ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক কর্মচারী কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সভা ও নির্বাচন আমতলী-তালতলী সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ডায়াবেটিস রোগীদের বনাজি গাছ দাঁড়ায় রোগ নিয়ন্ত্রণ শহিদদের নামে প্রতি উপজেলায় স্টেডিয়াম: ক্রীড়া উপদেষ্টা পল্লবীতে দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা ২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতার বইমেলায় নেই বাংলাদেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষক ও ক্রেতার মেলবন্ধনের বাজার মানবতার সওদাপাতি ব্যর্থ প্রেম’ বিষয়ক উপদেষ্টা, মুখ খুললেন বাপ্পারাজ আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতারা যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন!

নারী পর্যটককে গণধর্ষণ, মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৭:৩২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রাম থেকে রিপোর্টার।।

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আটক তিনজনের মধ্যে কেউ এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তবে গণধর্ষণকাণ্ডে মূলহোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রোববার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে আটককৃতদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চট্রগ্রাম বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোহাং মুসলিম।

তিনি বলেন, পর্যটক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারে যে তিনজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে সকালে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিলেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান।

পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনজনকে গ্রেফতার করার তথ্য জানায় টুরিস্ট পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- শহরের বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম প্রকাশ শাহাব উদ্দিন, মেহেদী হাসান ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকার মামুনুর রশিদ।

ডিআইজি মুসলিম বলেন, ধর্ষণের মূলহোতা ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম পৃথকভাবে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে।

ডিআইজির দাবি, গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে ভুক্তভোগি ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেখানে এই তিন জনের নাম রয়েছে।

এদিকে গৃহবধূর ভাষ্যমতে, গত বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে স্বামী সন্তান নিয়ে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এরপর তাকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র্যা ব এসে তাকে উদ্ধার করে।

চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

টুরিস্ট পুলিশকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে র্যা ব। এদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ইয়াবা অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।

এদিকে এই ধর্ষণের ঘটনায় মূল অপরাধীরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় সাধারণ লোকজনসহ পর্যটক ও সচেতন মহলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী পর্যটককে গণধর্ষণ, মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

আপডেট টাইম : ১২:২৭:৩২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম থেকে রিপোর্টার।।

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আটক তিনজনের মধ্যে কেউ এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তবে গণধর্ষণকাণ্ডে মূলহোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রোববার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে আটককৃতদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চট্রগ্রাম বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোহাং মুসলিম।

তিনি বলেন, পর্যটক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারে যে তিনজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে সকালে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিলেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান।

পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনজনকে গ্রেফতার করার তথ্য জানায় টুরিস্ট পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- শহরের বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম প্রকাশ শাহাব উদ্দিন, মেহেদী হাসান ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকার মামুনুর রশিদ।

ডিআইজি মুসলিম বলেন, ধর্ষণের মূলহোতা ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম পৃথকভাবে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে।

ডিআইজির দাবি, গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে ভুক্তভোগি ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেখানে এই তিন জনের নাম রয়েছে।

এদিকে গৃহবধূর ভাষ্যমতে, গত বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে স্বামী সন্তান নিয়ে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এরপর তাকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র্যা ব এসে তাকে উদ্ধার করে।

চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

টুরিস্ট পুলিশকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে র্যা ব। এদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ইয়াবা অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।

এদিকে এই ধর্ষণের ঘটনায় মূল অপরাধীরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় সাধারণ লোকজনসহ পর্যটক ও সচেতন মহলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।