ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

প্রয়াত বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্মদিন আজ ” সকলের মনে পড়ে,

  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৩৯ ৫০০.০০০ বার পাঠক

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

১৯৪৪ এর পহেলা ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরির জন্ম। পিতার নাম মরহুম হোসেন আহমদ চৌধুরি আর মাতা মরহুম বেদৌরা বেগম। আট ভাইবোনের মাঝে মহিউদ্দিন মেঝ। পিতা চাকুরী করতেন আসাম বেংগল রেলওয়েতে। পিতার চাকরির সুবাদে মহিউদ্দিন পরাশুনা করেছেন মাইজদি জেলা স্কুল, কাজেম আলি ইংলিশ হাই, আর প্রবর্তক সংঘে। স্কুল জীবনেই জরিয়ে পরেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। মাধ্যমিকের শেষে বাবার আদেশে ভর্তি হয়ে ছিলেন ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এর কোর্সে। সেখানের পাঠ না চুকিয়ে ভর্তী হন চট্টগ্রামের অন্যতম বিদ্যাপিঠ চট্টগ্রাম কলেজে। বছর না ঘুরতেই কমার্স কলেজ, আর শেষমেষ সিটি কলেজ। সিটি কলেজেই তার বিপ্লবী রাজনৈতীক জীবনের হাতেখরি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবনের শুরতেই সান্নিধ্যে আসেন জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরির। বংগবন্ধুর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে পাক বাহিনির কাছে গ্রেফতার হন অসংখ্যবার। মুক্তিযুধ্যে অংশ নিতে গিয়ে আই এস আইয়ের চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমী সদরদপ্তরের কাছে গ্রফতার হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন দীর্ঘ চার মাস। পাক বাহিনির নির্যাতনের চিহ্ন মহিউদ্দীন আজও তার শরিরে বয়ে বেরাচ্ছেন। তার গ্রেফতারের খবরে ততদিনে ভারতের একটি মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে শহিদ মহিউদ্দীন ক্যাম্প খোলা হয়েছিলো। বেচে থাকার কথা ছিলোনা তার। শহিদ ভেবে বাবা ছেলের নামে দিয়ে ছিলো ফাতেহা। এরিমাঝে একদিন মানসিক রোগীর নাটক করে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে পালিয়ে বেরোন মহিউদ্দিন। পারি জমান ভারতে। সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষন শেষে সক্রিয়ভাবে সম্মুখসমরে অংশ নেন। ছিলেন ভারত-বাংলা যৌথবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশনের অধিনে।
দেশ স্বাধিনের পর বংগবন্ধুর নির্দেশে জহুর আহমদ চৌধুরির নেতৃত্বে ঝাপিয়ে পরেন নতুন সংগ্রামে। বংগবণ্ধুর খুবই কাছের আর আদরের ছাত্রনেতা ছিলেন মহিউদ্দীন। কিন্তু তৎকালিন সময়ে প্রবল ক্ষমতাশালি হয়েও ক্ষমতার মোহ একচুলও স্পর্শ করেনি তাকে।
কিছুদিন না যেতেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত হন বংগবন্ধু। অল্পের জন্য মহিউদ্দিন ধরা পরা থেকে বেচে যান, মৃত্যু বরন করেন সাথি মৌলভি সৈয়দ। পালিয়ে গিয়ে ভারতে প্রতিবিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন। লক্ষ্য সামরিক জান্তা, খুনি মোশতাককে সামরিক ভাবেই পরাস্ত করা। কিছুদিন পরেই দলের নির্দেশে পন্হা পরিবর্তন করে আবার সক্রিয় হন প্রকাশ্য রাজনিতিতে।
দেশে এসেই একের পর এক হুলিয়া। সামরিক বাহিনির হাতে নিষ্পেশন, নির্যাতন, আর একের পর এক কারাভোগ। তখন মহামান্য স্বৈরাচার জিয়া ক্ষমতায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর জিয়ার দমন, বংগবন্ধু হত্যাকান্ডে গোপন ষড়যণ্ত্রের ভুমিকা, প্রতিবাদি করে তোলে মহিউদ্দিন কে। দলের নির্দেশে চলে বৈপ্লবীক প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ। তরুন ছাত্রনেতা মহিউদ্দিনের জুজু তে সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা তটস্হ। মাঝে আওয়ামি লীগের ভেতরেই ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠলো। বংগবন্ধু কন্যা আজকের জননেত্রী শেখ হাসিনার ভুমিকাকে নগণ্য করতে তাকে ঠেকাতে শত্রুরা উঠেপরে বসলো। অদম্য সাহসী মহিউদ্দীন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে দলবল নিয়ে বংগবন্ধু কন্যার জন্য ঝাপিয়ে পরলেন। সব বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দলের কান্ডারীর দায়ীত্ব নিতে সহয়তা করলেন।
তারপর আসলো স্বৈরাচারি সামরিক জান্তা এরশাদ। তারই শাসনামলে চট্টগ্রামে স্বয়ং জান্তা প্রধানকে অবান্চিত ঘোসনা করে চক্ষুসুল হন সরকারের। ফলে আবারও রাজনৈতিক বন্দি। ততদিনে চট্টগ্রামের আপামর জনতার নয়নমনি হয়ে উঠেন মহিউদ্দীন চৌধুরি।

