গ্রেফতার হওয়া আসামী এহতেশামুল হক (ভোলা)র জামিন আবেদন নামঞ্জুর,
- আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
- / ২২২ ৫০০০.০ বার পাঠক
গ্রেফতার হওয়া আসামী এহতেশামুল হক (ভোলা)র জামিন আবেদন নামঞ্জুর
মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ )
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান,চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামী এহতেশামুল হক (ভোলা)র জামিননের আবেদন করেন,শুনানি শেষে আদালত ভোলার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এহতেশামুল হক ভোলা। জবানবন্দিতে এহতেশামুল হক ভোলা সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের নির্দেশে সোর্স কামরুল শিকদার ওরফে মুছার নেতৃত্বে তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয় বলে জানান।
কামরুল শিকদার প্রথমে রাজি না হলে তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে বাবুল আক্তার হত্যা করেন বলে জবানবন্দিতে বলেন তিনি। এর আগে গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে যশোরের বেনাপোল থেকে ভোলাকে গ্রেফতার করা হয়।
এহতেশামুল হক ভোলার আইনজীবী কেএম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিল এহতেশামুল হক ভোলা। হাইকোর্টের আদেশ মতে বেলবন্ড দিয়েছিলাম।
অসুস্থ থাকার কারণে জামিনের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পরে শনিবার বন্ধের দিনে আদালতে হাজির করা হলে জামিন আবেদন করা যায়নি। আজ জামিন আবেদন করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। আজকের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। একই সঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে জামিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করলে ভোলার আবেদন নামঞ্জুর করেন। ভোলা হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন না করায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। হত্যাকাণ্ডের পর নগরের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার নিজেই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।