী স্যার’র নাম বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও মাইনুল ইসলাম । এরা তিনজনই সরকারী স্টাফ। অফিসে তাদের ভাবসাব এমনটাই।

এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ।

একটি সরকারী অফিসে তিনজন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সুমন আমার আত্মীয় নয়। তবে এরা মৌসুমী স্টাফ। এদেরকে ডেলি হাজিরা ভিত্তিক কাজ করানো হয়। তিনি আরো জানান, এ অফিসের আন্ডারে ১০ থেকে ১২জন অনুমোদিত মৌসুমী স্টাফ রয়েছে। এরা ফিল্ডে কাজ করছেন। আবার কেউ অফিসে কাজ করছেন।
এদের বেতন বা হাজিরার টাকা কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খাতে সরকারের আলাদা ফান্ড রয়েছে।
অফিসের মূল দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান এদের বিষয়ে বলেন, ‘এদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে পেসকার ও রেকর্ড অফিসারকে বলেন।’

একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও  বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

আর খবর…….?

এদিকে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পএিকার সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিম নিজেই বাস্তব প্রমাণিত রয়েছে।

কাশিমপুরের বারেন্ডা মজার  এসে , সিএস, আর এস, কিছু দাগ খতিয়ান, ভূমিদস্যুরা ব্যবহার করে জাল দলিলের মাধ্যমে মাঠ জরিপ ছাড়াই সাবেক কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে  মোটা টাকার  লেনদেনের বিনিময় করে একতরফা রেকর্ড করে নেন।

সেই রেকর্ড কে কেন্দ্র করে ঢাকা ভূমি অফিসে বাদী হয়ে  হাবিল গান  নামের একটি  অভিযোগ দায়ের করেন এবং এরপর পুনরায় মাঠ জরিপে করার জন্য আদেশ করেন ভূমি রেকর্ড  উপ-পরিচালক।  সেই আদেশ কে কেন্দ্র করে দলিলপত্র ঠিক নেই  এরপরও ভূমিদস্যুদের পক্ষেই রিপোর্ট  দেন সেই রিপোর্ট এর ভিতর  অসংখ্য ভুল লেখে  আসলেই শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দিয়েছেন।ঢাকা ভূমি অফিসের উপ-পরিচালক। এবং  টাকার কাছে আদর্শ বিক্রি করা হয়েছে। বিস্তারিত আগামী পর্বে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন  (পর্ব ১)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল চক্রের জন্য : সেবাপ্রার্থীরা বিভ্রান্তিতে

আপডেট টাইম : ০৯:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে তিনজন দালাল নিয়মিত অফিস । তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

গত রবিবার সকালে সরেজমিন গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য। দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি ‘আক্কাছ আলী স্যার’র নাম বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও মাইনুল ইসলাম । এরা তিনজনই সরকারী স্টাফ। অফিসে তাদের ভাবসাব এমনটাই।

এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ।

একটি সরকারী অফিসে তিনজন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সুমন আমার আত্মীয় নয়। তবে এরা মৌসুমী স্টাফ। এদেরকে ডেলি হাজিরা ভিত্তিক কাজ করানো হয়। তিনি আরো জানান, এ অফিসের আন্ডারে ১০ থেকে ১২জন অনুমোদিত মৌসুমী স্টাফ রয়েছে। এরা ফিল্ডে কাজ করছেন। আবার কেউ অফিসে কাজ করছেন।
এদের বেতন বা হাজিরার টাকা কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খাতে সরকারের আলাদা ফান্ড রয়েছে।
অফিসের মূল দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান এদের বিষয়ে বলেন, ‘এদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে পেসকার ও রেকর্ড অফিসারকে বলেন।’

একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও  বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

আর খবর…….?

এদিকে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পএিকার সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিম নিজেই বাস্তব প্রমাণিত রয়েছে।

কাশিমপুরের বারেন্ডা মজার  এসে , সিএস, আর এস, কিছু দাগ খতিয়ান, ভূমিদস্যুরা ব্যবহার করে জাল দলিলের মাধ্যমে মাঠ জরিপ ছাড়াই সাবেক কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে  মোটা টাকার  লেনদেনের বিনিময় করে একতরফা রেকর্ড করে নেন।

সেই রেকর্ড কে কেন্দ্র করে ঢাকা ভূমি অফিসে বাদী হয়ে  হাবিল গান  নামের একটি  অভিযোগ দায়ের করেন এবং এরপর পুনরায় মাঠ জরিপে করার জন্য আদেশ করেন ভূমি রেকর্ড  উপ-পরিচালক।  সেই আদেশ কে কেন্দ্র করে দলিলপত্র ঠিক নেই  এরপরও ভূমিদস্যুদের পক্ষেই রিপোর্ট  দেন সেই রিপোর্ট এর ভিতর  অসংখ্য ভুল লেখে  আসলেই শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দিয়েছেন।ঢাকা ভূমি অফিসের উপ-পরিচালক। এবং  টাকার কাছে আদর্শ বিক্রি করা হয়েছে। বিস্তারিত আগামী পর্বে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন  (পর্ব ১)