পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ‘চূড়ান্ত করেছে’ বিরোধী দল
- আপডেট টাইম : ০৭:১৬:০৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
- / ১৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
পাকিস্তানের টালমাটাল রাজনীতিতে নতুনমাত্রা যোগ করেছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। সংসদের স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় এতদিন ছিল বল ইমরান খানের কোর্টে। পার্লামেন্ট পুনর্বহালে সুপ্রিমকোর্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ায় দাবার গুটি এখন বিরোধী শিবিরে।
ইতোমধ্যে ফেডারেল সরকার গঠনের প্রাথমিক আলোচনা চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটিও ঠিকঠাক।
পার্লামেন্ট পুনর্বহালে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত এসেছে বৃহস্পতিবার। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে খারিজ হয়ে যাওয়া অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে আগামীকাল শনিবার। ইমরান খান অবশ্য বলেছেন, শেষ বল পর্যন্ত তিনি খেলবেন।
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের নিশ্চিত ভরাডুবি হবে এটি ধরেই বিরোধী শিবির চাঙ্গা। তারা নতুন সরকারে নিজ নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ।
বিরোধী জোটের সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আরও বলছে, জাতীয় সরকারের মতো নতুন ফেডারেল সরকার গঠন করা হবে। এতে আনুপাতিক হারে শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এর মেয়াদ ছয় মাস অথবা এক বছর রাখার বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনায় রয়েছে। এই মেয়াদের মধ্যে নির্বাচনি সংস্কার ও জবাবদিহি–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আইনগুলো পাস হতে পারে। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে।
জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। শপথ নেওয়ার পর তিনি ফেডারেল সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করবেন।
যুদ্ধ নয়, শান্তির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সব দেশের সঙ্গে সমানভাবে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রনীতিতেও পরিবর্তন আনবে সম্ভাব্য নতুন সরকার। নিপীড়নের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর কার্যক্রম বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট এবং চারটি প্রদেশে নতুন গভর্নর নিয়োগে সাংবিধানিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইমরান খান সরকারের সব সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা ও পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সরকার গঠনের পর পরই রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে দেশে ফেরানোর কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নওয়াজ শরিফ বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন।