ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ির আকুতি মায়ের

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৬৩ ০.০০০ বার পাঠক

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া মহেশাইল গ্রামের হতদরিদ্র মমেনা বেগম (৭৪)। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বয়সের ভারে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে চলে সংসার। এরই মাঝে মোমেনা বেগমের মেজ মেয়ে বিয়ের ১০ বছর পর মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এজন্য তাকেও তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। মমেনা বেগমের সংসারে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কিন্তু থাকার ঘর মাত্র ২ টি। দুটি ঘরের একটি বড় ছেলের, আরেকটি ছোট ছেলের। ছোট ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সে কারণে ছোট ছেলের ঘরেই থাকেন মমেনা বেগম। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় থাকতে হয় তাকেসরেজমিনে মমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা একটি টিনের ঘর। এটি তার ছোট ছেলের ঘর। এ ঘরেই তিনি থাকেন।

হতদ্ররিদ্র মমেনা বেগম জানান, আমাদের কষ্ট বারে। খুবেই কষ্ট। বাড়ি নাই, ঘর নাই। বেটার ঘরত থাকি। বেটা বাড়িত আইলে বারান্দাত থাকি। বেটিটা পাগল। গায়ত কাপড় থয়না। মানুষে সাহায্য করি দেয়। তা দিয়ে খাই। সরকার যদি আমারে একটা ঘর দেয়, তাহলে আর কিছু চাই না। আমি বয়স্ক ভাতা, মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এ দিয়ে সংসার চলে। মমেনা বেগমের একটাই চাওয়া, মরার আগে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ঝর্না বেগম বলেন, মমেনা বেগমের মেয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। ওদের কেউ নেই। তারা খুব অসহায়। এক ছেলে আছে সে ঢাকায় থাকে। আরেক ছেলে বাড়িতে থাকে। সে নিজেও চলতে পারে না। তারা খুব কষ্ট করে চলে। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য সমাজসেবায় একটি বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ির আকুতি মায়ের

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া মহেশাইল গ্রামের হতদরিদ্র মমেনা বেগম (৭৪)। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বয়সের ভারে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে চলে সংসার। এরই মাঝে মোমেনা বেগমের মেজ মেয়ে বিয়ের ১০ বছর পর মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এজন্য তাকেও তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। মমেনা বেগমের সংসারে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কিন্তু থাকার ঘর মাত্র ২ টি। দুটি ঘরের একটি বড় ছেলের, আরেকটি ছোট ছেলের। ছোট ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সে কারণে ছোট ছেলের ঘরেই থাকেন মমেনা বেগম। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় থাকতে হয় তাকেসরেজমিনে মমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা একটি টিনের ঘর। এটি তার ছোট ছেলের ঘর। এ ঘরেই তিনি থাকেন।

হতদ্ররিদ্র মমেনা বেগম জানান, আমাদের কষ্ট বারে। খুবেই কষ্ট। বাড়ি নাই, ঘর নাই। বেটার ঘরত থাকি। বেটা বাড়িত আইলে বারান্দাত থাকি। বেটিটা পাগল। গায়ত কাপড় থয়না। মানুষে সাহায্য করি দেয়। তা দিয়ে খাই। সরকার যদি আমারে একটা ঘর দেয়, তাহলে আর কিছু চাই না। আমি বয়স্ক ভাতা, মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এ দিয়ে সংসার চলে। মমেনা বেগমের একটাই চাওয়া, মরার আগে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ঝর্না বেগম বলেন, মমেনা বেগমের মেয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। ওদের কেউ নেই। তারা খুব অসহায়। এক ছেলে আছে সে ঢাকায় থাকে। আরেক ছেলে বাড়িতে থাকে। সে নিজেও চলতে পারে না। তারা খুব কষ্ট করে চলে। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য সমাজসেবায় একটি বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।