ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

একটি হৃদয়বিদারক এবং মর্মান্তিক ও অমানবিক অত্যাচারের সাক্ষী হলো

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২০:১১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার শাহাবুল আলম।।

আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলার ধামইরহাট এলাকার ধামইহাট পাই তালট উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধাবী এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আনারুল। বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বড় ভাই নামধারী দুইজন সন্ত্রাস চাঁদা দাবি করে তার কাছে। একজন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান যার বাবা একজন দিনমজুর যে নিজের পড়াশোনা চালানোর জন্য হাজারো স্ট্রাগল করে যাচ্ছে। সে কি করে চাদা দিবে বা অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে? আর সে কারনে এই নির্মম ভাবে একজন স্টুডেন্ট হয়ে আর একজন স্টুডেন্টের হাত কেটে নেবে? এ দায় কে নেবে? এর বিচার কবে হবে? আর কি বিচার হবে? আমি জবাব চাই,,,,( স্থানীয় একটি পত্রিকার নিউজ থেকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো) নওগাঁ জেলার ধামইরহাটের মেধাবী ছাত্র আনারুলের হাতের দুটি আংগুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তারই কলেজের বড় ভাইয়েরা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৯ টায় একই কলেজের দু’জন বড় ভাই মেসের চাঁদা না দেয়ায় এমন নির্মম,জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার চকউমার পাটারি পাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম (২২) ২০১৭ সালে ধামইরহাট উপজেলা সদরস্থ সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হন। বর্তমানে সে ৫ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত।পড়াশোনার জন্য মেসে থাকতে হবে,কিন্তু বাধ সাধে অন্যত্র।মেসে থেকে পড়তে হলেও দিতে হবে চাঁদা।এমন দাবি না মানায় ডান হাতের দুই টি আংগুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী।

আনারুল জানায় যে, মেসের রুমে ঢুকে প্রথমে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে একটি ওয়াশ রুমে নিয়ে গিয়ে হাত পিঠমোড়া করে প্লাস দিয়ে ডান হাতের দুটি আংগুল কেটে বিচ্ছিন করে দিয়েছে। পরে তাকে অনেকটা গোপনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে ধামইরহাটে গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে।

আনারুলের অসহায় মা সাহারা খাতুন জানান, আমি খুব গরীব মানুষ। চেয়ে এনে ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি।সেখানে সন্ত্রাসীরা আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাত কেটে দিয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এত বড় ঘটনার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বগুড়া সদর থানা কি ভূমিকা পালন করেছেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আনারুলের বাড়ীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সে একটি ছোট বেড়ার ঘরে শুয়ে রয়েছে। ঘরে জানালা নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একটি হৃদয়বিদারক এবং মর্মান্তিক ও অমানবিক অত্যাচারের সাক্ষী হলো

আপডেট টাইম : ০৫:২০:১১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার শাহাবুল আলম।।

আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলার ধামইরহাট এলাকার ধামইহাট পাই তালট উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধাবী এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আনারুল। বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বড় ভাই নামধারী দুইজন সন্ত্রাস চাঁদা দাবি করে তার কাছে। একজন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান যার বাবা একজন দিনমজুর যে নিজের পড়াশোনা চালানোর জন্য হাজারো স্ট্রাগল করে যাচ্ছে। সে কি করে চাদা দিবে বা অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে? আর সে কারনে এই নির্মম ভাবে একজন স্টুডেন্ট হয়ে আর একজন স্টুডেন্টের হাত কেটে নেবে? এ দায় কে নেবে? এর বিচার কবে হবে? আর কি বিচার হবে? আমি জবাব চাই,,,,( স্থানীয় একটি পত্রিকার নিউজ থেকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো) নওগাঁ জেলার ধামইরহাটের মেধাবী ছাত্র আনারুলের হাতের দুটি আংগুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তারই কলেজের বড় ভাইয়েরা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৯ টায় একই কলেজের দু’জন বড় ভাই মেসের চাঁদা না দেয়ায় এমন নির্মম,জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার চকউমার পাটারি পাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম (২২) ২০১৭ সালে ধামইরহাট উপজেলা সদরস্থ সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হন। বর্তমানে সে ৫ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত।পড়াশোনার জন্য মেসে থাকতে হবে,কিন্তু বাধ সাধে অন্যত্র।মেসে থেকে পড়তে হলেও দিতে হবে চাঁদা।এমন দাবি না মানায় ডান হাতের দুই টি আংগুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী।

আনারুল জানায় যে, মেসের রুমে ঢুকে প্রথমে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে একটি ওয়াশ রুমে নিয়ে গিয়ে হাত পিঠমোড়া করে প্লাস দিয়ে ডান হাতের দুটি আংগুল কেটে বিচ্ছিন করে দিয়েছে। পরে তাকে অনেকটা গোপনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে ধামইরহাটে গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে।

আনারুলের অসহায় মা সাহারা খাতুন জানান, আমি খুব গরীব মানুষ। চেয়ে এনে ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি।সেখানে সন্ত্রাসীরা আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাত কেটে দিয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এত বড় ঘটনার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বগুড়া সদর থানা কি ভূমিকা পালন করেছেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আনারুলের বাড়ীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সে একটি ছোট বেড়ার ঘরে শুয়ে রয়েছে। ঘরে জানালা নেই।