ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক নব নির্বাচিত হরিরামপুর প্রেসক্লাবের মাসিক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভৈরবে ভবানী পুর সালিশ বৈঠকে ২ বংশের মাঝে সংঘর্ষে ১জন নিহত ২০ জন হাহত হয়

বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
  • / ২৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিশেষ প্রতিনিধি।।

বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। তিনি বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন।

অধ্যাপক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা। তার বাবা ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় আর্মি কলোনিতে থাকতেন। বর্তমানে পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

কৃষিকে ভালোবেসে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গত আট বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আট একর জমিতে ‘কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার। ওই খামারে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন, লিচু, লটকন, আম ও মাল্টা চাষ করছেন। সেই সঙ্গে প্রায় ৩৫ রকমের কৃষিপণ্য ওই খামারে তিনি উৎপাদন করে নিজে খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করছেন স্থানীয় হাটে।

বাজারে কচুর লতি বিক্রি প্রসঙ্গে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, বাজারে ১৬ কেজি কচুর লতি নিয়ে গিয়েছিলাম। পাইকার বলেছিল ৪০ টাকা, কিন্তু বাজারে বসে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ৩ জনের কাছে টাকা কম থাকায় দাম কম নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি কৃষি ভালোবাসি। কৃষি নিয়ে স্বপ্ন দেখি। চাই সবাই কম-বেশি কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হোক। কারণ বেঁচে থাকতে হলে সবাইকে কৃষি কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে ছয় মাস ছুটি নিয়ে খামারে কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মানুষ। কে কোন পর্যায়ে আছি সেটা বড় বিষয় না। এছাড়া নিজের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি।।

বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। তিনি বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন।

অধ্যাপক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা। তার বাবা ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় আর্মি কলোনিতে থাকতেন। বর্তমানে পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

কৃষিকে ভালোবেসে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গত আট বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আট একর জমিতে ‘কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার। ওই খামারে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন, লিচু, লটকন, আম ও মাল্টা চাষ করছেন। সেই সঙ্গে প্রায় ৩৫ রকমের কৃষিপণ্য ওই খামারে তিনি উৎপাদন করে নিজে খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করছেন স্থানীয় হাটে।

বাজারে কচুর লতি বিক্রি প্রসঙ্গে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, বাজারে ১৬ কেজি কচুর লতি নিয়ে গিয়েছিলাম। পাইকার বলেছিল ৪০ টাকা, কিন্তু বাজারে বসে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ৩ জনের কাছে টাকা কম থাকায় দাম কম নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি কৃষি ভালোবাসি। কৃষি নিয়ে স্বপ্ন দেখি। চাই সবাই কম-বেশি কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হোক। কারণ বেঁচে থাকতে হলে সবাইকে কৃষি কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে ছয় মাস ছুটি নিয়ে খামারে কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মানুষ। কে কোন পর্যায়ে আছি সেটা বড় বিষয় না। এছাড়া নিজের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই।