ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগেরহাটের রামপালে আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার আদালতে প্রেরণ পাকুন্দিয়া উপজেলা জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসভা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হাজীদের পুনর্মিলনী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা কর্তৃক ১টি বিদেশী পিস্তল এবং গুলি সহ একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা মঠবাড়িয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদের কৌশলি ভূমিকায় বদলে যাচ্ছে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ৪ মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী বন্ধু’ ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ জয়ের অভিনন্দন জানালেন মোদি আজমিরীগঞ্জে অবৈধ ভাবে  পাচার হওয়া ৫০ বস্তা সার জব্দ,

কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার উপর ছাত্রলীগ কতৃক হামলার চেষ্টা অতঃপর থানায় জিডি।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:৩২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / ১৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

নুরুল আমিন মিল্টন মল্লিক (নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জিডিতে উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিই। রাত ৯টার দিকে সভাটি শেষ হলে স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর কার্যালয়ে চা চক্রে মিলিত হই। পরে বামনার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে রাত ১০টার দিকে বড়ইতলা ফেরিতে উঠি। ফেরিতে ওঠার পর ১৫ থেকে ২০ জন আমার গাড়ির আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করে এবং আমার গাড়ি আক্রমণের চেষ্টা চালায়, আমার সঙ্গে থাকা ছেলেরা তাঁদের অনেককে চিনে ফেলায় তাঁরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আমার ধারণা, তাঁরা আমাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করতে এসেছিলো। তাঁদের গতিবিধি দেখে এমনটা মনে হয়।’

জিডিতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাসিম, উপশিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক সুমন রায়, সদস্য গোলাম রাব্বানি, ঢলুয়া ইউনিয়ন সভাপতি কামরুল, কর্মী শাজনুস শরীফ, ইমরান হোসেন, মুন্না, জুয়েল, মেহেদী, মো. সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাগর বলেন, “ঢলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়িতে মাহফিলে যাবার সময় আমরা কয়েকজন ফেরিঘাটে চা খেতে গিয়েছিলাম। তখন দেখেছি সুভাষ দার ও পুলিশের একটি গাড়ি ফেরিতে উঠতেছে। আমরা চা খেয়ে চলে আসছি সেখান থেকে। কিন্ত তিনি কেন এভাবে সন্দেহ করে জিডি করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়।”

ঢলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন আমার বাড়িতে মাহফিলে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার দাওয়াত ছিল আমরা তাদেরকে নিয়ে বড়ইতলা ফেরিঘাটে চা খেতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সুভাষদা বিষয়টিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে আমরা তার ওপরে হামলা করতে গিয়েছি। এটা তার নিজের মনের দুর্বলতা। কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এভাবে তার জিডি করা কতটা যৌক্তিক?

এ বিষয়ে সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘জেলা যুবলীগের কমিটিতে আমরা অনিককে সাধারণ সম্পাদক বানাতে পারিনি। এ নিয়ে আমার প্রতি ক্ষোভ আছে। অনিকের ধারণা, আমি কমিটি বানিয়েছি, কিন্তু তাঁকে সেক্রেটারি বানাইনি। এটি নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সাংসদ শম্ভু দাদার কাছ থেকে রওনা হই। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরিঘাটে পৌঁছাই। সেখানে ফেরির মধ্যে ও আশপাশের দোকানে বেশ কয়েকজন পোলাপানকে দেখতে পাই। আমাদের সঙ্গে পাথরঘাটা থানার একটি পিকআপ থাকায় তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। আমার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় জিডি করেছি। এ ছাড়া বিষয়টি শম্ভু দাদা ও পুলিশ সুপারকে জানালে তাঁরা জিডি করার পরামর্শ দেন।’এবং তাৎক্ষণিক আমি বরগুনা সদর থানায় জিডি করি যার নম্বর ১২০৮/২২

অভিযোগের বিষয়ে সদ্য ঘোষিত জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান ওরফে অনিক বলেন, ‘ আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম বরগুনা সদর থানায় ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন সুভাষদা। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি একজন কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তিনি এমনটা করছেন কি না, জানি না। তিনি আমাকে এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। এ ছাড়া তিনি কবে থেকে আওয়ামী লীগ করেন, তা বরগুনাবাসী জানে। এ ঘটনার জন্য আমি মর্মাহত। দ্রুত সভা করে ব্যবস্থা নেব। তবে বিষয়টি তিনি আমাকে জানাতে পারতেন বা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে জানাতে পারতেন। তিনি কার প্ররোচনায় এ কাজ করছেন, তা জানি না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার উপর ছাত্রলীগ কতৃক হামলার চেষ্টা অতঃপর থানায় জিডি।

