ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার

অটোচালকের ছেলে এখন বিএমডব্লিউর মালিক

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৬৬ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতে বীরের বেশে ভারতে ফিরেছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। বাবা মোহাম্মদ ঘাউসের স্বপ্ন ছিল ছেলে মোহাম্মদ সিরাজ বড় ক্রিকেটার হবে। অটোচালক বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

Nogod

অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক সিরিজ শেষে দেশে ফিরেই সিরাজ ছুটে গিয়েছিলেন পরপারে পাড়ি জমানো বাবার কবরের পাশে। বাবার কবর জিয়ারতের সেই মুহূর্ত সমর্থকদের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। টেস্ট সিরিজে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সিরাজ এবার আলোচনায় এলেন বিএমডব্লিউ গাড়ির মালিক হয়ে।

শুক্রবার তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানেই নতুন গাড়ি চড়তে দেখা গেছ তাকে। হায়দরাবাদের রাস্তায় সেই গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন সিরাজ।

আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের জন্য ‘বিশেষ পুরস্কার’ ঘোষণা

হায়দরাবাদের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই পেসার। বাবা মোহাম্মদ ঘাউস ছিলেন অটোচালক। কিন্তু ছেলের ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে কোনওদিন বাধা দেননি। সিরাজের শুরুর সময় হায়দরাবাদের কোচিংয়ে ভর্তি করার টাকা ছিল না অটোচালক বাবার। সিরাজকে ভর্তি হতে হয়েছিল প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে। অনুশীলনে যেতে বাবার কাছ থেকে প্রতিদিন হাতখরচ পেতেন ৭০ রুপি। যাতায়াত, খাওয়াদাওয়া—সব এর মধ্যেই। ওদিকে এই টাকায় স্কুটির তেলের খরচ জোটাতেই হাঁসফাঁস উঠে যেত তার।

অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনেন সিরাজ। তবে মায়ের নির্দেশে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যান দেশের জন্য। প্রথম টেস্টে ভারতের ৩৬ রানের লজ্জার পর দ্বিতীয় টেস্টেই ভারতের হয়ে অভিষেক হয় সিরাজের। সিরিজে ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় করে সফরকারি ভারত। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

অটোচালকের ছেলে এখন বিএমডব্লিউর মালিক

আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতে বীরের বেশে ভারতে ফিরেছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। বাবা মোহাম্মদ ঘাউসের স্বপ্ন ছিল ছেলে মোহাম্মদ সিরাজ বড় ক্রিকেটার হবে। অটোচালক বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

Nogod

অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক সিরিজ শেষে দেশে ফিরেই সিরাজ ছুটে গিয়েছিলেন পরপারে পাড়ি জমানো বাবার কবরের পাশে। বাবার কবর জিয়ারতের সেই মুহূর্ত সমর্থকদের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। টেস্ট সিরিজে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সিরাজ এবার আলোচনায় এলেন বিএমডব্লিউ গাড়ির মালিক হয়ে।

শুক্রবার তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানেই নতুন গাড়ি চড়তে দেখা গেছ তাকে। হায়দরাবাদের রাস্তায় সেই গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন সিরাজ।

আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের জন্য ‘বিশেষ পুরস্কার’ ঘোষণা

হায়দরাবাদের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই পেসার। বাবা মোহাম্মদ ঘাউস ছিলেন অটোচালক। কিন্তু ছেলের ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে কোনওদিন বাধা দেননি। সিরাজের শুরুর সময় হায়দরাবাদের কোচিংয়ে ভর্তি করার টাকা ছিল না অটোচালক বাবার। সিরাজকে ভর্তি হতে হয়েছিল প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে। অনুশীলনে যেতে বাবার কাছ থেকে প্রতিদিন হাতখরচ পেতেন ৭০ রুপি। যাতায়াত, খাওয়াদাওয়া—সব এর মধ্যেই। ওদিকে এই টাকায় স্কুটির তেলের খরচ জোটাতেই হাঁসফাঁস উঠে যেত তার।

অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনেন সিরাজ। তবে মায়ের নির্দেশে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যান দেশের জন্য। প্রথম টেস্টে ভারতের ৩৬ রানের লজ্জার পর দ্বিতীয় টেস্টেই ভারতের হয়ে অভিষেক হয় সিরাজের। সিরিজে ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় করে সফরকারি ভারত। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা