ইন্দোনেশিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এমআইটি’র নেতা নিহত
- আপডেট টাইম : ০৮:০১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৭৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীগুলো জঙ্গি গোষ্ঠী ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিনের (এমআইটি) নেতাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এমআইটি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের(আইএস) সঙ্গে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ বলে রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।
পুলিশের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার বিকালে সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি গ্রামে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের এক যৌথ অভিযান চলাকালে গোলাগুলিতে এমআইটির নেতা আলী কালোরা নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় জাকা রমাদান বলে শনাক্ত হওয়া ইকরিমা নামে পরিচিত আরেক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এমআইটির আরও চার সদস্যের খোঁজে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে তারা।
অভিযানে জঙ্গিদের আস্তানা থেকে বিস্ফোরক, এম১৬ রাইফেল ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত আরও বহু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ২০১৬ সালে এমআইটির তৎকালীন প্রধান সানতোসোকে হত্যার পর কালোরা গোষ্ঠীটি পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষগুলোর বিশ্বাস, ২০২০ এর নবেম্বরে সুলাওয়েসির মধ্যাঞ্চলে চার গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পেছনে এমআইটি ছিল, যদিও গোষ্ঠীটি ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
গোষ্ঠীটির সাবেক নেতা সানতোসো একসময় ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ফেরারি ছিলেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আইএসের আনুগত্য স্বীকার করা প্রথম জঙ্গিদের অন্যতম ছিলেন এই সানতোসো।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবাদ বিশ্লেষক রিদওয়ান হাবিব বলেছেন, নেতার মৃত্যুতে সুলাওয়েসিভিত্তিক এমআইটি গোষ্ঠী বিলীন হয়ে যেতে পারে, তারপরও এর যে সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে হামলা করার পরিকল্পনা করছে সন্দেহে গত মাসে পুলিশ ৫৩ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল।
দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০২ সালে পর্যটন দ্বীপ বালিতে। ওই সময় বোমা হামলায় ২০২ জন নিহত হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন