ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

তালা মুড়াগাছার কুখ্যাত গরু চোর তরিকুল ওরফে প্রতারক তারেক এখন এলাকার ত্রাস

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ৩৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সাতক্ষীরা তালার মুড়াগাছা এলাকার কুখ্যাত গরু চোর তরিকুল ওরফে প্রতারক তারেক এখন এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছে। এলাকার মুর্তিমান আতঙ্ক কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুন নাশকতা সরকার বিরোধী কর্মকান্ড দখলবাজি হামলা লুটপাট নারী কেলেঙ্কারি সহ বহু অপকর্মের হোতা ও একাধিক মামলার আসামি কোপা সাকু বাহিনীতে যোগদিয়ে তরিকুল এলাকায় হামলা নির্যাতন ছিনতাই চুরি লুটপাট দখলবাজি সরকার বিরোধী কর্মকান্ড সহ যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে একাধিক মামলা হয়েছে এই সন্ত্রাসীর নামে এব়ং জেলও খেটেছে। বর্তমানে এই সন্ত্রাসী পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও তক্ষক পাচার জাল টাকার কারবার দস্যুতা মাদক অস্ত্র কারবার সহ নাশকতা ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সন্ত্রাসী তরিকুলের বিরুদ্ধে। বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসী তরিকুলের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক, জন্ম ঠিকানা মাছখোলা সাতক্ষীরা সদর, দাবিকৃত পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা তালা সাতক্ষীরা। দাবিকৃত পিতার নাম মোঃ নাসির উদ্দীন শেখ। পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা দাবি করলেও কোন এক কারনে তার দাবিকৃত পিতা কখনো তাকে সন্তান হিসাবে শিকার করেননি এবং তাকে বাড়িতে আশ্রয় দিতেন না বলে জানা গেছে। প্রতারনা চিটারি বাটপারি তার পেশা এবং রাতারাতি বড়লোক হওয়া ও বিবাহ তার নেশা। ছোট বেলা থেকেই রাতারাতি বড়লোক হওয়ার আশা নিয়ে প্রথমে মুড়াগাছা এলাকায় গরু চুরি শুরু করে তরিকুল। আপন চাচীর (মৃত আব্দুল গনি শেখের স্ত্রী)-র গরু চুরি করে পালিয়ে যায় তরিকুল। গরু চুরি করে নিয়ে যাবার সময় অনেকে বিষয়টি দেখে ফেলে। এছাড়াও একই সময়ে এলাকায় গরু চুরির হিড়িক পড়ে যায়। এছাড়াও তরিকুল চাচাতো ভাইদের দুটি মাছের ঘের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে ঘেরের সমস্ত মাছ লুটপাট করে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে অবশেষে সম্পুর্ন ঘের এলাকার এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে। মুড়াগাছা এলাকায় এধরনের একাধিক অপকর্ম করে পালিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা গাজীপুর গিয়ে প্রথমে পোশাক শিল্পে কাজ নেয় তরিকুল। ঢাকা গাজীপুর গিয়ে নিজের আসল নাম গোপন রেখে নিজেকে সেখানে তারেক নামে পরিচিত করে। গাজীপুর নাওজোড় হোছেন মার্কেট বাবু মার্কেট এলাকায় গিয়ে তারেক চিটার বললে সবাই তাকে এক বাক্যে চেনে। তবে শুধু তারেক বললে খুব একটা কেউ চিনতে পারেনা, অবশ্যই তারেক (চিটার) বলতে হবে। পোশাক শিল্পে কাজের ফাকে ফাকে বিভিন্ন ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে সে। এরপর কয়েক বছর পোশাক শিল্পে কাজ করার পর তার বড়লোক হওয়ার মিশন পুর্ন করার লক্ষে পোশাক শিল্পের কাজ ছেড়ে দিয়ে পোশাকের ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসাকে ফাঁদ হিসাবে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে প্রতারনা করা শুরু করে সে। মাল দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে মাল না দেয়া, ভালো মালের স্যাম্পল দেখিয়ে অচল ছেড়া ফাটা মাল চালিয়ে দেয়া, ব্যবসার জন্য ওন্যের অফিস ভাড়া নিয়ে টাকা না দিয়ে পালিয়ে আসা, মোটা বেতনের আশা দিয়ে পোশাক কর্মিদের চাকুরী থেকে ছুটিয়ে এনে নিজের কাজে ব্যাবহার করে বেতন না দেয়া, চাকুরি দেয়ার নাম করে মানুষকে সর্বশান্ত করা সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষেকে প্রতারিত করে এসেছে সে। এভাবে চলতে চলতে শুরু হয় করোনা মহামারী। এই করোনাকে পুজি করে তরিকুল ওরফে তারেক মাস্কের ব্যবসার নামে পেতে বসে আরো ভয়ংকর ফাঁদ। মাক্স সরবরাহ মাক্স তৈরীর সরঞ্জাম ও মেশিন সরবরাহের নামে এবং পোশাকের ব্যবসার নামে ঢাকা গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল, টঙ্গীর ব্যবসায়ী রাজু, টঙ্গীর আরেক ব্যবসায়ী তারেক, উত্তরার ব্যবসায়ী সাকিল, সাভারের ব্যবসায়ী শাহীন, সাভারের ফিনিশিং কোম্পানি লাপেষ্টা সহ অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক। এছাড়াও এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ঢাকা গাজীপুর এলাকার অসংখ্য ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গেছে। সকল পাওনাদার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ প্রতারককে ঢাকা গাজীপুর এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাচ্ছেনা। এই প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেকের প্রতারনা থেকে রেহাই পায়নি তার আপন প্রতিবন্ধী ভাই সিরাজুল ইসলাম (তহিদ)। তার আপন প্রতিবন্ধী ভাইকে ব্যবসা করার কথা বলে গাজীপুর এনে প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দুইলক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে শুন্য হাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক। প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক বর্তমানে তার স্ত্রীর পরামর্শে সাতক্ষীরায় পালিয়ে আছে বলে জানাগেছে। তরিকুল ওরফে তারেক সাতক্ষীরায় পালিয়ে থাকলেও তার স্ত্রী গাজীপুর নাওজোড় বাবু মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছে এবং একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছে। এই প্রতারক বর্তমানে বহাল থাকা তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বড়লোক হওয়ার আশায় প্রতারনার মাধ্যমে গাজীপুর আরো একটি বিয়ে করে, পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি জানাজানি হলে সেটি বিচ্ছেদ ঘটে। তরিকুল ওরফে তারেকের এই প্রতারনা সইতে না পেরে গাজীপুরের স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে। প্রতারক তরিকুল ২০০৭ সালে গাজীপুর কোর্ট থেকে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে তার প্রথম স্ত্রীকেও তালাক দেই, বর্তমানে তরিকুল ওরফে তারেক চিটার সেই প্রথম স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে। বর্তমানে এই গরুচোর প্রতারক নারী কেলেঙ্কারি সহ বহু অপকর্মের হোতা এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী কোপা সাকু বাহিনীতে যোগ দিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়াচ্ছে। ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি সহ কিছু আওয়ামী নেতা এই সন্ত্রাসীদের লালন পালন করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এলাকায় তরিকুলের বিরুদ্ধে ও কোপা সাকু বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই চলছে হামলা নির্যাতন। ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না প্রতিবন্ধী ও সাংবাদিক। ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিরিহ জনগণ প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তালা মুড়াগাছার কুখ্যাত গরু চোর তরিকুল ওরফে প্রতারক তারেক এখন এলাকার ত্রাস

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

সাতক্ষীরা তালার মুড়াগাছা এলাকার কুখ্যাত গরু চোর তরিকুল ওরফে প্রতারক তারেক এখন এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছে। এলাকার মুর্তিমান আতঙ্ক কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুন নাশকতা সরকার বিরোধী কর্মকান্ড দখলবাজি হামলা লুটপাট নারী কেলেঙ্কারি সহ বহু অপকর্মের হোতা ও একাধিক মামলার আসামি কোপা সাকু বাহিনীতে যোগদিয়ে তরিকুল এলাকায় হামলা নির্যাতন ছিনতাই চুরি লুটপাট দখলবাজি সরকার বিরোধী কর্মকান্ড সহ যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে একাধিক মামলা হয়েছে এই সন্ত্রাসীর নামে এব়ং জেলও খেটেছে। বর্তমানে এই সন্ত্রাসী পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও তক্ষক পাচার জাল টাকার কারবার দস্যুতা মাদক অস্ত্র কারবার সহ নাশকতা ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সন্ত্রাসী তরিকুলের বিরুদ্ধে। বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসী তরিকুলের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক, জন্ম ঠিকানা মাছখোলা সাতক্ষীরা সদর, দাবিকৃত পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা তালা সাতক্ষীরা। দাবিকৃত পিতার নাম মোঃ নাসির উদ্দীন শেখ। পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা দাবি করলেও কোন এক কারনে তার দাবিকৃত পিতা কখনো তাকে সন্তান হিসাবে শিকার করেননি এবং তাকে বাড়িতে আশ্রয় দিতেন না বলে জানা গেছে। প্রতারনা চিটারি বাটপারি তার পেশা এবং রাতারাতি বড়লোক হওয়া ও বিবাহ তার নেশা। ছোট বেলা থেকেই রাতারাতি বড়লোক হওয়ার আশা নিয়ে প্রথমে মুড়াগাছা এলাকায় গরু চুরি শুরু করে তরিকুল। আপন চাচীর (মৃত আব্দুল গনি শেখের স্ত্রী)-র গরু চুরি করে পালিয়ে যায় তরিকুল। গরু চুরি করে নিয়ে যাবার সময় অনেকে বিষয়টি দেখে ফেলে। এছাড়াও একই সময়ে এলাকায় গরু চুরির হিড়িক পড়ে যায়। এছাড়াও তরিকুল চাচাতো ভাইদের দুটি মাছের ঘের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে ঘেরের সমস্ত মাছ লুটপাট করে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে অবশেষে সম্পুর্ন ঘের এলাকার এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে। মুড়াগাছা এলাকায় এধরনের একাধিক অপকর্ম করে পালিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা গাজীপুর গিয়ে প্রথমে পোশাক শিল্পে কাজ নেয় তরিকুল। ঢাকা গাজীপুর গিয়ে নিজের আসল নাম গোপন রেখে নিজেকে সেখানে তারেক নামে পরিচিত করে। গাজীপুর নাওজোড় হোছেন মার্কেট বাবু মার্কেট এলাকায় গিয়ে তারেক চিটার বললে সবাই তাকে এক বাক্যে চেনে। তবে শুধু তারেক বললে খুব একটা কেউ চিনতে পারেনা, অবশ্যই তারেক (চিটার) বলতে হবে। পোশাক শিল্পে কাজের ফাকে ফাকে বিভিন্ন ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে সে। এরপর কয়েক বছর পোশাক শিল্পে কাজ করার পর তার বড়লোক হওয়ার মিশন পুর্ন করার লক্ষে পোশাক শিল্পের কাজ ছেড়ে দিয়ে পোশাকের ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসাকে ফাঁদ হিসাবে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে প্রতারনা করা শুরু করে সে। মাল দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে মাল না দেয়া, ভালো মালের স্যাম্পল দেখিয়ে অচল ছেড়া ফাটা মাল চালিয়ে দেয়া, ব্যবসার জন্য ওন্যের অফিস ভাড়া নিয়ে টাকা না দিয়ে পালিয়ে আসা, মোটা বেতনের আশা দিয়ে পোশাক কর্মিদের চাকুরী থেকে ছুটিয়ে এনে নিজের কাজে ব্যাবহার করে বেতন না দেয়া, চাকুরি দেয়ার নাম করে মানুষকে সর্বশান্ত করা সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষেকে প্রতারিত করে এসেছে সে। এভাবে চলতে চলতে শুরু হয় করোনা মহামারী। এই করোনাকে পুজি করে তরিকুল ওরফে তারেক মাস্কের ব্যবসার নামে পেতে বসে আরো ভয়ংকর ফাঁদ। মাক্স সরবরাহ মাক্স তৈরীর সরঞ্জাম ও মেশিন সরবরাহের নামে এবং পোশাকের ব্যবসার নামে ঢাকা গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল, টঙ্গীর ব্যবসায়ী রাজু, টঙ্গীর আরেক ব্যবসায়ী তারেক, উত্তরার ব্যবসায়ী সাকিল, সাভারের ব্যবসায়ী শাহীন, সাভারের ফিনিশিং কোম্পানি লাপেষ্টা সহ অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক। এছাড়াও এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ঢাকা গাজীপুর এলাকার অসংখ্য ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গেছে। সকল পাওনাদার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ প্রতারককে ঢাকা গাজীপুর এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাচ্ছেনা। এই প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেকের প্রতারনা থেকে রেহাই পায়নি তার আপন প্রতিবন্ধী ভাই সিরাজুল ইসলাম (তহিদ)। তার আপন প্রতিবন্ধী ভাইকে ব্যবসা করার কথা বলে গাজীপুর এনে প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দুইলক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে শুন্য হাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক। প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক বর্তমানে তার স্ত্রীর পরামর্শে সাতক্ষীরায় পালিয়ে আছে বলে জানাগেছে। তরিকুল ওরফে তারেক সাতক্ষীরায় পালিয়ে থাকলেও তার স্ত্রী গাজীপুর নাওজোড় বাবু মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছে এবং একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছে। এই প্রতারক বর্তমানে বহাল থাকা তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বড়লোক হওয়ার আশায় প্রতারনার মাধ্যমে গাজীপুর আরো একটি বিয়ে করে, পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি জানাজানি হলে সেটি বিচ্ছেদ ঘটে। তরিকুল ওরফে তারেকের এই প্রতারনা সইতে না পেরে গাজীপুরের স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে। প্রতারক তরিকুল ২০০৭ সালে গাজীপুর কোর্ট থেকে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে তার প্রথম স্ত্রীকেও তালাক দেই, বর্তমানে তরিকুল ওরফে তারেক চিটার সেই প্রথম স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে। বর্তমানে এই গরুচোর প্রতারক নারী কেলেঙ্কারি সহ বহু অপকর্মের হোতা এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী কোপা সাকু বাহিনীতে যোগ দিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়াচ্ছে। ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি সহ কিছু আওয়ামী নেতা এই সন্ত্রাসীদের লালন পালন করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এলাকায় তরিকুলের বিরুদ্ধে ও কোপা সাকু বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই চলছে হামলা নির্যাতন। ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না প্রতিবন্ধী ও সাংবাদিক। ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিরিহ জনগণ প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।