ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
বর্ণিল চাকরি জীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ হুমায়ুন কবির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ দাবি: ব্যবস্থাগ্রহণ চেয়ে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন ডাব চু’রি করতে গিয়ে গাছের উপরই অজ্ঞান কিশোর, ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার গোবিন্দগন্জে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার ধান ও পাট বীজ এবং সার বিতরণ জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, মুক্তাগাছা বেগুনবাড়ী সহ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে, মহা অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক ব্যানার্জী দেশে প্রথমবারের মতো ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুরে খাঁশ জমি দখলের অন্যতম সহযোগী সার্ভেয়ার রফিক ও দখলরাজ সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান রমজান আলী গং ভারতের রাষ্ট্রপতি, রাজভবন কে জন রাজভবনের জন্য চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে

এবার হবে না বিশ্ব ইজতেমা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজনের চিন্তাভাবনা

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকার ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে ইজতেমা আয়োজনে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন সম্ভব নয়। অবস্থার যখন উন্নতি হবে তখন হয়তো সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে, অন্যান্য দেশ থেকে যাতে লোকজন আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তার আগে এই মহাজমায়েত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল ও তাবলিগ জামাতের সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা ইজতেমা করতে চাই। ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুমিস বলেন, করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে। গরমকাল পড়লে তখন ইজতেমা করা কঠিন।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্ণিল চাকরি জীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ হুমায়ুন কবির

এবার হবে না বিশ্ব ইজতেমা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজনের চিন্তাভাবনা

আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকার ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে ইজতেমা আয়োজনে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন সম্ভব নয়। অবস্থার যখন উন্নতি হবে তখন হয়তো সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে, অন্যান্য দেশ থেকে যাতে লোকজন আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তার আগে এই মহাজমায়েত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল ও তাবলিগ জামাতের সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা ইজতেমা করতে চাই। ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুমিস বলেন, করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে। গরমকাল পড়লে তখন ইজতেমা করা কঠিন।