ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

অধিকার আদায়ে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু॥মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৮:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৩১ ০.০০০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে নানা আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা ১৯৭১ সালে বিজয় দিবস পেয়েছি। কিন্তু তখন স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করেনি। স্বাধীনতা পরিপূর্ণ লাভ করে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা বুঝেছিল বাঙালীর কাছে অস্ত্র থাকা নিরাপদ নয়। তাই তারা বাঙালীদের নিরস্ত্র করতে গাজীপুর থেকে অস্ত্র নিয়ে আসে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তখন মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস গৌরবের, এ গৌরব পুরো বাঙালী জাতির।

আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) এ সভার আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আজ ৮ জানুয়ারি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসের সঠিক ইতিহাস যেন উঠে আসে।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদানের কথা আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তা কখনো ভুলার নয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে বের হয়ে বাংলাদেশে ফিরে সদ্য স্বাধীন বিধ্বস্ত দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তখন দেশে কোনো প্রশাসনিক কাঠামো ছিল না। বঙ্গবন্ধু কূটনীতি, ডিফেন্স নীতিসহ সব পলিসি গ্রহণ করে দেশ গঠনে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার রহস্য উন্মোচনে গণকমিশন গঠন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে জিয়া-এরশাদ-খালেদা সবাই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বিকৃত করেছেন। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরছে। ফলে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।

উনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিজেআরএফের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূইয়া।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

অধিকার আদায়ে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু॥মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৮:২৮:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে নানা আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা ১৯৭১ সালে বিজয় দিবস পেয়েছি। কিন্তু তখন স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করেনি। স্বাধীনতা পরিপূর্ণ লাভ করে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা বুঝেছিল বাঙালীর কাছে অস্ত্র থাকা নিরাপদ নয়। তাই তারা বাঙালীদের নিরস্ত্র করতে গাজীপুর থেকে অস্ত্র নিয়ে আসে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তখন মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস গৌরবের, এ গৌরব পুরো বাঙালী জাতির।

আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) এ সভার আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আজ ৮ জানুয়ারি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসের সঠিক ইতিহাস যেন উঠে আসে।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদানের কথা আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তা কখনো ভুলার নয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে বের হয়ে বাংলাদেশে ফিরে সদ্য স্বাধীন বিধ্বস্ত দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তখন দেশে কোনো প্রশাসনিক কাঠামো ছিল না। বঙ্গবন্ধু কূটনীতি, ডিফেন্স নীতিসহ সব পলিসি গ্রহণ করে দেশ গঠনে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার রহস্য উন্মোচনে গণকমিশন গঠন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে জিয়া-এরশাদ-খালেদা সবাই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বিকৃত করেছেন। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরছে। ফলে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।

উনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিজেআরএফের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূইয়া।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।