ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২৯ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ ১জন আটক জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানাল জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিগত সরকারের সময় অর্থনৈতিক তথ্য ছিল ‘গোঁজামিল নির্ভর’ গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেন্ট এ কারের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নান্দাইলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আবরার ফাহাদ হত্যা : হাইকোর্টের রায় রোববার ৪৩ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

মুহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন, শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে শোকে কাতর রোহিঙ্গারা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

উখিয়া প্রতিনিধি।।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর বিকাল ৫টায় জানাজা শেষে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।

জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফর রোহিঙ্গা শিবিরের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা অংশ নেয়। এ সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উখিয়া থানা পুলিশকে মুহিবুল্লাহর লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে এক প্রকার শোকে কাতর হয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছে, অনেকেই নিজেদের নেতা দাবি করলেও তাদের কাছে সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তাকে যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে পাওয়া যেত বলে জানান তারা।

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা  নুরুল আলম, সাদ্দাম হোসেন ও মৌলভী জাফর আলম বলেন, মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা আমাদের অনেক বড় শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্ক থাকায় মিয়ানমারের ওপরে  চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা সবসময় তাকে সামনে রেখে রক্তপাত বিহীন লড়াই করেছি। খুব কাছাকাছি সময় এসে তাকে হারিয়ে ফেলেছি।

মুহিবুল্লাহর মতো দ্বিতীয় আর কেউ নেই উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। তবে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা না করে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে উখিয়ায় কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়ির সামনে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন, শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে শোকে কাতর রোহিঙ্গারা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

উখিয়া প্রতিনিধি।।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর বিকাল ৫টায় জানাজা শেষে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।

জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফর রোহিঙ্গা শিবিরের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা অংশ নেয়। এ সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উখিয়া থানা পুলিশকে মুহিবুল্লাহর লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে এক প্রকার শোকে কাতর হয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছে, অনেকেই নিজেদের নেতা দাবি করলেও তাদের কাছে সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তাকে যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে পাওয়া যেত বলে জানান তারা।

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা  নুরুল আলম, সাদ্দাম হোসেন ও মৌলভী জাফর আলম বলেন, মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা আমাদের অনেক বড় শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্ক থাকায় মিয়ানমারের ওপরে  চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা সবসময় তাকে সামনে রেখে রক্তপাত বিহীন লড়াই করেছি। খুব কাছাকাছি সময় এসে তাকে হারিয়ে ফেলেছি।

মুহিবুল্লাহর মতো দ্বিতীয় আর কেউ নেই উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। তবে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা না করে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে উখিয়ায় কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়ির সামনে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।