ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক কর্মচারী কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সভা ও নির্বাচন আমতলী-তালতলী সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ডায়াবেটিস রোগীদের বনাজি গাছ দাঁড়ায় রোগ নিয়ন্ত্রণ শহিদদের নামে প্রতি উপজেলায় স্টেডিয়াম: ক্রীড়া উপদেষ্টা পল্লবীতে দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা ২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতার বইমেলায় নেই বাংলাদেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষক ও ক্রেতার মেলবন্ধনের বাজার মানবতার সওদাপাতি ব্যর্থ প্রেম’ বিষয়ক উপদেষ্টা, মুখ খুললেন বাপ্পারাজ আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতারা যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন!

সঠিক রাজনীতি নেতা মওলানা ভাসানীর ছিল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩১:১৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পাকিস্তান আমলের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে আমরা তার কয়েকটি বিশাল অবদান চিহিৃত করতে পারি, যেগুলোর যেকোনো একটির জন্যও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন :
১। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানে প্রথম মুসলিম লীগের বিরোধিতা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা করেন।
২। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানে প্রথম অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবর্তন করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ভাসানী প্রথম আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের মধ্যদিয়ে মুসলিম লীগের স্বৈরশাসনের বিরোধিতা করেন। সে সময় কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি এবং একটু পরে আত্মগোপনকারী কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে গঠিত গণতন্ত্রী পার্টি থাকলেও তা তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। মওলানা ভাসানীই পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারণা তুলে ধরেন। মুসলিম শব্দ বাদ দেয়ার প্রস্তাব আনেন ভাসানী নিজেই। প্রথম দিকে সোহরাওয়ার্দী এই প্রস্তাবের বিরোধিতার করলেও পরে মেনে নিতে বাধ্য হন)।
৩। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানে প্রথম সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ভাসানী যখন পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি এবং সিয়াটো-সেন্টো’র বিরোধিতা করেন, তখন সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিব এই চুক্তিগুলোর পক্ষে ওকালতি করেন)।
৪। মওলানা ভাসানীই প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের কথা বলেন এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৫৭ সালে সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতার করেন)।
৫। মওলানা ভাসানীই পাকিস্তানে প্রথম শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষকে রাজনীতির মঞ্চে টেনে আনেন এবং মেহনতি মানুষের শ্রেণী শোষণ মুক্তির কথা তুলে ধরেন। (কমিউনিস্ট পার্টিও একই কথা বলতো। কিন্তু পার্টি খুব দুর্বল থাকায় তা তেমন সোচ্চার হয়নি)।
৬। মওলানা ভাসানীই পাকিস্তানে প্রথম সমাজতন্ত্রকে ব্যাপক প্রচারে নিয়ে আসেন এবং জনপ্রিয় করে তোলেন।
-হায়দার আকবর খান রনো

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সঠিক রাজনীতি নেতা মওলানা ভাসানীর ছিল

আপডেট টাইম : ০৫:৩১:১৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পাকিস্তান আমলের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে আমরা তার কয়েকটি বিশাল অবদান চিহিৃত করতে পারি, যেগুলোর যেকোনো একটির জন্যও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন :
১। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানে প্রথম মুসলিম লীগের বিরোধিতা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা করেন।
২। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানে প্রথম অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবর্তন করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ভাসানী প্রথম আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের মধ্যদিয়ে মুসলিম লীগের স্বৈরশাসনের বিরোধিতা করেন। সে সময় কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি এবং একটু পরে আত্মগোপনকারী কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে গঠিত গণতন্ত্রী পার্টি থাকলেও তা তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। মওলানা ভাসানীই পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারণা তুলে ধরেন। মুসলিম শব্দ বাদ দেয়ার প্রস্তাব আনেন ভাসানী নিজেই। প্রথম দিকে সোহরাওয়ার্দী এই প্রস্তাবের বিরোধিতার করলেও পরে মেনে নিতে বাধ্য হন)।
৩। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানে প্রথম সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ভাসানী যখন পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি এবং সিয়াটো-সেন্টো’র বিরোধিতা করেন, তখন সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিব এই চুক্তিগুলোর পক্ষে ওকালতি করেন)।
৪। মওলানা ভাসানীই প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের কথা বলেন এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৫৭ সালে সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতার করেন)।
৫। মওলানা ভাসানীই পাকিস্তানে প্রথম শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষকে রাজনীতির মঞ্চে টেনে আনেন এবং মেহনতি মানুষের শ্রেণী শোষণ মুক্তির কথা তুলে ধরেন। (কমিউনিস্ট পার্টিও একই কথা বলতো। কিন্তু পার্টি খুব দুর্বল থাকায় তা তেমন সোচ্চার হয়নি)।
৬। মওলানা ভাসানীই পাকিস্তানে প্রথম সমাজতন্ত্রকে ব্যাপক প্রচারে নিয়ে আসেন এবং জনপ্রিয় করে তোলেন।
-হায়দার আকবর খান রনো