ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সংঘাত বাড়লে আরও ধুঁকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি: মুডিস ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে যে শর্ত দিল পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে আজমিরীগঞ্জে সরকারি জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলছে কাজ নাসিরনগরের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত এক সাভারের মজিদপুর এলাকায় মেয়ের আদালতের দর্শনের শাস্তি বাবার মৃত্যুদণ্ড চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১৯ আ. লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আ.লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত: অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি মুরগিসহ সবজির পণ্যর দাম আগুন ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু ইসলামিক দেশগুলোতেই কেন শান্তিহীনতা?

ইরান নিয়ে নতুন আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৪৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

পরমাণু অস্ত্র তৈরি বিষয়ে ইরান বহুদূর অগ্রসর হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানকে থামাতে ওয়াশিংটন দ্রুত তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে।

সৌদি আরবভিত্তিক আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা টিমের আলোচনায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রাধান্য পাচ্ছে। ইরানকে থামাতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইল তেহরানে হামলার পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছে।

ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে সেজন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের ৬ শক্তিধর দেশ।

কিন্তু ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ‘বাজে চুক্তি’ উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়। ট্রাম্প শুধু এটা করে ক্ষ্যান্ত হননি, তিনি ইরানের ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যার ফলে ইরানের অর্থনীতি ধসে পড়ে।

গত বছর ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যাকাণ্ডের পর ইরান ঘোষণা দেয়, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তার কোনটিই তারা আর মেনে চলবে না।

এরপর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইরান পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করছে বলে খবর বেরিয়েছে।

সম্প্রতি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা থেকে ইরান আর মাত্র ২ মাস দূরে আছে। জাতিসংঘের পরমাণু তদারক সংস্থাও সম্প্রতি ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে গত মে মাস থেকে ইরানের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অন্তত ৬ দফা বৈঠকও করেছে। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।

মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ইরানের সঙ্গে এখনো আলোচনার পথ খোলা আছে। কয়েকটি পক্ষের কাছে ইরান ইঙ্গিত পাঠাচ্ছে তারাও আলোচনায় ফিরতে চায়। এখন দেখার বিষয় আদৌ তারা আলোচনায় যুক্ত হয় কি না।

ইরানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলসহ সৌদি মিত্র দেশগুলো মনে করছে, আলোচনার মাধ্যমে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে ফেরানো যাবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ইরানকে থামাতে কূটনৈতিক পথই সর্বোত্তম।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইরান নিয়ে নতুন আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

পরমাণু অস্ত্র তৈরি বিষয়ে ইরান বহুদূর অগ্রসর হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানকে থামাতে ওয়াশিংটন দ্রুত তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে।

সৌদি আরবভিত্তিক আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা টিমের আলোচনায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রাধান্য পাচ্ছে। ইরানকে থামাতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইল তেহরানে হামলার পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছে।

ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে সেজন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের ৬ শক্তিধর দেশ।

কিন্তু ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ‘বাজে চুক্তি’ উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়। ট্রাম্প শুধু এটা করে ক্ষ্যান্ত হননি, তিনি ইরানের ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যার ফলে ইরানের অর্থনীতি ধসে পড়ে।

গত বছর ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যাকাণ্ডের পর ইরান ঘোষণা দেয়, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তার কোনটিই তারা আর মেনে চলবে না।

এরপর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইরান পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করছে বলে খবর বেরিয়েছে।

সম্প্রতি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা থেকে ইরান আর মাত্র ২ মাস দূরে আছে। জাতিসংঘের পরমাণু তদারক সংস্থাও সম্প্রতি ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে গত মে মাস থেকে ইরানের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অন্তত ৬ দফা বৈঠকও করেছে। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।

মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ইরানের সঙ্গে এখনো আলোচনার পথ খোলা আছে। কয়েকটি পক্ষের কাছে ইরান ইঙ্গিত পাঠাচ্ছে তারাও আলোচনায় ফিরতে চায়। এখন দেখার বিষয় আদৌ তারা আলোচনায় যুক্ত হয় কি না।

ইরানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলসহ সৌদি মিত্র দেশগুলো মনে করছে, আলোচনার মাধ্যমে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে ফেরানো যাবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ইরানকে থামাতে কূটনৈতিক পথই সর্বোত্তম।