ইপিজেড এলাকায় খুবই সহজ সরল কিশোরীকে ছলনার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার দুলাভাই
- আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৩৯৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
মৌখিক জবানবন্দি ও মামলায় উল্লেখিত ঘটনার বিবরনে জানা যায় যে, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের, ইকরি গ্রামের বাকালী হাজী বাড়ী, পিতা: মজনু হাওলাদার, মাতা: শেফালী বেগম এর পুত্র মো:ইলিয়াছ হাওলাদার (৩০), বর্তমানে-বন্দরটিলা, কাঁচা বাজারের পিছনে, নাসির কলোনী, রুম নং -(০১),থানা- ইপিজেড,জেলা-চট্রগ্রাম।
একই কলোনীতে পার্শ্বের বাসায় বসবাসকারী,মুন্নি আক্তার (১৪)কে বাসায় একা পেয়ে সুকৌশলে উঠিয়ে নিয়ে অন্যাত্র চলে গিয়ে ঘটনার তারিখ ও সময়ের মধ্যে আটকে রেখে ধর্ষন করে। ধর্ষক ইলিয়াছের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার দুলাভাই বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সাংবাদিকদের জানায় গত ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ প্রতিদিনের ন্যায় আমি এবং আমার স্ত্রী সকাল ৭.০০ ঘটিকার সময় গার্মেন্টসে চলে যাই। তখন আমার ছোট ছেলে, মেয়ে ও আমার শ্যালিকা আমার বাসায় থাকে।
বিবাদী একই বলোনীতে স্ব-পরিবারে বসবাস করার সুবাদে আমাদের সাথে তাহার পরিচয় হয়। বিবাদীর স্ত্রীও গার্মেন্টসে চাকুরী করে এবং বিবাদী বাসায় থাকেন। এ সময় বিবাদী আমার শ্যালিকাকে সুকৌশলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অন্যাত্র চলে যায়।
পরবর্তীতে আমি অফিস থেকে বাসায় এসে আমার শ্যালিকাকে বাসায় না পেয়ে ব্যাপক খোঁজাখুজি করি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করি। পরবর্তীতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ রাত ১১ ঘটিকার সময় লোকজনের মুখে শুনতে পাই যে আমার শ্যালিকাকে আকমল আলী রোডে অসুস্হ অবস্হায় পাওয়া যায়। তার জবানবন্ধিতে জানা যায় তাকে একাধিকবার ধর্ষন করেছে। তিনি আরো জানায় তার শ্যালিকার শারীরিক অবস্হা খুবই বেশি খারাপ হইলে আমি দ্রুত চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শ্যালিকাকে ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। আমার শ্যালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্হায় আমি বিষয়টি আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার পরিবারের সহিত আলোচনা করিয়া উক্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে স্হানীয় ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১০/২০২১ তারিখ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ধারা : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন – ২০০০ ( সং/ ০৩) এর ৯(১) বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া ধর্ষন করার অপরাধ। বিবাদী পলাতক রয়েছে।
ধর্ষিতার দুলাভাই আরো জানায় মামলা করার পর অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। আসামীর শশুর জলিল মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাননাশসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, তিনি তার পরিবার নিয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছেন।
এ বিষয় ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কবিরুল ইসলাম’র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আসামীকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে, খুব দ্রুত সময় আমরা আসামি কে,গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।