পরবর্তীতে নব্বইয়ের গনআন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা রেখে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির অন্যতম সুপুরষ বলে বিবাচিত হন সর্ব মহলে। রাজাকার আর সাম্প্রদায়ীক শক্তিকে ক্রমাগত পরাস্হ করে, একানব্বইয়ের ঘুর্নিঝড়ে দুস্হ জনতার পাশে দারিয়ে, অসহযোগ আন্দোলনে খালেদার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, গরিব-দুঃখি-শ্রমিকের অধিকারের কথা বলে মহিরুহে পরিনত হন আজকের মহিউদ্দীন।

এতকিছুর পরও থেমে থাকেননি এই উদ্যমী জননেতা। গনমানুষের তথা চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমাগত ছুটে চলেছেন। উপেক্ষা করেছেন রক্তচক্ষু। চালিয়ে গেছেন উন্নয়নের চাকা। উরিয়ে চলেছেন অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনীতি আর মুল্যবোধের পতাকা।

সর্বশেষ নির্যাতিত হন রাজনিতি পরিশোধনের নামে নেমে আশা সামরিক শকুনের ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে। ষাটোর্ধ বয়সে কারান্তরিন ছিলেন দীর্ঘ দুই বছর। এরমধ্যেই নির্মম ভাবে ইন্তেকাল করেন আদরের মেয়ে ফওজিয়া সুলতানা টুম্পা। নানান টালবাহানা করে টুম্পাকে মৃত্যু অবধারিত জেনেও দেখতে দেয়নি অনির্বাচিত সরকার নামক ভদ্রবেশি আরেক নব্য সামরিক জান্তা। শতচেস্টা আর মানসিক নির্যাতন করেও টলাতে পারেনা সরকার মহিউদ্দীনকে একটুও। দুর্নিতিবাজদের সাথে এক করেও পারেনি দোষী সাব্যস্ত করতে। বারবার তারা পরাজিত হয়েছে এই সংগ্রামী মানুষের পাহারসম ব্যক্তিত্বের কাছে।

জনগনের ভোটে তিন তিন বারের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দীন। জনতার রায়ে, তাদের ভালবাশায় স্নিগ্ধ হয়েছেন বার বার।গনমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে, শত কষ্ট, বেদনা, অসুস্হতায় ভুগে, নির্যাতন সহ্য করে, পরিবার পরিজন কে সময়-অসময়ে, ঘটনা-দুর্ঘটনায় হারানো এই মানুষটি আজো স্মরণীয় হয়ে আছেন সকলের মনে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রয়াত বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্মদিন আজ ” সকলের মনে পড়ে,

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

১৯৪৪ এর পহেলা ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরির জন্ম। পিতার নাম মরহুম হোসেন আহমদ চৌধুরি আর মাতা মরহুম বেদৌরা বেগম। আট ভাইবোনের মাঝে মহিউদ্দিন মেঝ। পিতা চাকুরী করতেন আসাম বেংগল রেলওয়েতে। পিতার চাকরির সুবাদে মহিউদ্দিন পরাশুনা করেছেন মাইজদি জেলা স্কুল, কাজেম আলি ইংলিশ হাই, আর প্রবর্তক সংঘে। স্কুল জীবনেই জরিয়ে পরেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। মাধ্যমিকের শেষে বাবার আদেশে ভর্তি হয়ে ছিলেন ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এর কোর্সে। সেখানের পাঠ না চুকিয়ে ভর্তী হন চট্টগ্রামের অন্যতম বিদ্যাপিঠ চট্টগ্রাম কলেজে। বছর না ঘুরতেই কমার্স কলেজ, আর শেষমেষ সিটি কলেজ। সিটি কলেজেই তার বিপ্লবী রাজনৈতীক জীবনের হাতেখরি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবনের শুরতেই সান্নিধ্যে আসেন জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরির। বংগবন্ধুর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে পাক বাহিনির কাছে গ্রেফতার হন অসংখ্যবার। মুক্তিযুধ্যে অংশ নিতে গিয়ে আই এস আইয়ের চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমী সদরদপ্তরের কাছে গ্রফতার হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন দীর্ঘ চার মাস। পাক বাহিনির নির্যাতনের চিহ্ন মহিউদ্দীন আজও তার শরিরে বয়ে বেরাচ্ছেন। তার গ্রেফতারের খবরে ততদিনে ভারতের একটি মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে শহিদ মহিউদ্দীন ক্যাম্প খোলা হয়েছিলো। বেচে থাকার কথা ছিলোনা তার। শহিদ ভেবে বাবা ছেলের নামে দিয়ে ছিলো ফাতেহা। এরিমাঝে একদিন মানসিক রোগীর নাটক করে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে পালিয়ে বেরোন মহিউদ্দিন। পারি জমান ভারতে। সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষন শেষে সক্রিয়ভাবে সম্মুখসমরে অংশ নেন। ছিলেন ভারত-বাংলা যৌথবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশনের অধিনে।
দেশ স্বাধিনের পর বংগবন্ধুর নির্দেশে জহুর আহমদ চৌধুরির নেতৃত্বে ঝাপিয়ে পরেন নতুন সংগ্রামে। বংগবণ্ধুর খুবই কাছের আর আদরের ছাত্রনেতা ছিলেন মহিউদ্দীন। কিন্তু তৎকালিন সময়ে প্রবল ক্ষমতাশালি হয়েও ক্ষমতার মোহ একচুলও স্পর্শ করেনি তাকে।
কিছুদিন না যেতেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত হন বংগবন্ধু। অল্পের জন্য মহিউদ্দিন ধরা পরা থেকে বেচে যান, মৃত্যু বরন করেন সাথি মৌলভি সৈয়দ। পালিয়ে গিয়ে ভারতে প্রতিবিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন। লক্ষ্য সামরিক জান্তা, খুনি মোশতাককে সামরিক ভাবেই পরাস্ত করা। কিছুদিন পরেই দলের নির্দেশে পন্হা পরিবর্তন করে আবার সক্রিয় হন প্রকাশ্য রাজনিতিতে।
দেশে এসেই একের পর এক হুলিয়া। সামরিক বাহিনির হাতে নিষ্পেশন, নির্যাতন, আর একের পর এক কারাভোগ। তখন মহামান্য স্বৈরাচার জিয়া ক্ষমতায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর জিয়ার দমন, বংগবন্ধু হত্যাকান্ডে গোপন ষড়যণ্ত্রের ভুমিকা, প্রতিবাদি করে তোলে মহিউদ্দিন কে। দলের নির্দেশে চলে বৈপ্লবীক প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ। তরুন ছাত্রনেতা মহিউদ্দিনের জুজু তে সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা তটস্হ। মাঝে আওয়ামি লীগের ভেতরেই ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠলো। বংগবন্ধু কন্যা আজকের জননেত্রী শেখ হাসিনার ভুমিকাকে নগণ্য করতে তাকে ঠেকাতে শত্রুরা উঠেপরে বসলো। অদম্য সাহসী মহিউদ্দীন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে দলবল নিয়ে বংগবন্ধু কন্যার জন্য ঝাপিয়ে পরলেন। সব বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দলের কান্ডারীর দায়ীত্ব নিতে সহয়তা করলেন।
তারপর আসলো স্বৈরাচারি সামরিক জান্তা এরশাদ। তারই শাসনামলে চট্টগ্রামে স্বয়ং জান্তা প্রধানকে অবান্চিত ঘোসনা করে চক্ষুসুল হন সরকারের। ফলে আবারও রাজনৈতিক বন্দি। ততদিনে চট্টগ্রামের আপামর জনতার নয়নমনি হয়ে উঠেন মহিউদ্দীন চৌধুরি।

