ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

ভাই আপনি তো একজন দার্শনিক, রাজনীতিবিদ নন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ জানুয়ারি ২০২২
  • / ২৫০ ৫০০০.০ বার পাঠক

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও শেখ হাসিনা (ছবিটি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।। আজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী। আশরাফ ভাইয়ের মৃত্যর তিন বছর পরেও সামাজিক গণমাধ্যমে তিনি বেশ জনপ্রিয় ও শক্তিশালী। অনেকই আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন এবং নানাভাবে আশরাফ ভাইকে উপস্থাপন করছেন। মূলত তাঁর অকাল মৃত্যু ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু নয় দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি‌।আশরাফ ভাইয়ের সাথে আমার অনেক ব্যক্তিগত স্মৃতি। বিশেষ করে আমি দুই বার তার বিদেশ সফরের টিমে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। প্রথমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির  নির্দিষ্ট সফরসঙ্গীর তালিকার বাইরে আমি ছিলাম একমাত্র এবং কনিষ্ঠ সদস্য। সেবারের চীন সফরে আশরাফ ভাইয়ের কোনো ব্যক্তিগত কর্মকর্তা না থাকায় আমাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হয়।

খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি ছিলেন একেবারে সাদাসিধে, সাধারণ এবং কোন প্রকার কৃত্রিমতা ছাড়া সম্পূর্ণ নির্মোহ একজন মানুষ। আশরাফ ভাইয়ের বিশেষ গুণ ছিল, আর তা হল পরিমিতিবোধ। শুনতেন বেশি, কথা বলতেন খুব কম। মানুষের কোলাহলে মনে হতো তিনি একপ্রকার অসহায় বোধ করছেন, তবে ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আড্ডায় আশরাফ ভাই ছিলেন প্রখর “সেন্স অফ হিউমার” ক্ষমতার অধিকারী একজন বন্ধুবৎসল আড্ডাবাজ প্রাণবন্ত সাধারণ মানুষ।
বস্তুগত কোন বিষয় কিংবা খ্যাতির প্রতি তিনি কখনও লালায়িত ছিলেন না। নিজে যা বুঝতেন সেভাবে কাজ করতে পছন্দ করতেন। সাধারণ রাজনীতিবিদদের সচরাচর যেসব বিষয়ে আকর্ষণ করে, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন এইসব বিষয় থেকে যোজন যোজন দূরে। আমি একবার হাসতে হাসতে বলেছিলাম- ভাই আপনি তো একজন দার্শনিক, রাজনীতিবিদ নন। Actually he was a philosopher more than a politician.(লেখাটি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভাই আপনি তো একজন দার্শনিক, রাজনীতিবিদ নন

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ জানুয়ারি ২০২২

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও শেখ হাসিনা (ছবিটি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।। আজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী। আশরাফ ভাইয়ের মৃত্যর তিন বছর পরেও সামাজিক গণমাধ্যমে তিনি বেশ জনপ্রিয় ও শক্তিশালী। অনেকই আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন এবং নানাভাবে আশরাফ ভাইকে উপস্থাপন করছেন। মূলত তাঁর অকাল মৃত্যু ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু নয় দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি‌।আশরাফ ভাইয়ের সাথে আমার অনেক ব্যক্তিগত স্মৃতি। বিশেষ করে আমি দুই বার তার বিদেশ সফরের টিমে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। প্রথমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির  নির্দিষ্ট সফরসঙ্গীর তালিকার বাইরে আমি ছিলাম একমাত্র এবং কনিষ্ঠ সদস্য। সেবারের চীন সফরে আশরাফ ভাইয়ের কোনো ব্যক্তিগত কর্মকর্তা না থাকায় আমাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হয়।

খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি ছিলেন একেবারে সাদাসিধে, সাধারণ এবং কোন প্রকার কৃত্রিমতা ছাড়া সম্পূর্ণ নির্মোহ একজন মানুষ। আশরাফ ভাইয়ের বিশেষ গুণ ছিল, আর তা হল পরিমিতিবোধ। শুনতেন বেশি, কথা বলতেন খুব কম। মানুষের কোলাহলে মনে হতো তিনি একপ্রকার অসহায় বোধ করছেন, তবে ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আড্ডায় আশরাফ ভাই ছিলেন প্রখর “সেন্স অফ হিউমার” ক্ষমতার অধিকারী একজন বন্ধুবৎসল আড্ডাবাজ প্রাণবন্ত সাধারণ মানুষ।
বস্তুগত কোন বিষয় কিংবা খ্যাতির প্রতি তিনি কখনও লালায়িত ছিলেন না। নিজে যা বুঝতেন সেভাবে কাজ করতে পছন্দ করতেন। সাধারণ রাজনীতিবিদদের সচরাচর যেসব বিষয়ে আকর্ষণ করে, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন এইসব বিষয় থেকে যোজন যোজন দূরে। আমি একবার হাসতে হাসতে বলেছিলাম- ভাই আপনি তো একজন দার্শনিক, রাজনীতিবিদ নন। Actually he was a philosopher more than a politician.(লেখাটি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)