ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

রাশিয়ার যুদ্ধ আফ্রিকায় খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৫৫ ০.০০০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বৃহস্পিতবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকান দেশগুলোর বেশিরভাগই তেল, সার, গম জাতীয় খাবার আমদানির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।  আর এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজারকে ব্যাহত করার পাশাপাশি আফ্রিকার বাণিজ্য প্রবাহকে ব্যাহত করেছে। এসব অঞ্চলে খাদ্যমূল্যকে বৃদ্ধি করেছে। এমনকি যারা এই দুই দেশ থেকে সামান্য পরিমাণ পণ্যও আমদানি করত তারাও বিশ্বমূল্যের কারণে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

এইচআরডব্লিউর দারিদ্র্য ও বৈষম্য বিষয়ক সিনিয়র গবেষক লেনা সিমেট বলেন, আফ্রিকার অনেক দেশ ইতোমধ্যে খাদ্য সংকটে রয়েছে। আর করোনা মহামারির কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ইতোমধ্যে দরিদ্রসীমার নিচে থাকা সেসব মানুষের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। এ বিষয়ে সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে জরুরি পদক্ষেপে প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধের আগে আফ্রিকার দেশগুলো বিশেষ করে- নাইজেরিয়া, কেনিয়া, ক্যামেরুন ও অ্যাঙ্গোলা ইতিমধ্যেই বন্যা, ভূমিধস এবং খরার মতো চরম পরিস্থতির কারণে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে লড়ছিল। আর এর পরে করোনা মহামারি তাদের উৎপাদন প্রচেষ্টা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ চেইন ব্যাহত করেছে।

তাদের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে কেনিয়ায় ১০ জনের মধ্যে ৭ জন, ক্যামেরুনে জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এবং নাইজেরিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ১০ জনের মধ্যে প্রায় ছয়জন ইতিমধ্যেই খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছিল। আর এই যুদ্ধ পরিস্থিতি সেটিকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে গেছে।

এর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, যুদ্ধ এভাবে চলতে থাকলে খাদ্যপণ্যের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি লাখ লাখ মানুষকে অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

এটা একটি মানবিক বিপর্যয়। আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে এটি একটি রাজনৈতিক সংকটেও পরিণত হচ্ছে। আর তারা এই সংকট মোকাবিলায় কিছুই করতে পারছে না। এর জন্য তারা দায়ী না হয়েও তারা দেখছে যে, দাম বেড়েই চলেছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, খাদ্যপণ্যের দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন হতে পারে (৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি)।  এটি গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য অনেক বেশি মনে করেন ম্যালপাস।

তিনি বলেন, বিপর্যয়ে তারা নিজেরা কম খেতে এবং সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে খরচ কমানোর জন্য। এর মানে দাঁড়াচ্ছে— এটি সত্যিকারের একটি অন্যায্য সংকট। এটি দরিদ্রদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করবে। করোনা মহামারীতেও একই ধরনের বাস্তবতাই দেখা গেছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

রাশিয়ার যুদ্ধ আফ্রিকায় খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বৃহস্পিতবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকান দেশগুলোর বেশিরভাগই তেল, সার, গম জাতীয় খাবার আমদানির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।  আর এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজারকে ব্যাহত করার পাশাপাশি আফ্রিকার বাণিজ্য প্রবাহকে ব্যাহত করেছে। এসব অঞ্চলে খাদ্যমূল্যকে বৃদ্ধি করেছে। এমনকি যারা এই দুই দেশ থেকে সামান্য পরিমাণ পণ্যও আমদানি করত তারাও বিশ্বমূল্যের কারণে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

এইচআরডব্লিউর দারিদ্র্য ও বৈষম্য বিষয়ক সিনিয়র গবেষক লেনা সিমেট বলেন, আফ্রিকার অনেক দেশ ইতোমধ্যে খাদ্য সংকটে রয়েছে। আর করোনা মহামারির কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ইতোমধ্যে দরিদ্রসীমার নিচে থাকা সেসব মানুষের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। এ বিষয়ে সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে জরুরি পদক্ষেপে প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধের আগে আফ্রিকার দেশগুলো বিশেষ করে- নাইজেরিয়া, কেনিয়া, ক্যামেরুন ও অ্যাঙ্গোলা ইতিমধ্যেই বন্যা, ভূমিধস এবং খরার মতো চরম পরিস্থতির কারণে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে লড়ছিল। আর এর পরে করোনা মহামারি তাদের উৎপাদন প্রচেষ্টা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ চেইন ব্যাহত করেছে।

তাদের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে কেনিয়ায় ১০ জনের মধ্যে ৭ জন, ক্যামেরুনে জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এবং নাইজেরিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ১০ জনের মধ্যে প্রায় ছয়জন ইতিমধ্যেই খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছিল। আর এই যুদ্ধ পরিস্থিতি সেটিকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে গেছে।

এর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, যুদ্ধ এভাবে চলতে থাকলে খাদ্যপণ্যের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি লাখ লাখ মানুষকে অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

এটা একটি মানবিক বিপর্যয়। আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে এটি একটি রাজনৈতিক সংকটেও পরিণত হচ্ছে। আর তারা এই সংকট মোকাবিলায় কিছুই করতে পারছে না। এর জন্য তারা দায়ী না হয়েও তারা দেখছে যে, দাম বেড়েই চলেছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, খাদ্যপণ্যের দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন হতে পারে (৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি)।  এটি গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য অনেক বেশি মনে করেন ম্যালপাস।

তিনি বলেন, বিপর্যয়ে তারা নিজেরা কম খেতে এবং সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে খরচ কমানোর জন্য। এর মানে দাঁড়াচ্ছে— এটি সত্যিকারের একটি অন্যায্য সংকট। এটি দরিদ্রদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করবে। করোনা মহামারীতেও একই ধরনের বাস্তবতাই দেখা গেছে।