ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এখন রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ ইসলাম পিলখানা হত্যাকাণ্ড হুমকির মুখে বাংলাদেশ, সেনাবাহিনীর প্রধান অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় ২ জনকে আটক জামায়াত নেতা আজহার লিভ টু আপিলের অনুমতি পাবেন, আদেশ বুধবার শতাধিক সদস্যের কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা

কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : আইনমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৮৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।’মঙ্গলবার (৯ নবেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, ‘অন্যায় করলে তার বিচার হবেই, সে যেই হোক। এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এটা খুব প্রয়োজন ছিলে। বাট আই অ্যাম নট হ্যাপি।কারণ তিনি বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, আমি একজন আইজীবী। আমি বিচার বিভাগের সঙ্গে সারাজীবন সম্পৃক্ত, আমার জন্য এটা সুখকর হতে পারে না।

বিরোধীরা বলছেন সরকারের কথার বাইরে না গেলে সিনহাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হতো না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘কথাটা একেবারেই সত্য নয়। যারা এমন কথা বলছেন, তারা সরকারের শুধুই সমালোচনা করার জন্য এগুলো বলে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের কথাবার্তার কোনো সারমর্ম নেই।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘যে কোনো সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকলে তার কর্মকাণ্ডের হিসাব দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, এটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ট্রান্সপারেন্সি ও অ্যাকাউন্টিবিলিটি সব সময় মেইনটেইন করা উচিত।’তিনি বলেন, ‘অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, আদালত বিচার করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি, এ দেশে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও কোনো মামলা হয়নি।


এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য দুর্নীতির মামলার বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন অপরাধ কোনো বিচারপতি করেননি। সেজন্য এমন বিচার করার প্রয়োজন হয়নি। অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো। পৃথিবীতে এমন বিচারের অনেক নজির আছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দেখুন, সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বিলোটিং করা হয়েছে। সেটা এখানে বড় কথা নয় এবং সেটাকে উদাহরণ হিসাবেও আনা উচিত নয়।’

মঙ্গলবার (৯ নবেম্বর) সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত এবং অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।’মঙ্গলবার (৯ নবেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, ‘অন্যায় করলে তার বিচার হবেই, সে যেই হোক। এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এটা খুব প্রয়োজন ছিলে। বাট আই অ্যাম নট হ্যাপি।কারণ তিনি বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, আমি একজন আইজীবী। আমি বিচার বিভাগের সঙ্গে সারাজীবন সম্পৃক্ত, আমার জন্য এটা সুখকর হতে পারে না।

বিরোধীরা বলছেন সরকারের কথার বাইরে না গেলে সিনহাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হতো না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘কথাটা একেবারেই সত্য নয়। যারা এমন কথা বলছেন, তারা সরকারের শুধুই সমালোচনা করার জন্য এগুলো বলে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের কথাবার্তার কোনো সারমর্ম নেই।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘যে কোনো সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকলে তার কর্মকাণ্ডের হিসাব দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, এটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ট্রান্সপারেন্সি ও অ্যাকাউন্টিবিলিটি সব সময় মেইনটেইন করা উচিত।’তিনি বলেন, ‘অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, আদালত বিচার করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি, এ দেশে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও কোনো মামলা হয়নি।


এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য দুর্নীতির মামলার বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন অপরাধ কোনো বিচারপতি করেননি। সেজন্য এমন বিচার করার প্রয়োজন হয়নি। অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো। পৃথিবীতে এমন বিচারের অনেক নজির আছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দেখুন, সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বিলোটিং করা হয়েছে। সেটা এখানে বড় কথা নয় এবং সেটাকে উদাহরণ হিসাবেও আনা উচিত নয়।’

মঙ্গলবার (৯ নবেম্বর) সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত এবং অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।