ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

এবার হবে না বিশ্ব ইজতেমা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজনের চিন্তাভাবনা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ জানুয়ারি ২০২১
  • / ৩০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকার ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে ইজতেমা আয়োজনে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন সম্ভব নয়। অবস্থার যখন উন্নতি হবে তখন হয়তো সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে, অন্যান্য দেশ থেকে যাতে লোকজন আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তার আগে এই মহাজমায়েত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল ও তাবলিগ জামাতের সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা ইজতেমা করতে চাই। ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুমিস বলেন, করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে। গরমকাল পড়লে তখন ইজতেমা করা কঠিন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবার হবে না বিশ্ব ইজতেমা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজনের চিন্তাভাবনা

আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকার ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে ইজতেমা আয়োজনে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন সম্ভব নয়। অবস্থার যখন উন্নতি হবে তখন হয়তো সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে, অন্যান্য দেশ থেকে যাতে লোকজন আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তার আগে এই মহাজমায়েত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল ও তাবলিগ জামাতের সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা ইজতেমা করতে চাই। ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুমিস বলেন, করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে। গরমকাল পড়লে তখন ইজতেমা করা কঠিন।