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:৩২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

নুরুল আমিন মিল্টন মল্লিক (নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জিডিতে উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিই। রাত ৯টার দিকে সভাটি শেষ হলে স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর কার্যালয়ে চা চক্রে মিলিত হই। পরে বামনার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে রাত ১০টার দিকে বড়ইতলা ফেরিতে উঠি। ফেরিতে ওঠার পর ১৫ থেকে ২০ জন আমার গাড়ির আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করে এবং আমার গাড়ি আক্রমণের চেষ্টা চালায়, আমার সঙ্গে থাকা ছেলেরা তাঁদের অনেককে চিনে ফেলায় তাঁরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আমার ধারণা, তাঁরা আমাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করতে এসেছিলো। তাঁদের গতিবিধি দেখে এমনটা মনে হয়।’

জিডিতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাসিম, উপশিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক সুমন রায়, সদস্য গোলাম রাব্বানি, ঢলুয়া ইউনিয়ন সভাপতি কামরুল, কর্মী শাজনুস শরীফ, ইমরান হোসেন, মুন্না, জুয়েল, মেহেদী, মো. সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাগর বলেন, “ঢলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়িতে মাহফিলে যাবার সময় আমরা কয়েকজন ফেরিঘাটে চা খেতে গিয়েছিলাম। তখন দেখেছি সুভাষ দার ও পুলিশের একটি গাড়ি ফেরিতে উঠতেছে। আমরা চা খেয়ে চলে আসছি সেখান থেকে। কিন্ত তিনি কেন এভাবে সন্দেহ করে জিডি করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়।”

ঢলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন আমার বাড়িতে মাহফিলে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার দাওয়াত ছিল আমরা তাদেরকে নিয়ে বড়ইতলা ফেরিঘাটে চা খেতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সুভাষদা বিষয়টিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে আমরা তার ওপরে হামলা করতে গিয়েছি। এটা তার নিজের মনের দুর্বলতা। কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এভাবে তার জিডি করা কতটা যৌক্তিক?

এ বিষয়ে সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘জেলা যুবলীগের কমিটিতে আমরা অনিককে সাধারণ সম্পাদক বানাতে পারিনি। এ নিয়ে আমার প্রতি ক্ষোভ আছে। অনিকের ধারণা, আমি কমিটি বানিয়েছি, কিন্তু তাঁকে সেক্রেটারি বানাইনি। এটি নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সাংসদ শম্ভু দাদার কাছ থেকে রওনা হই। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরিঘাটে পৌঁছাই। সেখানে ফেরির মধ্যে ও আশপাশের দোকানে বেশ কয়েকজন পোলাপানকে দেখতে পাই। আমাদের সঙ্গে পাথরঘাটা থানার একটি পিকআপ থাকায় তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। আমার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় জিডি করেছি। এ ছাড়া বিষয়টি শম্ভু দাদা ও পুলিশ সুপারকে জানালে তাঁরা জিডি করার পরামর্শ দেন।’এবং তাৎক্ষণিক আমি বরগুনা সদর থানায় জিডি করি যার নম্বর ১২০৮/২২

অভিযোগের বিষয়ে সদ্য ঘোষিত জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান ওরফে অনিক বলেন, ‘ আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম বরগুনা সদর থানায় ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন সুভাষদা। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি একজন কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তিনি এমনটা করছেন কি না, জানি না। তিনি আমাকে এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। এ ছাড়া তিনি কবে থেকে আওয়ামী লীগ করেন, তা বরগুনাবাসী জানে। এ ঘটনার জন্য আমি মর্মাহত। দ্রুত সভা করে ব্যবস্থা নেব। তবে বিষয়টি তিনি আমাকে জানাতে পারতেন বা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে জানাতে পারতেন। তিনি কার প্ররোচনায় এ কাজ করছেন, তা জানি না।