ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি

নাসিরনগরের হাওরে,পানিতে তলিয়ে গেছে কাচা পাঁকা অনেক ফসলি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০১:১৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৪০ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সুমন গোপ, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর নগর উপজেলার মেদির হাওরের বিস্তীর্ণ পাকা ধানের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।উপজেলার মেহেদি আর আকাশী হাওরের সিংহভাগ কাঁচা ও পাকা ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে।উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্বি পাওয়া এ জমি তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওরে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উজানি ঢলে উপজেলার গোয়ালনগর ও সদর ইউনিয়নের হাওর-বিল মিলিয়ে ২৫০ হেক্টর জমির কাঁচা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল নৌকা নিয়ে সরেজমিন মেহেদির হাওরে ঘুরে , কৃষকদের কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে কাঁচা পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে।অনেক শ্রমিকেই আবার পানির কামড়ে ছটপট করতে দেখা গেছে।কোন কোন কৃষক আবার শ্রমিকের অতিরিক্ত মুল্যদিয়ে ধান কেটে নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।কৃষকরা বোরো ধানের ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও কিছু দিন আগে শিলা বৃষ্টি আর এখন উজানের ঢলে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবের মুখ দেখবে না বলেও জানিয়েছে অনেক কৃষক।

উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেকানগর, নাসিরপুর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল শ্রীঘরের মেদির হাওরের প্রায় ৭০ ভাগ জমির পাকা ও আধাকাচা ফসল উজানী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়াও কুন্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুরের তিতাস তীরবর্তী আকাশির হাওর অধিক ঝুকিতে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে নাসিরনগরের মেঘনা নদীতে গত দুই দিনে প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আশুবাইল গ্রামের কৃষক কাউছার মিয়া ও মামুন মিয়া জানায় ৫ দিন আগেও আমাদের হাওরে পানি ছিল না। কিন্তু দুইদিনে উজানের পানি এসে জমির সব ফসল পানির নীচে ডুবিয়ে দিয়েছে। পানির নীচ থেকে যে ধান কাটা হচ্ছে তাও আবার নেয়া যাচ্ছে না ।কাউছার জানায় তার চার কানি জমিতে ২০ মন ধানও হবে না।বেনীপাড়ার কৃষক মোঃ মামুন মিয়া জানায় পানিতে তার ১৬ কানি জমির ধান তলিয়ে গেছে।তাছাড়াও অনেকেই আবার শ্রমিকের অভাবে জমির ধান কাটতে পারছে না।

তাছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার অলিপুর ও রতনপুরের বিভিন্ন মেইল ফ্যাক্টরীর ক্যামিকেল ও বর্জ মিশ্রিত দুষিত দ্রব্য পানিতে মিশে গিয়ে পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে শ্রমিকরা দুষিত পানিতে দাড়িয়ে ধান কাটতে পারছে না।দুষিত পানির কারনে তাদের শরীরে পানির কামড়ে শরীর চুলকিয়ে চামড়ার উপরে ফুঁসকা পড়ে গেছে।যার ফলে অধিক বেতন দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেক জানান ১৩টি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রনয়ন করছে। পানি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে এ কৃষি কর্মকর্তা। তাই দ্রুত সময়ের মাঝে নীচু এলাকার জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাসিরনগরের হাওরে,পানিতে তলিয়ে গেছে কাচা পাঁকা অনেক ফসলি জমি

আপডেট টাইম : ০১:১৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

সুমন গোপ, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর নগর উপজেলার মেদির হাওরের বিস্তীর্ণ পাকা ধানের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।উপজেলার মেহেদি আর আকাশী হাওরের সিংহভাগ কাঁচা ও পাকা ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে।উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্বি পাওয়া এ জমি তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওরে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উজানি ঢলে উপজেলার গোয়ালনগর ও সদর ইউনিয়নের হাওর-বিল মিলিয়ে ২৫০ হেক্টর জমির কাঁচা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল নৌকা নিয়ে সরেজমিন মেহেদির হাওরে ঘুরে , কৃষকদের কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে কাঁচা পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে।অনেক শ্রমিকেই আবার পানির কামড়ে ছটপট করতে দেখা গেছে।কোন কোন কৃষক আবার শ্রমিকের অতিরিক্ত মুল্যদিয়ে ধান কেটে নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।কৃষকরা বোরো ধানের ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও কিছু দিন আগে শিলা বৃষ্টি আর এখন উজানের ঢলে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবের মুখ দেখবে না বলেও জানিয়েছে অনেক কৃষক।

উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেকানগর, নাসিরপুর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল শ্রীঘরের মেদির হাওরের প্রায় ৭০ ভাগ জমির পাকা ও আধাকাচা ফসল উজানী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়াও কুন্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুরের তিতাস তীরবর্তী আকাশির হাওর অধিক ঝুকিতে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে নাসিরনগরের মেঘনা নদীতে গত দুই দিনে প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আশুবাইল গ্রামের কৃষক কাউছার মিয়া ও মামুন মিয়া জানায় ৫ দিন আগেও আমাদের হাওরে পানি ছিল না। কিন্তু দুইদিনে উজানের পানি এসে জমির সব ফসল পানির নীচে ডুবিয়ে দিয়েছে। পানির নীচ থেকে যে ধান কাটা হচ্ছে তাও আবার নেয়া যাচ্ছে না ।কাউছার জানায় তার চার কানি জমিতে ২০ মন ধানও হবে না।বেনীপাড়ার কৃষক মোঃ মামুন মিয়া জানায় পানিতে তার ১৬ কানি জমির ধান তলিয়ে গেছে।তাছাড়াও অনেকেই আবার শ্রমিকের অভাবে জমির ধান কাটতে পারছে না।

তাছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার অলিপুর ও রতনপুরের বিভিন্ন মেইল ফ্যাক্টরীর ক্যামিকেল ও বর্জ মিশ্রিত দুষিত দ্রব্য পানিতে মিশে গিয়ে পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে শ্রমিকরা দুষিত পানিতে দাড়িয়ে ধান কাটতে পারছে না।দুষিত পানির কারনে তাদের শরীরে পানির কামড়ে শরীর চুলকিয়ে চামড়ার উপরে ফুঁসকা পড়ে গেছে।যার ফলে অধিক বেতন দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেক জানান ১৩টি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রনয়ন করছে। পানি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে এ কৃষি কর্মকর্তা। তাই দ্রুত সময়ের মাঝে নীচু এলাকার জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।