ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার রাজনৈতিক হত্যার আসামি বাবু গ্রেফতার সাভার শিল্পনগরী এলাকা থেকে একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার দুই গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানে ইসরাইলের হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলো বাইডেন, হুঁশিয়ারি করলো ইরান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে অংশ নেবেন যেভাবে চট্টগ্রাম নগরীর শমসের পাড়ায় মাইক্রোবাসে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে ১’ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরাঃ ৬০ ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় সালমান এফ রহমানের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টিআই মাহাবুবার রহমানের পরিচালনায় বিরামপুরে সেচ্ছা শ্রমেই চলছে আনসার ও ভিডিপি স্কুল অন্তর্বর্তী সরকারের আড়াই মাসেও গতি নেই প্রশাসনে

হাসির খোরাক জোগানো দিলদারকে মনে পড়ে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১০:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২১
  • / ২৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিনোদন রিপোর্ট।।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী কৌতুক অভিনয়ের জাদুকর দিলদার। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হাসির খোরাক যুগিয়েছেন দারুণভাবে। চলচ্চিত্রের পর্দায় দর্শকদের দুঃখ ভুলানো মানুষ ছিলেন তিনি। ছবি দেখতে দেখতে কষ্ট-বেদনা বা ক্লান্তিতে মন যখন আচ্ছন্ন, ঠিক তখনই তিনি হাজির হতেন হাসির ফোয়ারা নিয়ে। এককথায়, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদারের তুলনা তিনি নিজেই। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।

Nogod

১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেন এমন হয়’। এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ে অভিষেক। ধীরে ধীরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন তিনি। পাঁচ শতাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন দিলদার।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘লড়াকু’ ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’, ‘ত্রাস’, ‘তেজী’,‘এই ঘর এই সংসার’ ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ ‘খায়রুন সুন্দরী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র দিলদারের কৌতুক অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে।

এক সময় যে ছবিতে দিলদার নেই তা ব্যবসাসফল না হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ত। তার জনপ্রিয়তা এতোটাই আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছিলো যে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয় ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার বিপরীতে অভিনেত্রী ছিলেন নূতন। ছবিটি ব্যবসাসফলও হয়। বিশেষকরে এর গানগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।

২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন দিলদার।

ব্যক্তি জীবনেও তিনি ছিলেন সমৃদ্ধ এক মানুষ। দিলদারের স্ত্রীর নাম রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ।

দিলদারহীন ১৮ বছর পার করছে বাংলা চলচ্চিত্র। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতা। তার মৃত্যুর পর ঢাকাই সিনেমাতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয় তা এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। দিলদার চলে গেলেও তার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। তিনি বাংলা ছবির ‘কমেডি কিং’ হিসেবেই চিরদিন কোটি দর্শকদের হৃদয়ে থাকবেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাসির খোরাক জোগানো দিলদারকে মনে পড়ে

আপডেট টাইম : ০৯:১০:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২১

বিনোদন রিপোর্ট।।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী কৌতুক অভিনয়ের জাদুকর দিলদার। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হাসির খোরাক যুগিয়েছেন দারুণভাবে। চলচ্চিত্রের পর্দায় দর্শকদের দুঃখ ভুলানো মানুষ ছিলেন তিনি। ছবি দেখতে দেখতে কষ্ট-বেদনা বা ক্লান্তিতে মন যখন আচ্ছন্ন, ঠিক তখনই তিনি হাজির হতেন হাসির ফোয়ারা নিয়ে। এককথায়, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদারের তুলনা তিনি নিজেই। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।

Nogod

১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেন এমন হয়’। এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ে অভিষেক। ধীরে ধীরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন তিনি। পাঁচ শতাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন দিলদার।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘লড়াকু’ ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’, ‘ত্রাস’, ‘তেজী’,‘এই ঘর এই সংসার’ ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ ‘খায়রুন সুন্দরী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র দিলদারের কৌতুক অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে।

এক সময় যে ছবিতে দিলদার নেই তা ব্যবসাসফল না হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ত। তার জনপ্রিয়তা এতোটাই আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছিলো যে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয় ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার বিপরীতে অভিনেত্রী ছিলেন নূতন। ছবিটি ব্যবসাসফলও হয়। বিশেষকরে এর গানগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।

২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন দিলদার।

ব্যক্তি জীবনেও তিনি ছিলেন সমৃদ্ধ এক মানুষ। দিলদারের স্ত্রীর নাম রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ।

দিলদারহীন ১৮ বছর পার করছে বাংলা চলচ্চিত্র। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতা। তার মৃত্যুর পর ঢাকাই সিনেমাতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয় তা এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। দিলদার চলে গেলেও তার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। তিনি বাংলা ছবির ‘কমেডি কিং’ হিসেবেই চিরদিন কোটি দর্শকদের হৃদয়ে থাকবেন।