কৃষিজমি থেকে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত করেন পিবিআই।
- আপডেট টাইম : ০৬:৫২:০৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
- / ২৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
কৃষিজমি থেকে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত করেন পিবিআই।
মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ)
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রামঃ
নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলী টোল রোড এলাকার পূর্বদিকে কৃষিজমি থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত করেছে পিবিআই। তিনদিনের মাথায় উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশটির পরিচয় এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামী নুরুল আমিনকে হবিগঞ্জ থেকে আটক করেন
রবিবার (৩১ অক্টোবর) আটককৃত নুরুল আমিন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশটি নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভিমপুর আমজাদ বেপারী বাড়ির আব্দুল হক স্বপনের ছেলে মো. সজীবের (২৭)।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলী টোল রোড়ের পূর্বদিকে স্থানীয় সেকান্দারের কৃষিজমিতে একজনের লাশ দেখে থানায় খবর দিলে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচয় মেলে লাশটি নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভিমপুর আমজাদ বেপারি বাড়ির আব্দুল হক স্বপনের ছেলে মো. সজীবের (২৭)।
জবানবন্দিতে নুরুল আমিন স্বীকার করে যে, আমার (নুরুল আমিন) সঙ্গে ঝগড়া করে চট্টগ্রাম আসার পথে পিকআপচালক সজীবের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার স্ত্রী ফারহানার (ছদ্মনাম)। পরিচয়ের সূত্রে দুই জনের বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কয়েক মাসের মধ্যে ফারহানাকে বিয়ে করে স্ত্রী হিসেবে পেতে চান সজীব । অন্যদিকে স্বামী নুরুল আমিন স্ত্রী ফারহানাকে সংসারে ফেরাতে চান। ফারহানা নগরীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান সজীব। তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নুরুল। প্রথমে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দফায় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে দিতে ডেকে সহযোগীদের নিয়ে সজীবকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সজীবের ভাই ইকবাল হোসেন মামলা করলে তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে পুলিশের হাতে।
গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নুরুল আমিনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই কাজে তাকে সহযোগী শাহজাহানসহ তিন জন সহযোগিতা করেছেন। ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোল রোড এলাকায় নিয়ে যান। এরপর ধানক্ষেতের দিকে নিয়ে গেলে সজীব বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পালানোর চেষ্টা করলে নুরুল জাপটে ধরেন। পরে শাহজাহানসহ অপর দুই জন তার বুকের ওপর চড়ে বসেন। নুরুল শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে সবাই পালিয়ে যান।