ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

টাকার জন্য লাশ আটকে রাখা যাবে না

  • আপডেট টাইম : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৪৮০ ৫০০.০০০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ না করার ব্যর্থতায় মৃত ব্যক্তির লাশ কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম্মি রাখার কোনো সুযোগ নেই মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সারাদেশের সকল হাসপাতালে ও ক্লিনিককে টাকার জন্য লাশ জিম্মি না রাখার বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধে একটি তহবিল গঠন করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নাবিল আহসান।

২০১২ সালের ৮ জুন মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে অসচ্ছ এক ব্যক্তি তার সন্তানকে ভর্তি করান। পরবর্তীতে সন্তানটি মারা গেলে ২৬ হাজার টাকা বেশি বিল দাবি করে লাশ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে পরে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওই রিটের শুনানিতে রুল জারি করেন আদালত। আজ ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই রায় দেন।

রায়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইলামকে সিটি হাসপাতাল ৫ হাজার টাকা দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাকার জন্য লাশ আটকে রাখা যাবে না

আপডেট টাইম : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ না করার ব্যর্থতায় মৃত ব্যক্তির লাশ কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম্মি রাখার কোনো সুযোগ নেই মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সারাদেশের সকল হাসপাতালে ও ক্লিনিককে টাকার জন্য লাশ জিম্মি না রাখার বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধে একটি তহবিল গঠন করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নাবিল আহসান।

২০১২ সালের ৮ জুন মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে অসচ্ছ এক ব্যক্তি তার সন্তানকে ভর্তি করান। পরবর্তীতে সন্তানটি মারা গেলে ২৬ হাজার টাকা বেশি বিল দাবি করে লাশ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে পরে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওই রিটের শুনানিতে রুল জারি করেন আদালত। আজ ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই রায় দেন।

রায়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইলামকে সিটি হাসপাতাল ৫ হাজার টাকা দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।