ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

নাসিরনগরের হাওরে,পানিতে তলিয়ে গেছে কাচা পাঁকা অনেক ফসলি জমি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:১৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

সুমন গোপ, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর নগর উপজেলার মেদির হাওরের বিস্তীর্ণ পাকা ধানের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।উপজেলার মেহেদি আর আকাশী হাওরের সিংহভাগ কাঁচা ও পাকা ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে।উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্বি পাওয়া এ জমি তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওরে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উজানি ঢলে উপজেলার গোয়ালনগর ও সদর ইউনিয়নের হাওর-বিল মিলিয়ে ২৫০ হেক্টর জমির কাঁচা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল নৌকা নিয়ে সরেজমিন মেহেদির হাওরে ঘুরে , কৃষকদের কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে কাঁচা পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে।অনেক শ্রমিকেই আবার পানির কামড়ে ছটপট করতে দেখা গেছে।কোন কোন কৃষক আবার শ্রমিকের অতিরিক্ত মুল্যদিয়ে ধান কেটে নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।কৃষকরা বোরো ধানের ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও কিছু দিন আগে শিলা বৃষ্টি আর এখন উজানের ঢলে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবের মুখ দেখবে না বলেও জানিয়েছে অনেক কৃষক।

উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেকানগর, নাসিরপুর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল শ্রীঘরের মেদির হাওরের প্রায় ৭০ ভাগ জমির পাকা ও আধাকাচা ফসল উজানী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়াও কুন্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুরের তিতাস তীরবর্তী আকাশির হাওর অধিক ঝুকিতে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে নাসিরনগরের মেঘনা নদীতে গত দুই দিনে প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আশুবাইল গ্রামের কৃষক কাউছার মিয়া ও মামুন মিয়া জানায় ৫ দিন আগেও আমাদের হাওরে পানি ছিল না। কিন্তু দুইদিনে উজানের পানি এসে জমির সব ফসল পানির নীচে ডুবিয়ে দিয়েছে। পানির নীচ থেকে যে ধান কাটা হচ্ছে তাও আবার নেয়া যাচ্ছে না ।কাউছার জানায় তার চার কানি জমিতে ২০ মন ধানও হবে না।বেনীপাড়ার কৃষক মোঃ মামুন মিয়া জানায় পানিতে তার ১৬ কানি জমির ধান তলিয়ে গেছে।তাছাড়াও অনেকেই আবার শ্রমিকের অভাবে জমির ধান কাটতে পারছে না।

তাছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার অলিপুর ও রতনপুরের বিভিন্ন মেইল ফ্যাক্টরীর ক্যামিকেল ও বর্জ মিশ্রিত দুষিত দ্রব্য পানিতে মিশে গিয়ে পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে শ্রমিকরা দুষিত পানিতে দাড়িয়ে ধান কাটতে পারছে না।দুষিত পানির কারনে তাদের শরীরে পানির কামড়ে শরীর চুলকিয়ে চামড়ার উপরে ফুঁসকা পড়ে গেছে।যার ফলে অধিক বেতন দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেক জানান ১৩টি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রনয়ন করছে। পানি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে এ কৃষি কর্মকর্তা। তাই দ্রুত সময়ের মাঝে নীচু এলাকার জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাসিরনগরের হাওরে,পানিতে তলিয়ে গেছে কাচা পাঁকা অনেক ফসলি জমি

আপডেট টাইম : ০১:১৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

সুমন গোপ, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর নগর উপজেলার মেদির হাওরের বিস্তীর্ণ পাকা ধানের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।উপজেলার মেহেদি আর আকাশী হাওরের সিংহভাগ কাঁচা ও পাকা ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে।উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্বি পাওয়া এ জমি তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওরে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উজানি ঢলে উপজেলার গোয়ালনগর ও সদর ইউনিয়নের হাওর-বিল মিলিয়ে ২৫০ হেক্টর জমির কাঁচা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল নৌকা নিয়ে সরেজমিন মেহেদির হাওরে ঘুরে , কৃষকদের কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে কাঁচা পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে।অনেক শ্রমিকেই আবার পানির কামড়ে ছটপট করতে দেখা গেছে।কোন কোন কৃষক আবার শ্রমিকের অতিরিক্ত মুল্যদিয়ে ধান কেটে নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।কৃষকরা বোরো ধানের ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও কিছু দিন আগে শিলা বৃষ্টি আর এখন উজানের ঢলে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবের মুখ দেখবে না বলেও জানিয়েছে অনেক কৃষক।

উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেকানগর, নাসিরপুর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল শ্রীঘরের মেদির হাওরের প্রায় ৭০ ভাগ জমির পাকা ও আধাকাচা ফসল উজানী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়াও কুন্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুরের তিতাস তীরবর্তী আকাশির হাওর অধিক ঝুকিতে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে নাসিরনগরের মেঘনা নদীতে গত দুই দিনে প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আশুবাইল গ্রামের কৃষক কাউছার মিয়া ও মামুন মিয়া জানায় ৫ দিন আগেও আমাদের হাওরে পানি ছিল না। কিন্তু দুইদিনে উজানের পানি এসে জমির সব ফসল পানির নীচে ডুবিয়ে দিয়েছে। পানির নীচ থেকে যে ধান কাটা হচ্ছে তাও আবার নেয়া যাচ্ছে না ।কাউছার জানায় তার চার কানি জমিতে ২০ মন ধানও হবে না।বেনীপাড়ার কৃষক মোঃ মামুন মিয়া জানায় পানিতে তার ১৬ কানি জমির ধান তলিয়ে গেছে।তাছাড়াও অনেকেই আবার শ্রমিকের অভাবে জমির ধান কাটতে পারছে না।

তাছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার অলিপুর ও রতনপুরের বিভিন্ন মেইল ফ্যাক্টরীর ক্যামিকেল ও বর্জ মিশ্রিত দুষিত দ্রব্য পানিতে মিশে গিয়ে পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে শ্রমিকরা দুষিত পানিতে দাড়িয়ে ধান কাটতে পারছে না।দুষিত পানির কারনে তাদের শরীরে পানির কামড়ে শরীর চুলকিয়ে চামড়ার উপরে ফুঁসকা পড়ে গেছে।যার ফলে অধিক বেতন দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেক জানান ১৩টি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রনয়ন করছে। পানি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে এ কৃষি কর্মকর্তা। তাই দ্রুত সময়ের মাঝে নীচু এলাকার জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।