ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে

নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি কর আইএলও কনভেনশন-১৯০ ও ১৮৯ অনুসমর্থন কর

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৯:০৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • / ২৬১ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী নির্যাতনমুক্ত একটি পৃথিবী আমাদের সকলেরই কাম্য। আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজ ০৪  মার্চ’২০২২। ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডাশন এবং ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আইএলও কনভেনশন-১৯০ ও ১৮৯ অনুসমর্থনের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত।
শ্রমিক সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মিসেস সুইটি, মোঃ ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি, রাবেয়া ইসলাম, সাথী বেগম, মোঃ তাহেরুল ইসলাম, সেলিনা হোসাইন, কল্পনা আক্তার, মোঃ ওমর ফারুক, স্বপ্না বেগম, নাজমা, আকলিমা বেগম, রোকসানা, সালমা।সংহতি বক্তব্য রাখেন: টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কার্স লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন অর্থনীতিকে সচল রাখা, দেশকে স্ব-নির্ভর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার পেছনে আছে শ্রমজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম যেখানে নারীশ্রমিকের অংগ্রহণ ক্রমশ: বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অ-প্রাতিষ্ঠানিক উভয়খাতে নারীশ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও কর্মস্থলে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা যায় নি, প্রতিরোধ করা যায় নি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি। অথচ কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরনের যৌন হয়রানি মানবাধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।
কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্ট সকল প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১১টি দফা সম্বলিত সুনিদির্ষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন যেগুলো প্রতিপালন করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব। ২০১৯ সালে আইএলও “কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন কনভেনশন-১৯০” (“ইলেমিনেশন অব ভায়োলেন্স এন্ড হেরাসমেন্ট ইন দি ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক” প্রণয়ন করে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এই কনভেনশনটি এখনো অনুস্বাক্ষর করেনি।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, সম্পত্তিতে মালিকানা,ব্যবস্থাপনা বা নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে নারী এখনও অনেক পিছিয়ে। জেন্ডার বৈষম্যের সবচেয়ে নির্মম বহিঃপ্রকাশ নারী ও কন্যাশিশুর উপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা এবং যা সার্বিক উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকাশ ঘরে, বাইরে এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী এবং নির্যাতনে ভয়াবহ মাত্রা ধারণ করেছে। যা নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। একজন নারী যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে কতোটুকু সহায়ক পরিবেশ ও সহযোগিতা পাবে তা নির্ভর করে ঐ প্রতিষ্ঠানে কতটা কার্যকরী নীতিমালা এবং স্বাতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান তার উপর।

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দাবি সমূহ ঃ
ক্স আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও ১৮৯ অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন কর।
ক্স জাতীয় নারী-নীতিমালা-২০০৮ বান্তবায়ন চাই।
ক্স সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত কর।
ক্স নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
ক্স নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন চাই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি কর আইএলও কনভেনশন-১৯০ ও ১৮৯ অনুসমর্থন কর

আপডেট টাইম : ০৪:২৯:০৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী নির্যাতনমুক্ত একটি পৃথিবী আমাদের সকলেরই কাম্য। আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজ ০৪  মার্চ’২০২২। ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডাশন এবং ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আইএলও কনভেনশন-১৯০ ও ১৮৯ অনুসমর্থনের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত।
শ্রমিক সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মিসেস সুইটি, মোঃ ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি, রাবেয়া ইসলাম, সাথী বেগম, মোঃ তাহেরুল ইসলাম, সেলিনা হোসাইন, কল্পনা আক্তার, মোঃ ওমর ফারুক, স্বপ্না বেগম, নাজমা, আকলিমা বেগম, রোকসানা, সালমা।সংহতি বক্তব্য রাখেন: টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কার্স লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন অর্থনীতিকে সচল রাখা, দেশকে স্ব-নির্ভর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার পেছনে আছে শ্রমজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম যেখানে নারীশ্রমিকের অংগ্রহণ ক্রমশ: বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অ-প্রাতিষ্ঠানিক উভয়খাতে নারীশ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও কর্মস্থলে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা যায় নি, প্রতিরোধ করা যায় নি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি। অথচ কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরনের যৌন হয়রানি মানবাধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।
কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্ট সকল প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১১টি দফা সম্বলিত সুনিদির্ষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন যেগুলো প্রতিপালন করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব। ২০১৯ সালে আইএলও “কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন কনভেনশন-১৯০” (“ইলেমিনেশন অব ভায়োলেন্স এন্ড হেরাসমেন্ট ইন দি ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক” প্রণয়ন করে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এই কনভেনশনটি এখনো অনুস্বাক্ষর করেনি।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, সম্পত্তিতে মালিকানা,ব্যবস্থাপনা বা নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে নারী এখনও অনেক পিছিয়ে। জেন্ডার বৈষম্যের সবচেয়ে নির্মম বহিঃপ্রকাশ নারী ও কন্যাশিশুর উপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা এবং যা সার্বিক উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকাশ ঘরে, বাইরে এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী এবং নির্যাতনে ভয়াবহ মাত্রা ধারণ করেছে। যা নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। একজন নারী যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে কতোটুকু সহায়ক পরিবেশ ও সহযোগিতা পাবে তা নির্ভর করে ঐ প্রতিষ্ঠানে কতটা কার্যকরী নীতিমালা এবং স্বাতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান তার উপর।

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দাবি সমূহ ঃ
ক্স আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও ১৮৯ অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন কর।
ক্স জাতীয় নারী-নীতিমালা-২০০৮ বান্তবায়ন চাই।
ক্স সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত কর।
ক্স নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
ক্স নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন চাই।