ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

পরকীয়ার জেরে হত্যা : দেবর-ভাবীর যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

পরকীয়ার জেরে বাগেরহাটে বড় ভাই হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোট ভাইয়ের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিহত বড় ভাইর স্ত্রীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক ভূঁইয়া ও সাইদুল ইসলাম।

জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাজারী ২০০৮ সালের ২৩ আক্টোবর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মোয়াজ্জাম শেখের ছেলে এসকেন্দারকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এসকেন্দার শেখের ভাই মাহমুদ শেখ ও তার স্ত্রী পারভীন খাতুনের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এ ঘটনার পরদিন ২৪ আক্টোবর নিহতের বাবা মোয়াজ্জাম শেখ বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামরা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন (২৯) ও অপর আসামি আসাদ দালুকদার (৩৫) যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

পরে ডেথ রেফারেন্স আসামিদের জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সোমবার উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

পরকীয়ার জেরে হত্যা : দেবর-ভাবীর যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ১২:১৩:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

পরকীয়ার জেরে বাগেরহাটে বড় ভাই হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোট ভাইয়ের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিহত বড় ভাইর স্ত্রীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক ভূঁইয়া ও সাইদুল ইসলাম।

জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাজারী ২০০৮ সালের ২৩ আক্টোবর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মোয়াজ্জাম শেখের ছেলে এসকেন্দারকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এসকেন্দার শেখের ভাই মাহমুদ শেখ ও তার স্ত্রী পারভীন খাতুনের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এ ঘটনার পরদিন ২৪ আক্টোবর নিহতের বাবা মোয়াজ্জাম শেখ বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামরা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন (২৯) ও অপর আসামি আসাদ দালুকদার (৩৫) যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

পরে ডেথ রেফারেন্স আসামিদের জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সোমবার উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।