ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন উদ্যোগ চালু করা হচ্ছে চট্রগ্রামে।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে এই কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম।

সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সব ধরণের যাত্রীদের জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে দিন-রাত সব সময় একটি নিরাপদ বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ আমার গাড়ি নিরাপদ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই এই উদ্যোগ।

এই উদ্যোগের আওতায় মহানগরী এলাকায় চলাচলরত বৈধ কাগজ সম্বলিত সকল সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক এবং ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভেরিফাইড করা হবে। মালিক এবং ড্রাইভারদের সকল তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা QR কোড এবং নিউম্যারিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে যাত্রীরা এই আইডি অথবা QR কোডটি স্ক্যান করে ড্রাইভার এবং মালিক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।

ব্যবহার নির্দেশিকাঃ

# কোন যাত্রী গাড়িতে যাত্রার আগে যদি গাড়িতে প্রিন্টেড কপিটি ঝুলানো দেখে তাহলে বুঝতে পারবে গাড়িটি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড।

# এডভান্স লেভেলের ভেরিফাই করার জন্য যাত্রীর স্মার্ট ফোনে “হ্যালো সিএমপি” এ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে।

# প্রিন্টেড কপিতে থাকা QR কোডটি যাত্রী “হ্যালো সিএমপি” এ্যাপে স্ক্যান করার সাথে সাথে ড্রাইভার অথবা মালিক যদি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড হয় তাহলে তিনি তার স্মার্টফোনে মালিক ও ড্রাইভারের ছবি সম্বলিত তথ্য দেখতে পাবেন।

# যাদের স্মার্টফোন থাকবে না তারা চাইলেই তাদের ফিচার ফোন থেকে প্রিন্টেড কপিতে থাকা নিউম্যারিক কোডটি সিএমপি নির্ধারিত নম্বরে প্রেরণ করলে ফিরতি বার্তায় ড্রাইভার এবং মালিক ভেরিফাইড কিনা তা জানানো হবে।

উদ্দেশ্যেঃ

# যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়া।

# বিভিন্ন সময় সাধারণ যাত্রীরা তাদের অনেক মূল্যবান সামগ্রী সিএনজি চালিত অটোরিক্সাতে ফেলে আসেন। যাত্রীরা যদি নিউমারিক আইডিটি অথবা QR কোড স্ক্যান করে রাখেন পরবর্তীতে সহজেই সিএনজি চালিত অটোরিক্সটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

# সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মাধ্যমে সংঘঠিত বিভিন্ন অপরাধ সহজেই উদ্ঘাটন এবং নিয়ন্ত্রন করা।

# সিএনজি মালিক তার গাড়ি যেকোন চালককে দেওয়ার আগে সহজেই চালকের ভেরিফিকেশন কার্ড দেখে চালক সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

# একজন সিএনজি চালক ভেরিফাইড থাকলে যাত্রী এবং গাড়ির মালিকের কাছে চালক সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

নিবন্ধন হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

গাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে-

■ গাড়ির মালিকের NID

■ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট

■ গাড়ির ফিটনেশ সার্টিফিকেট

■ গাড়ির ট্যাক্স টোকেন

■ গাড়ির রুট পারমিট

গাড়ির চালকের ক্ষেত্রে

■ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স

■ চালকের NID

নিবন্ধন বুথঃ

প্রাথমিকভাবে নগরীর নিম্নোক্ত আটটি স্থানে স্থাপিত বুথের মাধ্যমে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক এবং ড্রাইভারের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে।

১. টাইগারপাস ট্রাফিক পুলিশ বক্স

২. নিউ মার্কেট ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৩. বহাদ্দারহাট ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৪. জিইসি মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৫. বাদমতলী ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৬. অলংকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৭. মইজ্জারটেক ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৮. সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক পুলিশ বক্স

প্রাথমিকভাবে নগরীর আটটি স্থানে বুথ স্থাপন করা হবে। বুথে সিএনজি মালিক এবং ড্রাইভারদের জন্য আলাদা নিবন্ধন ফরমের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। নিবন্ধনের আগে তাদের বৈধ কাগজ পত্র যাছাই করা হবে।

নিবন্ধনের তথ্য সিএমপি সার্ভারে জমা হওয়ার পর সার্ভার থেকে অটোমেটিক মালিক এবং ড্রাইভারের জন্য আলাদা আলাদা একটি ইউনিক QR কোড এবং নিউম্যারিক আইডি প্রস্তুত হবে।

উক্ত আইডি ও QR কোড সম্বলিত একটি প্রিন্টেড কপি প্রতিটি গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে প্রদান করা হবে।

উক্ত আইডি ও QR কোড সম্বলিত প্রিন্ট কপিটি গাড়িতে সবসময় এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখবে যাতে যাত্রীদের দৃষ্টিগোচর হয়।

উক্ত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব মোঃ শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(প্রশাসন ও অর্থ) জনাব সানা শামীনুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) জনাব মোঃ আমির জাফর সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন উদ্যোগ চালু করা হচ্ছে চট্রগ্রামে।

আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে এই কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম।

সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সব ধরণের যাত্রীদের জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে দিন-রাত সব সময় একটি নিরাপদ বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ আমার গাড়ি নিরাপদ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই এই উদ্যোগ।

এই উদ্যোগের আওতায় মহানগরী এলাকায় চলাচলরত বৈধ কাগজ সম্বলিত সকল সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক এবং ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভেরিফাইড করা হবে। মালিক এবং ড্রাইভারদের সকল তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা QR কোড এবং নিউম্যারিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে যাত্রীরা এই আইডি অথবা QR কোডটি স্ক্যান করে ড্রাইভার এবং মালিক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।

ব্যবহার নির্দেশিকাঃ

# কোন যাত্রী গাড়িতে যাত্রার আগে যদি গাড়িতে প্রিন্টেড কপিটি ঝুলানো দেখে তাহলে বুঝতে পারবে গাড়িটি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড।

# এডভান্স লেভেলের ভেরিফাই করার জন্য যাত্রীর স্মার্ট ফোনে “হ্যালো সিএমপি” এ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে।

# প্রিন্টেড কপিতে থাকা QR কোডটি যাত্রী “হ্যালো সিএমপি” এ্যাপে স্ক্যান করার সাথে সাথে ড্রাইভার অথবা মালিক যদি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড হয় তাহলে তিনি তার স্মার্টফোনে মালিক ও ড্রাইভারের ছবি সম্বলিত তথ্য দেখতে পাবেন।

# যাদের স্মার্টফোন থাকবে না তারা চাইলেই তাদের ফিচার ফোন থেকে প্রিন্টেড কপিতে থাকা নিউম্যারিক কোডটি সিএমপি নির্ধারিত নম্বরে প্রেরণ করলে ফিরতি বার্তায় ড্রাইভার এবং মালিক ভেরিফাইড কিনা তা জানানো হবে।

উদ্দেশ্যেঃ

# যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়া।

# বিভিন্ন সময় সাধারণ যাত্রীরা তাদের অনেক মূল্যবান সামগ্রী সিএনজি চালিত অটোরিক্সাতে ফেলে আসেন। যাত্রীরা যদি নিউমারিক আইডিটি অথবা QR কোড স্ক্যান করে রাখেন পরবর্তীতে সহজেই সিএনজি চালিত অটোরিক্সটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

# সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মাধ্যমে সংঘঠিত বিভিন্ন অপরাধ সহজেই উদ্ঘাটন এবং নিয়ন্ত্রন করা।

# সিএনজি মালিক তার গাড়ি যেকোন চালককে দেওয়ার আগে সহজেই চালকের ভেরিফিকেশন কার্ড দেখে চালক সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

# একজন সিএনজি চালক ভেরিফাইড থাকলে যাত্রী এবং গাড়ির মালিকের কাছে চালক সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

নিবন্ধন হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

গাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে-

■ গাড়ির মালিকের NID

■ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট

■ গাড়ির ফিটনেশ সার্টিফিকেট

■ গাড়ির ট্যাক্স টোকেন

■ গাড়ির রুট পারমিট

গাড়ির চালকের ক্ষেত্রে

■ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স

■ চালকের NID

নিবন্ধন বুথঃ

প্রাথমিকভাবে নগরীর নিম্নোক্ত আটটি স্থানে স্থাপিত বুথের মাধ্যমে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক এবং ড্রাইভারের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে।

১. টাইগারপাস ট্রাফিক পুলিশ বক্স

২. নিউ মার্কেট ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৩. বহাদ্দারহাট ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৪. জিইসি মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৫. বাদমতলী ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৬. অলংকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৭. মইজ্জারটেক ট্রাফিক পুলিশ বক্স

৮. সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক পুলিশ বক্স

প্রাথমিকভাবে নগরীর আটটি স্থানে বুথ স্থাপন করা হবে। বুথে সিএনজি মালিক এবং ড্রাইভারদের জন্য আলাদা নিবন্ধন ফরমের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। নিবন্ধনের আগে তাদের বৈধ কাগজ পত্র যাছাই করা হবে।

নিবন্ধনের তথ্য সিএমপি সার্ভারে জমা হওয়ার পর সার্ভার থেকে অটোমেটিক মালিক এবং ড্রাইভারের জন্য আলাদা আলাদা একটি ইউনিক QR কোড এবং নিউম্যারিক আইডি প্রস্তুত হবে।

উক্ত আইডি ও QR কোড সম্বলিত একটি প্রিন্টেড কপি প্রতিটি গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে প্রদান করা হবে।

উক্ত আইডি ও QR কোড সম্বলিত প্রিন্ট কপিটি গাড়িতে সবসময় এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখবে যাতে যাত্রীদের দৃষ্টিগোচর হয়।

উক্ত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব মোঃ শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(প্রশাসন ও অর্থ) জনাব সানা শামীনুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) জনাব মোঃ আমির জাফর সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।