পরবর্তীতে নব্বইয়ের গনআন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা রেখে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির অন্যতম সুপুরষ বলে বিবাচিত হন সর্ব মহলে। রাজাকার আর সাম্প্রদায়ীক শক্তিকে ক্রমাগত পরাস্হ করে, একানব্বইয়ের ঘুর্নিঝড়ে দুস্হ জনতার পাশে দারিয়ে, অসহযোগ আন্দোলনে খালেদার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, গরিব-দুঃখি-শ্রমিকের অধিকারের কথা বলে মহিরুহে পরিনত হন আজকের মহিউদ্দীন।

এতকিছুর পরও থেমে থাকেননি এই উদ্যমী জননেতা। গনমানুষের তথা চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমাগত ছুটে চলেছেন। উপেক্ষা করেছেন রক্তচক্ষু। চালিয়ে গেছেন উন্নয়নের চাকা। উরিয়ে চলেছেন অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনীতি আর মুল্যবোধের পতাকা।

সর্বশেষ নির্যাতিত হন রাজনিতি পরিশোধনের নামে নেমে আশা সামরিক শকুনের ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে। ষাটোর্ধ বয়সে কারান্তরিন ছিলেন দীর্ঘ দুই বছর। এরমধ্যেই নির্মম ভাবে ইন্তেকাল করেন আদরের মেয়ে ফওজিয়া সুলতানা টুম্পা। নানান টালবাহানা করে টুম্পাকে মৃত্যু অবধারিত জেনেও দেখতে দেয়নি অনির্বাচিত সরকার নামক ভদ্রবেশি আরেক নব্য সামরিক জান্তা। শতচেস্টা আর মানসিক নির্যাতন করেও টলাতে পারেনা সরকার মহিউদ্দীনকে একটুও। দুর্নিতিবাজদের সাথে এক করেও পারেনি দোষী সাব্যস্ত করতে। বারবার তারা পরাজিত হয়েছে এই সংগ্রামী মানুষের পাহারসম ব্যক্তিত্বের কাছে।

জনগনের ভোটে তিন তিন বারের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দীন। জনতার রায়ে, তাদের ভালবাশায় স্নিগ্ধ হয়েছেন বার বার।গনমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে, শত কষ্ট, বেদনা, অসুস্হতায় ভুগে, নির্যাতন সহ্য করে, পরিবার পরিজন কে সময়-অসময়ে, ঘটনা-দুর্ঘটনায় হারানো এই মানুষটি আজো স্মরণীয় হয়ে আছেন সকলের মনে।