ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ থেকে উদ্ধার: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মো. রেজাউল হক, পিপিএম মহোদয়ের দৃষ্টান্তমূলক অভিযান” আজমিরীগঞ্জে  নোয়াগড় পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব কে কেন্দ্র করে দুই গুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত শতাধিক। উভয় পক্ষে দোকান লুটপাট ও ভাংচুর।  প্রবাস থেকে ‘নাগরিক টিভি’র নামে ডিজিটাল চাঁদাবাজি # টিটো-সাকিব সিন্ডিকেটের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির শত কোটির তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ আগেই পদত্যাগের আবেদন করেছিলেন মোয়াজ্জেম: উপদেষ্টা আসিফ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই হবিগঞ্জে তুমুল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভারত পাকিস্তান কি যুদ্ধে জড়াবে? চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার

আগামী বছর তিনটি ড্রিম প্রজেক্ট উদ্বোধন করা হবে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আগামী বছর শেখ হাসিনা সরকারের তিনটি ড্রিম প্রজেক্ট উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) মেট্রোরেলের ‘ভায়াডাক্টের উপর মেট্রো ট্রেনের প্রথম চলাচল পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,”মেট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আগামী বছর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।”

মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া, মাদারীপুর জেলার শিবচর ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা; তিন জেলার এই তিন অংশবেষ্টিত পদ্মা নদীর পাড়ে পূর্ণদমে চলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে পদ্মা সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব (ডেক স্ল্যাব) বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর গত ২০ জুন শেষ হয়েছে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।

গত ২৩ আগস্ট সড়কপথের শেষ স্ল্যাবটি বসানোর পর পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত মূল সেতুর প্রায় ৯৪ দশমিক ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে এই সেতুর মাধ্যমে। সেতু নির্মাণের সব কাজ তদারকি করছে সেনাবাহিনী। সরকারের পরিকল্পনামাফিক আগামী ২০২২ সালের শুরুতেই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা চূড়ান্ত হয়ে আছে। এ সেতু নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়ননশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হচ্ছে ইতিহাসের একটি বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে রয়েছে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫

কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী বছর তিনটি ড্রিম প্রজেক্ট উদ্বোধন করা হবে

আপডেট টাইম : ০৮:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আগামী বছর শেখ হাসিনা সরকারের তিনটি ড্রিম প্রজেক্ট উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) মেট্রোরেলের ‘ভায়াডাক্টের উপর মেট্রো ট্রেনের প্রথম চলাচল পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,”মেট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আগামী বছর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।”

মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া, মাদারীপুর জেলার শিবচর ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা; তিন জেলার এই তিন অংশবেষ্টিত পদ্মা নদীর পাড়ে পূর্ণদমে চলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে পদ্মা সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব (ডেক স্ল্যাব) বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর গত ২০ জুন শেষ হয়েছে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।

গত ২৩ আগস্ট সড়কপথের শেষ স্ল্যাবটি বসানোর পর পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত মূল সেতুর প্রায় ৯৪ দশমিক ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে এই সেতুর মাধ্যমে। সেতু নির্মাণের সব কাজ তদারকি করছে সেনাবাহিনী। সরকারের পরিকল্পনামাফিক আগামী ২০২২ সালের শুরুতেই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা চূড়ান্ত হয়ে আছে। এ সেতু নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়ননশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হচ্ছে ইতিহাসের একটি বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে রয়েছে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫

কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর।