ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান অসুস্থ,হাজত থেকে হাসপাতালে প্রেরণ দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই: জহিরুল ইসলাম। তালতলীতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সন্তানকে খাম্বার সাথে বেঁধে মারধর ফেসবুকে ছবি ভাইরাল শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত আব্দুর রহমান বাবু মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী ইউনিয়ন(সিবিএ) কমিটি বিলুপ্ত করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন অস্ট্রেলিয়া গাড়ি চাপায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত নিহত আবু সাঈদ ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত করার তাগিদ এনজিও নেতাদের বিরামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ির আকুতি মায়ের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১
  • / ৩০২ ৫০০০.০ বার পাঠক

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া মহেশাইল গ্রামের হতদরিদ্র মমেনা বেগম (৭৪)। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বয়সের ভারে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে চলে সংসার। এরই মাঝে মোমেনা বেগমের মেজ মেয়ে বিয়ের ১০ বছর পর মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এজন্য তাকেও তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। মমেনা বেগমের সংসারে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কিন্তু থাকার ঘর মাত্র ২ টি। দুটি ঘরের একটি বড় ছেলের, আরেকটি ছোট ছেলের। ছোট ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সে কারণে ছোট ছেলের ঘরেই থাকেন মমেনা বেগম। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় থাকতে হয় তাকেসরেজমিনে মমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা একটি টিনের ঘর। এটি তার ছোট ছেলের ঘর। এ ঘরেই তিনি থাকেন।

হতদ্ররিদ্র মমেনা বেগম জানান, আমাদের কষ্ট বারে। খুবেই কষ্ট। বাড়ি নাই, ঘর নাই। বেটার ঘরত থাকি। বেটা বাড়িত আইলে বারান্দাত থাকি। বেটিটা পাগল। গায়ত কাপড় থয়না। মানুষে সাহায্য করি দেয়। তা দিয়ে খাই। সরকার যদি আমারে একটা ঘর দেয়, তাহলে আর কিছু চাই না। আমি বয়স্ক ভাতা, মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এ দিয়ে সংসার চলে। মমেনা বেগমের একটাই চাওয়া, মরার আগে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ঝর্না বেগম বলেন, মমেনা বেগমের মেয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। ওদের কেউ নেই। তারা খুব অসহায়। এক ছেলে আছে সে ঢাকায় থাকে। আরেক ছেলে বাড়িতে থাকে। সে নিজেও চলতে পারে না। তারা খুব কষ্ট করে চলে। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য সমাজসেবায় একটি বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ির আকুতি মায়ের

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া মহেশাইল গ্রামের হতদরিদ্র মমেনা বেগম (৭৪)। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বয়সের ভারে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে চলে সংসার। এরই মাঝে মোমেনা বেগমের মেজ মেয়ে বিয়ের ১০ বছর পর মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এজন্য তাকেও তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। মমেনা বেগমের সংসারে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কিন্তু থাকার ঘর মাত্র ২ টি। দুটি ঘরের একটি বড় ছেলের, আরেকটি ছোট ছেলের। ছোট ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সে কারণে ছোট ছেলের ঘরেই থাকেন মমেনা বেগম। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় থাকতে হয় তাকেসরেজমিনে মমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা একটি টিনের ঘর। এটি তার ছোট ছেলের ঘর। এ ঘরেই তিনি থাকেন।

হতদ্ররিদ্র মমেনা বেগম জানান, আমাদের কষ্ট বারে। খুবেই কষ্ট। বাড়ি নাই, ঘর নাই। বেটার ঘরত থাকি। বেটা বাড়িত আইলে বারান্দাত থাকি। বেটিটা পাগল। গায়ত কাপড় থয়না। মানুষে সাহায্য করি দেয়। তা দিয়ে খাই। সরকার যদি আমারে একটা ঘর দেয়, তাহলে আর কিছু চাই না। আমি বয়স্ক ভাতা, মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এ দিয়ে সংসার চলে। মমেনা বেগমের একটাই চাওয়া, মরার আগে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ঝর্না বেগম বলেন, মমেনা বেগমের মেয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। ওদের কেউ নেই। তারা খুব অসহায়। এক ছেলে আছে সে ঢাকায় থাকে। আরেক ছেলে বাড়িতে থাকে। সে নিজেও চলতে পারে না। তারা খুব কষ্ট করে চলে। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য সমাজসেবায় একটি বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।