ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’ ১২ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ আজ হত্যা ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবি, দ্বিতীয় দিনের মতো নগর ভবন অবরুদ্ধ বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট।

মুহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন, শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে শোকে কাতর রোহিঙ্গারা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৭৬ ১৫০০০.০ বার পাঠক

উখিয়া প্রতিনিধি।।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর বিকাল ৫টায় জানাজা শেষে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।

জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফর রোহিঙ্গা শিবিরের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা অংশ নেয়। এ সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উখিয়া থানা পুলিশকে মুহিবুল্লাহর লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে এক প্রকার শোকে কাতর হয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছে, অনেকেই নিজেদের নেতা দাবি করলেও তাদের কাছে সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তাকে যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে পাওয়া যেত বলে জানান তারা।

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা  নুরুল আলম, সাদ্দাম হোসেন ও মৌলভী জাফর আলম বলেন, মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা আমাদের অনেক বড় শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্ক থাকায় মিয়ানমারের ওপরে  চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা সবসময় তাকে সামনে রেখে রক্তপাত বিহীন লড়াই করেছি। খুব কাছাকাছি সময় এসে তাকে হারিয়ে ফেলেছি।

মুহিবুল্লাহর মতো দ্বিতীয় আর কেউ নেই উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। তবে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা না করে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে উখিয়ায় কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়ির সামনে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন, শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে শোকে কাতর রোহিঙ্গারা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

উখিয়া প্রতিনিধি।।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর বিকাল ৫টায় জানাজা শেষে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।

জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফর রোহিঙ্গা শিবিরের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা অংশ নেয়। এ সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উখিয়া থানা পুলিশকে মুহিবুল্লাহর লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে এক প্রকার শোকে কাতর হয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছে, অনেকেই নিজেদের নেতা দাবি করলেও তাদের কাছে সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তাকে যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে পাওয়া যেত বলে জানান তারা।

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা  নুরুল আলম, সাদ্দাম হোসেন ও মৌলভী জাফর আলম বলেন, মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা আমাদের অনেক বড় শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্ক থাকায় মিয়ানমারের ওপরে  চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা সবসময় তাকে সামনে রেখে রক্তপাত বিহীন লড়াই করেছি। খুব কাছাকাছি সময় এসে তাকে হারিয়ে ফেলেছি।

মুহিবুল্লাহর মতো দ্বিতীয় আর কেউ নেই উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। তবে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা না করে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে উখিয়ায় কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়ির সামনে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।